শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শ্রেণিকার্যক্রম শুরু হওয়া সময়ের দাবি

- আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২ ২০০ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদকঃ
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের বন্ধ দুয়ার।
সশরীরে ক্লাস শুরুতে চালু হয় মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক-বিশ্ববিদ্যালয়ে। সবার পর সশরীরে ক্লাস শুরু হয় প্রাথমিকে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস। ২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। আর ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে প্রাথমিকে সশরীরে ক্লাস।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সপ্তাহে প্রতিদিন ক্লাস করছেন এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার্থী ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। তবে তাদের সব বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে না। এসএসসি/দাখিল পরীক্ষার্থীদের চারটি এবং দশম শ্রেণিতে তিনটি বিষয়ে ক্লাস হচ্ছে।
এছাড়া অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে এক দিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে ‘ইতোমধ্যে মাধ্যমিকের ১ কোটি ৩৬ লাখ শিক্ষার্থী প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন। আর ১ কোটি ৫ লাখ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছে। বর্তমানে শুধু ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ যাদের দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়নি তারা বাকি রয়েছেন। আশা করা হচ্ছে তাদেরকেও আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’
দেশের সকল দপ্তরের কার্যক্রম স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। অভিভাবকরা বাহিরে যাচ্ছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীও প্রতিষ্ঠানে আসছেন। সবকিছুই যখন অনুকূলে তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রমের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলেই। সরকারের মনোভাবও ইতিবাচক পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তবে যত দ্রুত সম্ভব পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হলে তা শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং দেশ ও জাতি সবার জন্যই কল্যাণকর।