ঢাকা ০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে সুদ, ঘুষ নিয়ে ইমামের বয়ানে আওয়ামীলীগ নেতার বাঁধা

মোঃ সুহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার থেকে
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪
  • / 455
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) পবিত্র জুমার নামাজের পূর্বে ধর্মীয় আলোচনা করতে গেলে আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক মসজিদের ইমামকে হুমকি, বাধা প্রদান ও ইমামের সামন থেকে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়. উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর মাঝপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন পবিত্র জুমার নামাজের পূর্বে শিরিকমুক্ত ইবাদত ও ভণ্ডপীর থেকে নিজের ইমান হেফাজত রাখার এবং মদ, গাজা ও সকল ধরনের মাদকের কুফল এসব বিষয়ে আলোচনা করলে আলোচনার এক পর্যায়ে ওই সমাজের মুসল্লি এবং আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ওয়ার্ড সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ ইমামকে ওয়াজ বন্ধ করার হুমকি দেন এবং এক পর্যায়ে মাইক বন্ধ করে দেন।

এসময় উপস্থিত মুসল্লিগণ প্রভাবশালী এই আওয়ামীলীগ নেতার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ একজন ভন্ড প্রকৃতির ও মাজার পূজারি। তিনি প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা খরচ করে পীরের ওরস উৎযাপন করে। চার বারের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি হওয়ায় তার অতিথের ক্ষমতার দাপটে এলাকার কেউ এখনো ভয়ে কথা বলতে পারেনা। এলাকার মানুষজন চায় এলাকা হতে সুদ,ঘুষ,জুয়া ও মাদক ব্যবহার বন্ধ হৌক। কিন্তু শরিফ উল্লাহ এগুলার পক্ষে. তাই মসজিদের ইমাম হক কথা বলায় আজ ইমামকে হুমকি ও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।

ঘটনার পরে মদ, জুয়া, গাঁজা ও সুদের বিরুদ্ধে কথা বলায় মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি প্রদান করে ওই আওয়ামীলীগ নেতা। এতে ইমাম ও চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বস্ত করেন।

এই বিষয়ে মসজিদের ঈমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন মুঠোফোনে জানান দীর্ঘদিন ধরে এই মসজিদের খেদমতে নিয়জিত আছেন।গতকাল জুমার নামাজের আগে সুদ,ঘুষ,জুয়া ও মাদকবিরোধী ওয়াজ করলে উক্ত ব্যক্তি বাধা প্রদান করেন এবং এক পর্যায়ে উনি মাইক বন্ধ করে দেন। উনার এই আচরণে আমি খুবই মর্মাহত হয়ে উক্ত মসজিদের দায়িত্ব ছেড়ে দেই।

অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ বলেন, অন্য একটি বিষয় নিয়ে ইমামের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তা সমাধান ও হয়েছে। ইমাম সাহেব নিজ ইচ্ছেতেই অনেক আগে থেকে মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

দোয়ারাবাজারে সুদ, ঘুষ নিয়ে ইমামের বয়ানে আওয়ামীলীগ নেতার বাঁধা

আপডেট সময় : ০৮:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) পবিত্র জুমার নামাজের পূর্বে ধর্মীয় আলোচনা করতে গেলে আওয়ামীলীগ নেতা কর্তৃক মসজিদের ইমামকে হুমকি, বাধা প্রদান ও ইমামের সামন থেকে মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষিপুর ইউনিয়নে এঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়. উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর মাঝপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসেন পবিত্র জুমার নামাজের পূর্বে শিরিকমুক্ত ইবাদত ও ভণ্ডপীর থেকে নিজের ইমান হেফাজত রাখার এবং মদ, গাজা ও সকল ধরনের মাদকের কুফল এসব বিষয়ে আলোচনা করলে আলোচনার এক পর্যায়ে ওই সমাজের মুসল্লি এবং আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ওয়ার্ড সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ ইমামকে ওয়াজ বন্ধ করার হুমকি দেন এবং এক পর্যায়ে মাইক বন্ধ করে দেন।

এসময় উপস্থিত মুসল্লিগণ প্রভাবশালী এই আওয়ামীলীগ নেতার ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ একজন ভন্ড প্রকৃতির ও মাজার পূজারি। তিনি প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা খরচ করে পীরের ওরস উৎযাপন করে। চার বারের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগের ওয়ার্ড সভাপতি হওয়ায় তার অতিথের ক্ষমতার দাপটে এলাকার কেউ এখনো ভয়ে কথা বলতে পারেনা। এলাকার মানুষজন চায় এলাকা হতে সুদ,ঘুষ,জুয়া ও মাদক ব্যবহার বন্ধ হৌক। কিন্তু শরিফ উল্লাহ এগুলার পক্ষে. তাই মসজিদের ইমাম হক কথা বলায় আজ ইমামকে হুমকি ও চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।

ঘটনার পরে মদ, জুয়া, গাঁজা ও সুদের বিরুদ্ধে কথা বলায় মসজিদের ইমামকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি প্রদান করে ওই আওয়ামীলীগ নেতা। এতে ইমাম ও চাকরি ছেড়ে দেওয়ার আশ্বস্ত করেন।

এই বিষয়ে মসজিদের ঈমাম মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন মুঠোফোনে জানান দীর্ঘদিন ধরে এই মসজিদের খেদমতে নিয়জিত আছেন।গতকাল জুমার নামাজের আগে সুদ,ঘুষ,জুয়া ও মাদকবিরোধী ওয়াজ করলে উক্ত ব্যক্তি বাধা প্রদান করেন এবং এক পর্যায়ে উনি মাইক বন্ধ করে দেন। উনার এই আচরণে আমি খুবই মর্মাহত হয়ে উক্ত মসজিদের দায়িত্ব ছেড়ে দেই।

অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা দাবী করে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উল্লাহ বলেন, অন্য একটি বিষয় নিয়ে ইমামের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তা সমাধান ও হয়েছে। ইমাম সাহেব নিজ ইচ্ছেতেই অনেক আগে থেকে মসজিদ থেকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।