দেশ বিদেশের তুলনামূলক শিক্ষা প্রথম পর্ব

- আপডেট সময় : ১২:১৭:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
লিখেছেন Jaber Ubaed
বিগত ৪ দিন ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় পরীক্ষা পরিদর্শকের দায়িত্বে ছিলাম। সেন্টার ছিল Oxford Spires Academy। এ দায়িত্ব পালন করতে যেয়ে এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
বাংলাদেশে শুধু মাত্র ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। তবে ইউকেতে এ পরীক্ষাগুলোর সময় এসএসসি, এইচএসসি/ সমমানের পরীক্ষার মতোই হাইপ থাকে। যেহেতু এটা তাদের পাবলিক পরীক্ষা। তবে পরীক্ষার আগে বা পরে স্কুলের সীমানায় তেমন কোন গার্ডিয়ান, প্যারেন্টস চোখে পড়ল না।
সে যাইহোক, আমি আমাদের দেশের পাবলিক পরীক্ষার সাথে এ পরীক্ষার দুই একটা বিষয়ের তুলনামূলক দিক আলোচনা করছি।
প্রথমত, আমাদের দেশের পরীক্ষার হল মানে একটি ভীতিকর পরিবেশ। এখানে সেটা তেমন না। এখানে স্টাফরা পরীক্ষার উত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করে। যেমন এক্সাম হলের টেবিলে লজেন্স, চকলেট থাকবে। পরীক্ষার সময়ে যেসব ম্যাটেরিয়ালস দরকার সব থাকে। যেমন কলম, পেন্সিল, রাবার, রুরাল, ক্যালকুলেটর, জ্যামিতি বক্স ইত্যাদি। কেউ বাসা থেকে এসব কিছু না নিয়ে এসেও স্কুল থেকে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারে। কেউ দেরি করে আসলে সে তার জন্য এলোকেটেড টাইম ই পায়। আবার আগ থেকে এপ্রোভাল নিয়ে কেউ ২৫% ও ৫০% পর্যন্ত এক্ট্রা টাইম নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারে। অর্থাৎ পুরো জিনিসটা হচ্ছে স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি।
পরীক্ষার হলে থাকে পিনপতন নিরবতা। স্টাফরা কেউ কারো সাথে গল্পগুজবে মশগুল থাকে না। কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করতে হলে একদম আস্তে করে ফিস ফিস করে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করতে পারে। যেটা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ বিপরীত ।
দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে সাধারণ পাবলিক পরীক্ষায় চিটিংবাজি, নকল ইত্যাদির একটি প্রবনতা থাকে। যেটা এখানে বলতে গেলে নাই ই। স্টাফরাও কোন ইন্সট্রাকশন বুঝিয়ে দেয়া ছাড়া অন্য কোন হেল্প স্টুডেন্টদের করে না। পরীক্ষার হলে ঢুকার আগে সবাইকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চেক করার পাশাপাশি ভালো করে চেক করে হলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়। অনেক স্টুডেন্ট দেখসি তেমন কিছু পারছে না। কিন্তু সামনে বা পেছনে অন্যকেউ ভালো লিখছে। তার দিকে তাকানো বা কথা বলতে চেষ্টা করে না। চার দিনে একদিন একজন একটু চেষ্টা করলেও তার নামে রিপোর্ট করে সাথে সাথে সিট চেঞ্জ করে দেয়া হয়। কেউ কিছু না পারলে বা আগে আগে শেষ করে ফেললে, আস্তে করে বসে থাকে বা চোখ বুজে টেবিলেই একটা ন্যাপ নিয়ে নেয়। সময় হলে খাতা জমা দিয়ে চলে যায়।
তবে এমন পরিবেশে চঞ্চল ছেলে-মেয়েদের জন্য কষ্টের। তাদের একজন আমায় হল থেকে বের হয়ে বলতেছিলো যে এমনভাবে কন্ট্রলড থাকা তার জন্যে অনেক কষ্টের।
আরো অবজারবেশন আছে। আজ আর লিখলাম না। অন্য কোনদিন প্রয়োজনে লিখবো।