ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 2692
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় তাহিরপুর উপজেলার বিন্নাকুলী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এসময় বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ৫ আগষ্ট এর পর থেকে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু করে একটি সিন্ডিকেট। স্থানীয়দের অভিযোগ একাজে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বাদাঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চান মিয়া মাষ্টার। তাদের সহিত নেপথ্যে সহযোগীতা করেন উপজেলা যুবলীগ নেতা রয়েল, বুরহান। এনিয়ে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বাধা নিষেধ করে ব্যর্থ হয়। গত মংলবার রাতে এনিয়ে স্থানীয় রাজারগাও গ্রামের সামাদ নামের এক যুবক নদীর পাড়কাটার ভিডিও ফেইসবুকে আপলোড করে।  এতে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্যরা সামাদ ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে শারিরীকভাবে হেনস্থা করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পরে এলাকার লোকজন। এতে সামাদের নিজ গ্রাম রাজারগাও ও লামাশ্রমের লোকজন একত্রিত হয়ে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্যদের ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তাদের বাড়ি ঘরে গিয়েও ঘেরাও করে রাখে। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ বাধলে অন্তত ২০ আহত হয়। বিন্নাকুলী বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করে। গুরতর আহতদের মধ্যে মাইনুদ্দিন (৫০), সামাদ (৩৫), মঞ্জু (৩৪)কে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতা মঞ্জুর আলী জানায় নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন নিয়ে প্রতিযোগীতা থেকে সংঘর্ষ হয়।
বিএনপি নেতা চান মিয়া মাষ্টার বলেন সামাদ মাতাল অবস্থায় সুফিয়ান ও রাসেলকে গালাগাল করে।  সামাদের ৮০ ফুটি একটা নৌকা আছে, সেও বালু উত্তোলন করে। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান পুর্ব বিরোধের জের হিসেবে বালু উত্তোলনের একটি ভিডিও আপলোড করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ব্যপারে চান মিয়া মাষ্টারকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

যাদুকাটা নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

 

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ ঘটিকায় তাহিরপুর উপজেলার বিন্নাকুলী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এসময় বাজারে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন ৫ আগষ্ট এর পর থেকে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে অবৈধ বালু উত্তোলন শুরু করে একটি সিন্ডিকেট। স্থানীয়দের অভিযোগ একাজে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন বাদাঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চান মিয়া মাষ্টার। তাদের সহিত নেপথ্যে সহযোগীতা করেন উপজেলা যুবলীগ নেতা রয়েল, বুরহান। এনিয়ে নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা বাধা নিষেধ করে ব্যর্থ হয়। গত মংলবার রাতে এনিয়ে স্থানীয় রাজারগাও গ্রামের সামাদ নামের এক যুবক নদীর পাড়কাটার ভিডিও ফেইসবুকে আপলোড করে।  এতে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্যরা সামাদ ও তার পরিবারকে হুমকি ধামকি শুরু করে। এক পর্যায়ে তাকে শারিরীকভাবে হেনস্থা করায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পরে এলাকার লোকজন। এতে সামাদের নিজ গ্রাম রাজারগাও ও লামাশ্রমের লোকজন একত্রিত হয়ে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট সদস্যদের ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে তাদের বাড়ি ঘরে গিয়েও ঘেরাও করে রাখে। এসময় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ বাধলে অন্তত ২০ আহত হয়। বিন্নাকুলী বাজারে বিক্ষুব্ধ জনতা কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাংচুর করে। গুরতর আহতদের মধ্যে মাইনুদ্দিন (৫০), সামাদ (৩৫), মঞ্জু (৩৪)কে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় আরেক বিএনপি নেতা মঞ্জুর আলী জানায় নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন নিয়ে প্রতিযোগীতা থেকে সংঘর্ষ হয়।
বিএনপি নেতা চান মিয়া মাষ্টার বলেন সামাদ মাতাল অবস্থায় সুফিয়ান ও রাসেলকে গালাগাল করে।  সামাদের ৮০ ফুটি একটা নৌকা আছে, সেও বালু উত্তোলন করে। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় আছেন।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান পুর্ব বিরোধের জের হিসেবে বালু উত্তোলনের একটি ভিডিও আপলোড করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ ব্যপারে চান মিয়া মাষ্টারকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।