সুনামগঞ্জ ০২:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম বোরো ধান সংগ্রহে মিলার ও খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা সুনামগঞ্জে বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র বৃদ্ধির দাবি বিএনপির সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ তাহিরপুরে ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল চালকের ঝড়ে উড়ে গেল ভূমিহীন পরিবারের ঘর, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই ট্রাইবেকারে জিতে থ্রি ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাব ফাইনালে

ধর্মপাশায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোর-কিশোরী

মহি উদ্দিন আরিফ, ধর্মপাশা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ৯৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে কিশোর-কিশোরী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের তৎপরতায় এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা বর (১৭)। আর কনে (১৪) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার দুপুরে কিশোরী ও তার বাবা ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে কিশোরীর খালার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চলে আসে। ওই কিশোরীর খালার বাড়িতে একই গ্রামের প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে গোপনে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়। রাত নয়টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজনের খবরটি স্থানীয় দুইজন তরুণের কাছ থেকে জানতে পারেন ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামানকে খোঁজ নিয়ে এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাৎক্ষণিকভাবে ধর্মপাশার থানার এসআই হাফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন থানা পুলিশ নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে কনের খালার বাড়িতে যান। বাল্য বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পেয়ে তাঁরা বর ও কনের পক্ষের লোকজনদেরকের বাল্য বিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরণের স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর দুইপক্ষের লোকজন বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে সম্মত হন।

এ ছাড়া ছেলের বয়স ২১ বছর ও মেয়ের বয়স ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করবেন না বলে বর, বরের বাবা ও কনের বাবা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ধর্মপাশায় বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোর-কিশোরী

আপডেট সময় : ০৩:২৮:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে কিশোর-কিশোরী বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনের তৎপরতায় এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা বর (১৭)। আর কনে (১৪) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা।

সোমবার দুপুরে কিশোরী ও তার বাবা ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের একটি গ্রামে কিশোরীর খালার বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে চলে আসে। ওই কিশোরীর খালার বাড়িতে একই গ্রামের প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে গোপনে বৃহস্পতিবার রাতে ১১টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজন করা হয়। রাত নয়টার দিকে বাল্য বিবাহের আয়োজনের খবরটি স্থানীয় দুইজন তরুণের কাছ থেকে জানতে পারেন ধর্মপাশার ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন।

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপাশা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিদুজ্জামানকে খোঁজ নিয়ে এই বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাৎক্ষণিকভাবে ধর্মপাশার থানার এসআই হাফিজুল ইসলামসহ কয়েকজন থানা পুলিশ নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে কনের খালার বাড়িতে যান। বাল্য বিবাহের আয়োজনের সত্যতা পেয়ে তাঁরা বর ও কনের পক্ষের লোকজনদেরকের বাল্য বিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরণের স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর দুইপক্ষের লোকজন বাল্য বিবাহটি বন্ধ করতে সম্মত হন।

এ ছাড়া ছেলের বয়স ২১ বছর ও মেয়ের বয়স ১৮বছর না হওয়া পর্যন্ত বিবাহের আয়োজন করবেন না বলে বর, বরের বাবা ও কনের বাবা লিখিতভাবে অঙ্গীকার করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, বাল্য বিবাহ রোধে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বরকম প্রচেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।