ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গ্রাম্য সুদখোর তাড়াতে সফল উদ্যোগ ‘যা নিবা তা দিবা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
  • / 226
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাউসার চৌধুরী
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে সাবলম্বী করে তুলতে বিনা সুদে ঋণ দিতে এগিয়ে এসেছে ‘যা নিবা তা দিবা’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৯ জন ব্যবসায়ীকে ঋণ দেয়ার মধ্য দিয়ে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু করেছে। এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়। অনেক ব্যবসায়ী স্ব-উদ্যোগে নির্ধারিত তারিখের আগেই ফেরত দিয়েছেন ঋণের টাকা।

সংগঠনটির উদ্যোক্তা যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক ও গীতিকার মোহাম্মদ হোসেন সিলেটের ডাককে জানিয়েছেন, তাহিরপুরের এক ব্যক্তি সুদের টাকা নেয়ার পরে মারা যান। এরপর তার অবুঝ সন্তানকে সুদখোর কাজের লোক হিসেবে নিয়ে যায়। যতদিন সুদে-আসলে শেষ হবে না ততোদিন তাকে সুদখোরের ঘরে কামলা খাটতে হবে। একটি সংবাদপত্রে এমন হদয় বিদারক ঘটনা পড়ে সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার বিষয়টি মাথায় আসে। এরপর ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আলোচনা করে এর কার্যক্রম শুরু করি। দুই বছরের মাথায় বেশ সফলতা পাওয়া গেছে। আগামীতে সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় সুদমুক্ত ঋণ উদ্যোগ ‘যা নিবা তা দিবা’ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একজন ঋণগ্রহীতা যা নিবেন তা-ই দিবেন। কোনো সুদ দিতে হবে না। সুদমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

জানা গেছে, ‘যা নিবা তা দিবা’ সংগঠনটি বর্তমানে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বাইসাইকেল কিনতে ঋণ দিচ্ছে। কেবল ঋণই নয় এর সাথে ঋণ গ্রহীতাকে দেয়া হয় বিভিন্ন জাতের গাছের চারাও। এটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ও জামানতবিহীন। আবেদনে কোনো সার্ভিস ফি বা চার্জ নেই। কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করলে ওই ঋণ গ্রহীতাকে পুনরায় ঋণ দেয়া হয়। সক্ষম নারী উদ্যোক্তাদেরকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ঋণ গ্রহণ করতে হলে দুইজন স্বচ্ছ জামিনদার থাকতে হবে। ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজাদি থাকতে হবে। থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ। কেবলমাত্র চালু থাকা ব্যবসা ঋণের যোগ্য। মাদকাসক্ত বা সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সাথে সংশ্লিষ্টরা ঋণের জন্য অযোগ্য। সুদের কিস্তি দেয়া কিংবা নির্ধারিত খাত ছাড়া ঋণের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না বলে সংগঠনের কর্মসূচিতে উল্লেখ রয়েছে।

বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় এই সুদমুক্ত ঋণের কার্যক্রম চলছে। ২০১৯ সালের আগস্টে এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ঋণ প্রদান কার্যক্রম ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়ে কঠোর লকডাউনকালে শুরু করা হয়। কেবল ঋণই নয় সংগঠনটি অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, রমজানে অসচ্ছল পরিবারকে ১ মাসের খাবার প্রদান ও শীতার্ত লোকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে যাচ্ছে।

সংগঠনের সাথে স্বেচ্ছায় কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা এককালীন অনুদান প্রদান করেন। অনুদানের মধ্যে ১০ ভাগ সংগঠনের খরচের জন্য রাখা হয়। এই ১০ ভাগের মধ্যে আবার রয়েছে আপদকালীন ফান্ড। যদি কোনো ঋণগ্রহীতা মারা যান তাহলে এই ফান্ড থেকে ঋণটি পরিশোধ করা হবে। বাকি ৯০ ভাগ অর্থ সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে যোগ্যদের মধ্যে দেয়া হয়।

উদ্যোগটির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন কবি নাসরিন আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকারিয়া জামান তানভির।

সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকারিয়া জামান তানভির জানান, গ্রাম্য সুদখোরদের তাড়াতে ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা কেবল শুরু করেছি। শুরুতেই অভাবনীয় সাড়াও পেয়েছি। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ছাড়াও অন্যান্য উপজেলাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলায় পর্যায়ক্রমে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এদিকে, ‘যা নিবা তা দিবা’ কার্যক্রমের দুই বছর পূর্তিকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ফাজিলচিস্ত এলাকার একটি হোটেলে শিক্ষাবিদ-উদ্যোক্তা-লেখক ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) সিলেট অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নান খান।

কবি ও গীতিকার অধ্যাপক সাব্রী সাবেরীনের সঞ্চালনায় বৈকালিক বৈঠক শীর্ষক সভায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ কুমার পাল, এমসি কলেজের অধ্যাপক তৌফিক ইয়াজদানী, সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট রাশিদা আক্তার খানম, লেখক ও আইনজীবী সায়েজ বদরুল, সিলেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী মামুন আকবর, এমসি কলেজের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সিলেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. দিদার চৌধুরী, এমসি একাডেমির শিক্ষক আরিফ মোহাইমেন, লেখক-কলামিস্ট আব্দুল হক, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মালিক চৌধুরী, সাংবাদিক উজ্জল মেহেদী, মুক্তাদীর আহমদ, কাউসার চৌধুরী, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর, কবি রয়েল পাল, গীতিকার সুলতানা রাজিয়া আছমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গ্রামের মতো শহর-নগরেও সুদখোরদের তৎপরতা বিস্তৃত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অতিথিবৃন্দ সুদমুক্ত সমাজ গঠনে ‘যা নিবা তা দিবা’ উদ্যোগকে শহর পর্যায়ে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

গ্রাম্য সুদখোর তাড়াতে সফল উদ্যোগ ‘যা নিবা তা দিবা’

আপডেট সময় : ১০:১৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

কাউসার চৌধুরী
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে সাবলম্বী করে তুলতে বিনা সুদে ঋণ দিতে এগিয়ে এসেছে ‘যা নিবা তা দিবা’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ইতোমধ্যে ১৯ জন ব্যবসায়ীকে ঋণ দেয়ার মধ্য দিয়ে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু করেছে। এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়। অনেক ব্যবসায়ী স্ব-উদ্যোগে নির্ধারিত তারিখের আগেই ফেরত দিয়েছেন ঋণের টাকা।

সংগঠনটির উদ্যোক্তা যুক্তরাজ্য প্রবাসী লেখক ও গীতিকার মোহাম্মদ হোসেন সিলেটের ডাককে জানিয়েছেন, তাহিরপুরের এক ব্যক্তি সুদের টাকা নেয়ার পরে মারা যান। এরপর তার অবুঝ সন্তানকে সুদখোর কাজের লোক হিসেবে নিয়ে যায়। যতদিন সুদে-আসলে শেষ হবে না ততোদিন তাকে সুদখোরের ঘরে কামলা খাটতে হবে। একটি সংবাদপত্রে এমন হদয় বিদারক ঘটনা পড়ে সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার বিষয়টি মাথায় আসে। এরপর ঘনিষ্ঠজনদের সাথে আলোচনা করে এর কার্যক্রম শুরু করি। দুই বছরের মাথায় বেশ সফলতা পাওয়া গেছে। আগামীতে সিলেটসহ বিভিন্ন জেলায় সুদমুক্ত ঋণ উদ্যোগ ‘যা নিবা তা দিবা’ ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একজন ঋণগ্রহীতা যা নিবেন তা-ই দিবেন। কোনো সুদ দিতে হবে না। সুদমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

