ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কোটি টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি ছাতকে ইউএনও ওসি’র সাথে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে আড়াই কোটি টাকার ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ জগন্নাথপুর উপজেলা উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন -সভাপতি তারা মিয়া, সম্পাদক ফজলুল হক ধর্মপাশায় কনে দেখতে গিয়ে নৌকাডুবি, উকিল ও শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশ পিছিয়ে আছে — এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দিন সিলেটের পাথর কুয়ারী লুটপাটে জামায়াত জড়িত নয়: প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নেতৃবৃন্দের ছাতকে বিদেশি রিভলভার উদ্ধার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সারোয়ার আলম

ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / 149
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগন্নাথপুর উপজেলার কছুর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপক দাস ২২ অক্টোবর থেকে স্কুলে অনুপস্থিত। ডাকযোগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে আরও এক মাসের ছুটির জন্য দরখাস্ত পাঠান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক দিপক দাস ছুটি ছাড়াই বিদ্যালয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় ওই দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উনার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা জগন্নাথপুর থানায় যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এর পর থেকে সহকারী শিক্ষক দিপক দাস পলাতক রয়েছেন। পলাতক থেকে সহকারী শিক্ষক ডাক্তারের সাথে প্রতারণা করে এক মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি পলাতক রয়েছে এবং অদ্যবধি তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

তার বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা।

কছুর কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে মামলার আসামী, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, দিপক দাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। কিন্তু জবাব পাওয়া যায়নি। দিপক দাস এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে অনু উপস্থিত সেটা আমার জানা নেই,
ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বলবো।

জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহবুব জামান বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত শিক্ষক

আপডেট সময় : ১২:২৮:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪

জগন্নাথপুর উপজেলার কছুর কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দিপক দাস ২২ অক্টোবর থেকে স্কুলে অনুপস্থিত। ডাকযোগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে আরও এক মাসের ছুটির জন্য দরখাস্ত পাঠান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক দিপক দাস ছুটি ছাড়াই বিদ্যালয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় ওই দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টেম্বর উনার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা জগন্নাথপুর থানায় যৌতুক ও নারী শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এর পর থেকে সহকারী শিক্ষক দিপক দাস পলাতক রয়েছেন। পলাতক থেকে সহকারী শিক্ষক ডাক্তারের সাথে প্রতারণা করে এক মাসের চিকিৎসাজনিত ছুটি নেন তিনি। এখন পর্যন্ত তিনি পলাতক রয়েছে এবং অদ্যবধি তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

তার বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তার স্ত্রী সহকারী শিক্ষিকা।

কছুর কান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে মামলার আসামী, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

জগন্নাথপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, দিপক দাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। কিন্তু জবাব পাওয়া যায়নি। দিপক দাস এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ে অনু উপস্থিত সেটা আমার জানা নেই,
ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে বলবো।

জেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মাহবুব জামান বলেন, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত এই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্তা নেওয়া হবে।