ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাতকে চরম অবহেলা, ৫ মাস আগের মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন শরীরে দিল নার্স, জীবন সংকটে রোগী। তাহিরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে ভিডিপি সদস্যরা আট দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির বৈঠক  নাশকতার মামলায় ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তার শেখ কামাল পাশা স্মৃতি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত ছাতকে মিলনের পক্ষে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা এ কে এম রিপনের গণসংযোগ ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা জামায়াতের যৌথ রুকন (সদস্য) সমাবেশ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ হিট ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগরীর সভাপতি দিলশাদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃমুস্তাফিজুর রহমান দুর্নীতি রুখতে পারলে পাঁচ বছরেই সুনামগঞ্জের উন্নয়ন সম্ভব – তোফায়েল আহমদ খান পুনরায় আমীর নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান

সুনামগঞ্জে মা ও ছেলে খুন রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ

এস এম এ ফয়সল
  • আপডেট সময় : ০৬:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • / 374
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগরে নিজের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মা ও ছেলে। নিহতরা হলেন তারা হলেন শহরের হাছনগররস্থ এসপি বাংলোর পাশ্ববর্তী এলাকার জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী ও ফরিদা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় কাজের ভুয়া এসে ঘরের ভেতরে এই দুইজনের বিভৎস লাশ দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করতে সুনামগঞ্জ পুলিশের সাথে সিলেট থেকে পিবিআই এসে কাজ শুরু করেছে।

হত্যাকাণ্ডের ক্রাইম সিন জব্দ করা হয়েছে। প্রথমিকভাবে আসামীও সনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান সদর থানার ওসি নাজমুল হক।

এদিকে প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, চার  বছর আগে ফরিদা বেগমের স্বামী জাহেদুল ইসলাম মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে স্বামীর সাথে  যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে । বাসায় থাকতেন ফরিদা বেগম ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)। সম্প্রতি খালাতো বোন নার্গিস বেগম ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে ফাহমিদও এই বাসাতেই থাকতো। তিনদিন আগে ঢাকা থেকে এই বাসায় আসে নার্গিস বেগমের ছেলে ফয়সল আহমদ (৩০)। সে মাদকাশক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

ঘটনার পর ফয়সল ও ফাহমিদ এই দুইজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। তবে নার্গিস বেগমকে  অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো: আনোয়ারুজ্জামান  ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এমন নৃশংস ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

সুনামগঞ্জে মা ও ছেলে খুন রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ

আপডেট সময় : ০৬:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জ শহরের হাছননগরে নিজের বাসায় নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন মা ও ছেলে। নিহতরা হলেন তারা হলেন শহরের হাছনগররস্থ এসপি বাংলোর পাশ্ববর্তী এলাকার জাহেদুল ইসলামের স্ত্রী ও ফরিদা বেগম (৫৫) ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় কাজের ভুয়া এসে ঘরের ভেতরে এই দুইজনের বিভৎস লাশ দেখে আশপাশের মানুষকে জানায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রহস্য উদঘাটন করতে সুনামগঞ্জ পুলিশের সাথে সিলেট থেকে পিবিআই এসে কাজ শুরু করেছে।

হত্যাকাণ্ডের ক্রাইম সিন জব্দ করা হয়েছে। প্রথমিকভাবে আসামীও সনাক্ত করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানান সদর থানার ওসি নাজমুল হক।

এদিকে প্রতিবেশী ও স্বজনরা জানিয়েছেন, চার  বছর আগে ফরিদা বেগমের স্বামী জাহেদুল ইসলাম মারা যান। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। মেয়েকে স্বামীর সাথে  যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে । বাসায় থাকতেন ফরিদা বেগম ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মিনহাজুল ইসলাম (২০)। সম্প্রতি খালাতো বোন নার্গিস বেগম ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে ফাহমিদও এই বাসাতেই থাকতো। তিনদিন আগে ঢাকা থেকে এই বাসায় আসে নার্গিস বেগমের ছেলে ফয়সল আহমদ (৩০)। সে মাদকাশক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।

ঘটনার পর ফয়সল ও ফাহমিদ এই দুইজনকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে। তবে নার্গিস বেগমকে  অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো: আনোয়ারুজ্জামান  ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে এমন নৃশংস ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।