ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতি রুখতে পারলে পাঁচ বছরেই সুনামগঞ্জের উন্নয়ন সম্ভব – তোফায়েল আহমদ খান পুনরায় আমীর নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান জগন্নাথপু‌রে কি‌শোরকণ্ঠ মেধাবৃ‌ত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত কলকাতায় মারা গেলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কনিকা বিশ্বাস বালু লুট,অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধে এনসিপির মানববন্ধন অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন সকল দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে—  বিএসপি নেতা কাজী আশিকুর রহমান হাশেমী উগ্র কর্মকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি নাগরিকসমাজের হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন – তোফায়েল আহমদ খান ভিজিডি উপকারভোগীদের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাহিরপুরের শ্রীপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের পরবর্তী শুনানি ২১ জানুয়ারি

আমার সুনামগঞ্জ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 151
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর পুনরুজ্জীবিত করা আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে পৌনে ১২টা শুনানি শুরু হয়ে চলে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত।

 

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেছেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। আজকের শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ের নথির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন আইনজীবীরা।

 

গত ৩ ডিসেম্বর ও ১০ ডিসেম্বর আংশিক শুনানি শেষে আজ তৃতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। এর আগে এ বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, যারা মামলা করেছিলেন তারা জনস্বার্থে তা করেছিলেন বলা হলেও তারা আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেছিলেন। জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

 

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে এ দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে জামায়াতে ইসলামী।
সূত্র:এনটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের পরবর্তী শুনানি ২১ জানুয়ারি

আপডেট সময় : ১২:৫৩:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতে ইসলামীর পুনরুজ্জীবিত করা আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য ২১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

 

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চে আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে পৌনে ১২টা শুনানি শুরু হয়ে চলে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত।

 

আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেছেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক। আজকের শুনানিতে হাইকোর্টের রায়ের নথির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন আইনজীবীরা।

 

গত ৩ ডিসেম্বর ও ১০ ডিসেম্বর আংশিক শুনানি শেষে আজ তৃতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। এর আগে এ বিষয়ে আইনজীবী শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, যারা মামলা করেছিলেন তারা জনস্বার্থে তা করেছিলেন বলা হলেও তারা আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি করেছিলেন। জামায়াতকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তরীকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে একটি রিট আবেদন করেন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের বেঞ্চ ওই রিটের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে। ওই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে জামায়াতের করা আবেদন ওই বছরের ৫ আগস্ট খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

 

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হওয়ার পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন। তাতে এ দলটির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী আপিল করে। শুনানিতে জামায়াতের মূল আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ ওই আপিল খারিজ করে দেয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই আপিল পুনরুজ্জীবনের আবেদন করে জামায়াতে ইসলামী।
সূত্র:এনটিভি