ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দোয়ারাবাজারে কৃষককে কুপিয়ে জখম,থানায় অভিযোগ

সোহেল মিয়া,দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
  • আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 109
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দোয়ারাবাজারে কৃষি জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুজন মিয়া (৩৬) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় গ্রামের মৃত আরশ আলী’র পুত্র আহত সুজন মিয়া।

গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় গ্রামের পশ্চিমে কৃষি জমিতে এঘটনা ঘটে।

এতে অভিযুক্তরা হলেন. রগারপাড় (বড়ময়দান) গ্রামের ওয়ারিছ আলী’র পুত্র আশিকুল ইসলাম (৪০).আতাউর রহমান (৩০) ও হাবিজুর রহমানে’র পুত্র মিজানুর রহমান (১৯).মৃত রাহাত উল্লাহর পুত্র ওয়ারিছ আলী (৭০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়.
উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় গ্রামে পশ্চিমে কৃষি জমিতে শনিবার সন্ধায় ভাড়াটিয়া সেলু মেশিনে সেচের পানি দিচ্ছিলেন সুজন মিয়ার চাচাতো ভাই শরিফ উদ্দিন। এমন সময় অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম জোরপূর্বক শরিফ উদ্দিনের জমির পানি তার জমিতে নিয়ে যায়। এসময় শরিফ উদ্দিন তার জমির পানি আশিকুল ইসলাম জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার কারন জিঙ্গেস করলে দু’জনের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়।

একপর্যায়ে আশিকুল ইসলামের ভাই আতাউর রহমান উপস্থিত হয়ে ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে শরিফ উদ্দিনকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে দু’জনের মুখোমুখিতে আশিকুল ইসলামের হাতে থাকা লোহার রড ও,দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরিফ উদ্দিনকে মারপিট শুরু করে। পরে নিজের প্রান রক্ষায় শরীফ উদ্দিন দৌড়িয়ে তাদের অগোচরে গিয়ে চাচাতো বড় ভাই সুজন মিয়াকে প্রান রক্ষায় কল করে বিষয়টি জানালে তিনি দৌড়িয়ে তাকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলে যায়।

এসময় আশিকুল ইসলাম ও আতাউর রহমান অভিযুক্ত আরও কয়েকজনকে নিয়ে সুজন মিয়াকে মারার জন্য ঘেরাও করে। তখন ওয়ারিছ আলী সুজন মিয়াকে প্রানে মেরে ফেলার হুকুম দিলে তার পুত্র আতাউর রহমানের হাতে থাকা সুলফি দিয়া সুজন মিয়ার বুকে আঘাত করতে সুজন মিয়া কাথ হয়ে গেলে তার বাম হাতের কুনইর উপরে আঘাত লাগে, ছিদ্রযুক্ত মারাত্মক জখম হয় এবং মিজানুর রহমানের হাতে থাকা স্টিলের পাইপ দিয়া তার ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে নীলা ফুলা জখম করে। পরে সুজন মিয়া ও তার চাচাতো ভাই শরিফ উদ্দিনের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার পূর্বক আহত সুজন মিয়াকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এদিকে আহত সুজন মিয়া ও শরীফ উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ও অভিযুক্তের হাতে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আক্রমেনর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। এলাকার একাধিক ব্যক্তি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে
দোষিদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

অন্যদিকে,ঘটনার বিষয়ে আইনী বিচার পেতে দোয়ারাবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে দোয়ারাবাজার থানার এসআই আতিয়ার রহমান৷ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

দোয়ারাবাজারে কৃষককে কুপিয়ে জখম,থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দোয়ারাবাজারে কৃষি জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সুজন মিয়া (৩৬) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় গ্রামের মৃত আরশ আলী’র পুত্র আহত সুজন মিয়া।

গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধায় উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় গ্রামের পশ্চিমে কৃষি জমিতে এঘটনা ঘটে।

এতে অভিযুক্তরা হলেন. রগারপাড় (বড়ময়দান) গ্রামের ওয়ারিছ আলী’র পুত্র আশিকুল ইসলাম (৪০).আতাউর রহমান (৩০) ও হাবিজুর রহমানে’র পুত্র মিজানুর রহমান (১৯).মৃত রাহাত উল্লাহর পুত্র ওয়ারিছ আলী (৭০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়.
উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের রগারপাড় গ্রামে পশ্চিমে কৃষি জমিতে শনিবার সন্ধায় ভাড়াটিয়া সেলু মেশিনে সেচের পানি দিচ্ছিলেন সুজন মিয়ার চাচাতো ভাই শরিফ উদ্দিন। এমন সময় অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম জোরপূর্বক শরিফ উদ্দিনের জমির পানি তার জমিতে নিয়ে যায়। এসময় শরিফ উদ্দিন তার জমির পানি আশিকুল ইসলাম জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার কারন জিঙ্গেস করলে দু’জনের মাঝে তর্কবিতর্ক হয়।

একপর্যায়ে আশিকুল ইসলামের ভাই আতাউর রহমান উপস্থিত হয়ে ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে শরিফ উদ্দিনকে গালিগালাজ শুরু করে। পরে দু’জনের মুখোমুখিতে আশিকুল ইসলামের হাতে থাকা লোহার রড ও,দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শরিফ উদ্দিনকে মারপিট শুরু করে। পরে নিজের প্রান রক্ষায় শরীফ উদ্দিন দৌড়িয়ে তাদের অগোচরে গিয়ে চাচাতো বড় ভাই সুজন মিয়াকে প্রান রক্ষায় কল করে বিষয়টি জানালে তিনি দৌড়িয়ে তাকে রক্ষা করতে ঘটনাস্থলে যায়।

এসময় আশিকুল ইসলাম ও আতাউর রহমান অভিযুক্ত আরও কয়েকজনকে নিয়ে সুজন মিয়াকে মারার জন্য ঘেরাও করে। তখন ওয়ারিছ আলী সুজন মিয়াকে প্রানে মেরে ফেলার হুকুম দিলে তার পুত্র আতাউর রহমানের হাতে থাকা সুলফি দিয়া সুজন মিয়ার বুকে আঘাত করতে সুজন মিয়া কাথ হয়ে গেলে তার বাম হাতের কুনইর উপরে আঘাত লাগে, ছিদ্রযুক্ত মারাত্মক জখম হয় এবং মিজানুর রহমানের হাতে থাকা স্টিলের পাইপ দিয়া তার ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে নীলা ফুলা জখম করে। পরে সুজন মিয়া ও তার চাচাতো ভাই শরিফ উদ্দিনের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার পূর্বক আহত সুজন মিয়াকে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

এদিকে আহত সুজন মিয়া ও শরীফ উদ্দিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার ও অভিযুক্তের হাতে দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে আক্রমেনর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। এলাকার একাধিক ব্যক্তি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে
দোষিদের আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।

অন্যদিকে,ঘটনার বিষয়ে আইনী বিচার পেতে দোয়ারাবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে দোয়ারাবাজার থানার এসআই আতিয়ার রহমান৷ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান,অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।