দেয়াল থেকে তুমার নাম মুছে দিতে দিব না

- আপডেট সময় : ০৯:৩১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ২৩৭ বার পড়া হয়েছে
মফস্বল এলাকায় গরীব ঘরে জন্ম নেওয়া আবু সাঈদকে কয়জনইবা চিনত?
আজ সেই আবু সাঈদের বীরত্বের কাহিনি বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে সুদূর জাতিসংঘের মঞ্চে আলোচনা হচ্ছে।
আবু সাঈদ আলোকবর্তিকা হয়ে দ্রোহের আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে ওয়াসিম থেকে মুগ্ধের শরীরে।
জুলাই ১৬ তারিখ দুপুরবেলা কৃষ্ণচূড়ার ডাল লাল করবার প্রত্যয় নিয়েই সম্ভবত একজন তরুণ দুইহাত প্রসারিত করে বুক টানটান করে দাঁড়ালেন গুলির সামনে।
ক্ষমতাসীনদের দাসে পরিণত হওয়া বাহিনীর কিছু সদস্য সরাসরি গুলি ছুড়লেন আবু সাঈদের বুকে। গুলিতে ঝাঁঝরা শরীর লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। আবু সাঈদের শরীর মাটিতে লুটিয়ে পড়ার সাথে সাথেই লুটিয়ে পড়ছিল ১৬ বছরের জালিমের মসনদ। বাংলাদেশের মানুষ মুক্তি পেয়েছে আওয়ামী শাসনের অন্ধকার অধ্যায় হতে। শহীদ আবু সাঈদের বুক পরিণত হয় বাংলাদেশের হৃদয়ে। । আবু সাঈদ আমাদের প্রেরণা জোগাবে, শক্তি জোগাবে, স্বপ্ন জাগাবে শতাব্দীর পর শতাব্দী। নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার, ক্ষয় নাই। কবিতার লাইনগুলোর প্রতিচ্ছবি হয়ে অমর হয়ে থাকবে আবু সাঈদ। আবু সাইদের নাম লিখা থাকবে সর্বত্র সব জায়গায়। আগামী দিনের প্রজন্ম যেন আবু সাইদ – মুগ্ধের মত বিপ্লবী প্রজন্ম তৈরি হয়। আর যারা বিপ্লবীদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করবে তাদেরকে তরুন প্রজন্ম ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।
আবু সাঈদরা আমাদের প্রেরণার উৎস।