সুনামগঞ্জ ১১:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্যোগ মোকালোয় রেড ক্রিসেন্ট‘র সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত রেনেসাঁ ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাডগ্রুপ নির্নয় তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি  পুরান বারুংকা মডেল মাদরাসায় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত তাহিরপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র হামদ নাত ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন সততা ও দক্ষতা ব্যবসার মূল পূঁজি : মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম

দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করুন-পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২ ১৪৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে এবং দ্রুত সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে দিরাইয়ের কৃষকরা।

মঙ্গলবার দুপুরে বরাম হাওরের তুফান খালি বাঁধের পাড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এবং এএলআরডি’র সহযোগিতায় আয়োজিত মানববন্ধনে হাওর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা যোগ দেন।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে ও সংস্থার সদস্য অধ্যাপক জ্যোতিষ মজুমদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ রূপন মিয়া, স্থানীয় কৃষক উমর আলী, নিয়ামত আলী, মনু সুক্লবৈদ্য, সুনাফর মিয়া প্রমুখ।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার কথা; কিন্তু এখনো বেশিরভাগ বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি। এটি খুব দুঃখজনক। ইতোমধ্যে বৃষ্টি বাদল শুরু হয়ে গেছে। দেরিতে বাঁধ নির্মাণ করলে বাঁধের মাটি নরম থাকে। পানির ধাক্কায় সহজে বাঁধ ভেঙে যায়। তাই আগে থেকেই বাঁধ নির্মাণ করতে হয়।
মানববন্ধনে কৃষকরা জানান, অনেক বাঁধে মাটি দুরমুজ করা হচ্ছে না, বালু মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে, কোনো কোনো বাঁধে বাঁধের কাছ থেকে মাটি আনা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধের ঢাল বজায় রাখা হচ্ছে না। এতে বাঁধ দুর্বল হচ্ছে। তারা জানান বাঁধের কাজ শেষ হতে অন্তত আরও পনের দিন সময় লাগবে। এতে অকাল বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তাদের মনে শংকা কাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

দ্রুত বাঁধের কাজ শেষ করুন-পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা

আপডেট সময় : ০১:০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২

কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন হাওরাঞ্চলের কৃষকরা। সময়মতো বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ার প্রতিবাদে এবং দ্রুত সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন করেছে দিরাইয়ের কৃষকরা।

মঙ্গলবার দুপুরে বরাম হাওরের তুফান খালি বাঁধের পাড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এবং এএলআরডি’র সহযোগিতায় আয়োজিত মানববন্ধনে হাওর পাড়ের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা যোগ দেন।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে ও সংস্থার সদস্য অধ্যাপক জ্যোতিষ মজুমদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোঃ রূপন মিয়া, স্থানীয় কৃষক উমর আলী, নিয়ামত আলী, মনু সুক্লবৈদ্য, সুনাফর মিয়া প্রমুখ।

পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সকল হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করার কথা; কিন্তু এখনো বেশিরভাগ বাঁধে মাটির কাজই শেষ হয়নি। এটি খুব দুঃখজনক। ইতোমধ্যে বৃষ্টি বাদল শুরু হয়ে গেছে। দেরিতে বাঁধ নির্মাণ করলে বাঁধের মাটি নরম থাকে। পানির ধাক্কায় সহজে বাঁধ ভেঙে যায়। তাই আগে থেকেই বাঁধ নির্মাণ করতে হয়।
মানববন্ধনে কৃষকরা জানান, অনেক বাঁধে মাটি দুরমুজ করা হচ্ছে না, বালু মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে, কোনো কোনো বাঁধে বাঁধের কাছ থেকে মাটি আনা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বাঁধের ঢাল বজায় রাখা হচ্ছে না। এতে বাঁধ দুর্বল হচ্ছে। তারা জানান বাঁধের কাজ শেষ হতে অন্তত আরও পনের দিন সময় লাগবে। এতে অকাল বন্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই ফসল ঘরে তোলা নিয়ে তাদের মনে শংকা কাজ করছে।