সুনামগঞ্জ ০২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সুমেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের নরসিংপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন অধ্যক্ষ আলী নূরের সহধর্মিণীর মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন মধ্যনগরের বৌলাই নদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুরে গ্রাম উন্নয়ন ‘খাস কমিটি’র দুর্নীতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন তাহিরপুর সীমান্তে পৌনে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় ফুসকা জব্দ জগন্নাথপুর সাচায়ানী নন্দিরগাও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮ লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী প্রথম বঙ্গবন্ধু মুন্সী মেহেরুল্লাহ

ফলোআপ

দোয়ারাবাজারে প্রতিপক্ষের হামলা ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থানায় মামলা আটক ১

সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার থেকে
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী তাজুদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আটককৃত আসামী তাজুদ আলী নরসিংপুর ইউনিয়নের উত্তর নেতরছই গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় অন্য আসামীরা হলেন- ওই গ্রামের ১। ইছাক মিয়া (৫২) পিতা মৃত শফাত উল্লাহ, ২। আয়না মিয়া, পিতা : আশিক মিয়া, ৩। তাজুদ আলী পিতা: অজ্ঞাত, ৪। কবির মিয়া, পিতা: তাজুদ আলী ৫। তানভীর মিয়া, পিতা : তাজুদ আলী, ৬। দিলওয়ার মিয়া, পিতা: মৃত মাসুক মিয়া, ৭। আশিক মিয়া পিতা: মৃত শফাত উল্লাহ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে তালার চাবি দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মৃত ছফাত উল্লাহ’র পুত্র ইছহাক মিয়া ও বরকত উল্লার পুত্র জামিল হোসেন ( ২১) মধ্যে মুখামুখি হয়। এসময় ইছহাক মিয়া’র আত্মীয়স্বজন এসে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে লোহার রড,রামদা ও দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করে। এতে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।

এতে গুরুতর আহত জামিল হোসেনের পক্ষের আহতরূ হলেন-মৃত: আব্দুর রশীদ এর পুত্র তোতা মিয়া (৮০),বাদশা মিয়া(৮৫),তোতা মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া (৩৫),বাদশা মিয়ার পুত্র জাহির আলী (৩৫),রজব আলী (৪৫),ইব্রাহিমআলী (২৫),আনছার আলী (২২), রজব আলীর পুত্র হাবিব মিয়া (২২)ও সাজনা বেগম,তাহমিনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য
তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতরা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসারত আছেন। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এঘটনায় পরের দিন নেতরছৈই গ্রামের বরকত আলী’র পুত্র জামিল হোসেন বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, সঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দুষ্কৃতকারী একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ফলোআপ

দোয়ারাবাজারে প্রতিপক্ষের হামলা ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থানায় মামলা আটক ১

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী তাজুদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আটককৃত আসামী তাজুদ আলী নরসিংপুর ইউনিয়নের উত্তর নেতরছই গ্রামের বাসিন্দা।

মামলায় অন্য আসামীরা হলেন- ওই গ্রামের ১। ইছাক মিয়া (৫২) পিতা মৃত শফাত উল্লাহ, ২। আয়না মিয়া, পিতা : আশিক মিয়া, ৩। তাজুদ আলী পিতা: অজ্ঞাত, ৪। কবির মিয়া, পিতা: তাজুদ আলী ৫। তানভীর মিয়া, পিতা : তাজুদ আলী, ৬। দিলওয়ার মিয়া, পিতা: মৃত মাসুক মিয়া, ৭। আশিক মিয়া পিতা: মৃত শফাত উল্লাহ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে তালার চাবি দেয়া-নেয়াকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের মৃত ছফাত উল্লাহ’র পুত্র ইছহাক মিয়া ও বরকত উল্লার পুত্র জামিল হোসেন ( ২১) মধ্যে মুখামুখি হয়। এসময় ইছহাক মিয়া’র আত্মীয়স্বজন এসে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে লোহার রড,রামদা ও দেশীয় অস্ত্র-স্বস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করে। এতে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়।

এতে গুরুতর আহত জামিল হোসেনের পক্ষের আহতরূ হলেন-মৃত: আব্দুর রশীদ এর পুত্র তোতা মিয়া (৮০),বাদশা মিয়া(৮৫),তোতা মিয়ার পুত্র শাহজাহান মিয়া (৩৫),বাদশা মিয়ার পুত্র জাহির আলী (৩৫),রজব আলী (৪৫),ইব্রাহিমআলী (২৫),আনছার আলী (২২), রজব আলীর পুত্র হাবিব মিয়া (২২)ও সাজনা বেগম,তাহমিনা বেগমসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য
তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতরা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসারত আছেন। এরমধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

এঘটনায় পরের দিন নেতরছৈই গ্রামের বরকত আলী’র পুত্র জামিল হোসেন বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, সঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর দুষ্কৃতকারী একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারেও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।