সুনামগঞ্জ ০২:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষা চালালো চীন বাদাঘাটে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের রায় আবারো পেছালো চুনাপাথর ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদ সভা জগন্নাথপুরে আওয়ামীলীগ নেতা সাজ্জাদ খান গ্রেফতার সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য শিবিরের স্মারকলিপি সুমেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের নরসিংপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন অধ্যক্ষ আলী নূরের সহধর্মিণীর মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন

জামালগঞ্জে রিকশা চালক হ’ত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, আ’সামি গ্রে’ফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জামালগঞ্জ উপজেলার বরাউরা হাওরে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক আকরাম হোসেন (১৭) হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিপন আহমদ (৩৪) গ্রেফতার হয়েছে। রিপন জামালগঞ্জ থানার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।

তাকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে আকরাম তার ভাড়ায় চালিত রিকশা নিয়ে সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হন। রাত ৯টার দিকে জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নের বরাউরা হাওরের একটি সড়কে তাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১২ জানুয়ারি ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকরামের মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম ঐ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

 

মামলার পরপরই পুলিশ ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। জামালগঞ্জ থানার এসআই শামীম কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম সুনামগঞ্জ পৌরসভার মোহাম্মদপুর এলাকার কাউছারের কলোনি থেকে আসামি রিপন আহমদকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করে।

রিপন আহমদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে এবং নিহত আকরামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আর্থিক সংকটে থাকা রিপন ঋণ পরিশোধের জন্য আকরামের রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রলোভন দেখিয়ে আকরামকে জামালগঞ্জের দিকে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে বরাউরা হাওরের একটি নির্জন সড়কে পৌঁছালে রিপন আকরামকে রিকশা থামাতে বলেন এবং আকস্মিকভাবে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন। আহত আকরাম বাঁচার চেষ্টা করলে রিপন তার গালে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে।

আকরামকে মৃত ভেবে তার দেহ রাস্তার পাশে কাদায় ফেলে দেন। রিপন রিকশাটি কাদা থেকে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পালানোর সময় সে আকরামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে সে সুনামগঞ্জে শহরে গিয়ে আত্মগোপন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জামালগঞ্জে রিকশা চালক হ’ত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, আ’সামি গ্রে’ফতার

আপডেট সময় : ০৬:৩২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

জামালগঞ্জ উপজেলার বরাউরা হাওরে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালক আকরাম হোসেন (১৭) হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত রিপন আহমদ (৩৪) গ্রেফতার হয়েছে। রিপন জামালগঞ্জ থানার পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে।

তাকে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি দুপুরে আকরাম তার ভাড়ায় চালিত রিকশা নিয়ে সুনামগঞ্জের মোহাম্মদ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হন। রাত ৯টার দিকে জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নের বরাউরা হাওরের একটি সড়কে তাকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে ১২ জানুয়ারি ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকরামের মৃত্যু হয়।

নিহতের বাবা মো. রফিকুল ইসলাম ঐ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়।

 

মামলার পরপরই পুলিশ ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন এবং আসামি গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। জামালগঞ্জ থানার এসআই শামীম কবিরের নেতৃত্বে একটি টিম সুনামগঞ্জ পৌরসভার মোহাম্মদপুর এলাকার কাউছারের কলোনি থেকে আসামি রিপন আহমদকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে গ্রেফতার করে।

রিপন আহমদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ঘটনাস্থল থেকে এবং নিহত আকরামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি সিলেটের গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, আর্থিক সংকটে থাকা রিপন ঋণ পরিশোধের জন্য আকরামের রিকশা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সে অতিরিক্ত ভাড়ার প্রলোভন দেখিয়ে আকরামকে জামালগঞ্জের দিকে নিয়ে যান। রাত ৯টার দিকে বরাউরা হাওরের একটি নির্জন সড়কে পৌঁছালে রিপন আকরামকে রিকশা থামাতে বলেন এবং আকস্মিকভাবে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন। আহত আকরাম বাঁচার চেষ্টা করলে রিপন তার গালে ও গলায় ছুরিকাঘাত করে।

আকরামকে মৃত ভেবে তার দেহ রাস্তার পাশে কাদায় ফেলে দেন। রিপন রিকশাটি কাদা থেকে তোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পালানোর সময় সে আকরামের মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। পরে সে সুনামগঞ্জে শহরে গিয়ে আত্মগোপন করে।