জানা গেছে, ‘যা নিবা তা দিবা’ সংগঠনটি বর্তমানে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও বাইসাইকেল কিনতে ঋণ দিচ্ছে। কেবল ঋণই নয় এর সাথে ঋণ গ্রহীতাকে দেয়া হয় বিভিন্ন জাতের গাছের চারাও। এটি সম্পূর্ণ সুদমুক্ত ও জামানতবিহীন। আবেদনে কোনো সার্ভিস ফি বা চার্জ নেই। কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা রয়েছে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করলে ওই ঋণ গ্রহীতাকে পুনরায় ঋণ দেয়া হয়। সক্ষম নারী উদ্যোক্তাদেরকে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ঋণ গ্রহণ করতে হলে দুইজন স্বচ্ছ জামিনদার থাকতে হবে। ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজাদি থাকতে হবে। থাকতে হবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ। কেবলমাত্র চালু থাকা ব্যবসা ঋণের যোগ্য। মাদকাসক্ত বা সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সাথে সংশ্লিষ্টরা ঋণের জন্য অযোগ্য। সুদের কিস্তি দেয়া কিংবা নির্ধারিত খাত ছাড়া ঋণের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না বলে সংগঠনের কর্মসূচিতে উল্লেখ রয়েছে।

বর্তমানে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় এই সুদমুক্ত ঋণের কার্যক্রম চলছে। ২০১৯ সালের আগস্টে এর উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ঋণ প্রদান কার্যক্রম ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়ে কঠোর লকডাউনকালে শুরু করা হয়। কেবল ঋণই নয় সংগঠনটি অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান, রমজানে অসচ্ছল পরিবারকে ১ মাসের খাবার প্রদান ও শীতার্ত লোকদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করে যাচ্ছে।

সংগঠনের সাথে স্বেচ্ছায় কাজ করতে আগ্রহী ব্যক্তিরা এককালীন অনুদান প্রদান করেন। অনুদানের মধ্যে ১০ ভাগ সংগঠনের খরচের জন্য রাখা হয়। এই ১০ ভাগের মধ্যে আবার রয়েছে আপদকালীন ফান্ড। যদি কোনো ঋণগ্রহীতা মারা যান তাহলে এই ফান্ড থেকে ঋণটি পরিশোধ করা হবে। বাকি ৯০ ভাগ অর্থ সুদমুক্ত ঋণ হিসেবে যোগ্যদের মধ্যে দেয়া হয়।

উদ্যোগটির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন কবি নাসরিন আবেদীন ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকারিয়া জামান তানভির।

সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাকারিয়া জামান তানভির জানান, গ্রাম্য সুদখোরদের তাড়াতে ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে রক্ষার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা কেবল শুরু করেছি। শুরুতেই অভাবনীয় সাড়াও পেয়েছি। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা ছাড়াও অন্যান্য উপজেলাসহ সিলেট বিভাগের অন্যান্য জেলায় পর্যায়ক্রমে এর কার্যক্রম শুরু করা হবে।

এদিকে, ‘যা নিবা তা দিবা’ কার্যক্রমের দুই বছর পূর্তিকে সামনে রেখে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর ফাজিলচিস্ত এলাকার একটি হোটেলে শিক্ষাবিদ-উদ্যোক্তা-লেখক ও সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) সিলেট অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল মান্নান খান।

কবি ও গীতিকার অধ্যাপক সাব্রী সাবেরীনের সঞ্চালনায় বৈকালিক বৈঠক শীর্ষক সভায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ কুমার পাল, এমসি কলেজের অধ্যাপক তৌফিক ইয়াজদানী, সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এডভোকেট রাশিদা আক্তার খানম, লেখক ও আইনজীবী সায়েজ বদরুল, সিলেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ চৌধুরী মামুন আকবর, এমসি কলেজের অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, সিলেট টিচার্স ট্রেনিং কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড. দিদার চৌধুরী, এমসি একাডেমির শিক্ষক আরিফ মোহাইমেন, লেখক-কলামিস্ট আব্দুল হক, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মালিক চৌধুরী, সাংবাদিক উজ্জল মেহেদী, মুক্তাদীর আহমদ, কাউসার চৌধুরী, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক মোহাম্মদ আশরাফুল কবীর, কবি রয়েল পাল, গীতিকার সুলতানা রাজিয়া আছমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় গ্রামের মতো শহর-নগরেও সুদখোরদের তৎপরতা বিস্তৃত হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। অতিথিবৃন্দ সুদমুক্ত সমাজ গঠনে ‘যা নিবা তা দিবা’ উদ্যোগকে শহর পর্যায়ে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।