ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতি রুখতে পারলে পাঁচ বছরেই সুনামগঞ্জের উন্নয়ন সম্ভব – তোফায়েল আহমদ খান পুনরায় আমীর নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান জগন্নাথপু‌রে কি‌শোরকণ্ঠ মেধাবৃ‌ত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত কলকাতায় মারা গেলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কনিকা বিশ্বাস বালু লুট,অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধে এনসিপির মানববন্ধন অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন সকল দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে—  বিএসপি নেতা কাজী আশিকুর রহমান হাশেমী উগ্র কর্মকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি নাগরিকসমাজের হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন – তোফায়েল আহমদ খান ভিজিডি উপকারভোগীদের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাহিরপুরের শ্রীপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

শান্তিগঞ্জে প্রধান শিক্ষক অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

মান্নার মিয়া,শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি::
  • আপডেট সময় : ১০:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 233
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও জেলা প্রশাসক প্রেরিত রিপোর্টে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ও দ্রুত অপসারণের দাবীতে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সচেতন নাগরিকবৃন্দের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কবি আজমল আহমেদ, সলিব নূর বাচ্চু, মাছুম আহমদ জোসেফ ,শুয়েব আহমেদ, মিজানুর রহমান, সিপাউর রহমান, কাউসার আহমেদ ভুট্রো ও রায়েজনুর সহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ধারাবাহিক আইনানুগ প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমরা আশা করি দোষী সাব্যস্থ শিক্ষককে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শীগ্রই অপসারন করবেন।

উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় আমরা মনে করি উক্ত শিক্ষক শিক্ষকতার মত মহান পেশাকে কলংকিত করেছেন। এবং শিক্ষকতা করার মত নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু খবর রটেছে যে উক্ত শিক্ষক খুবই প্রভাবশালী ও মিথ্যুক প্রকৃতির লোক। অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যাবেন বলেও হুশিয়ারী দিয়ে থাকেন। অথচ জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নতুন প্রজন্ম এই শিক্ষকের শিক্ষকতা মেনে নিতে পারেনা।

সর্বোপরি জুলাই বিপ্লব তথা নতুন বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ও অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহারকারী শিক্ষকের পেশী বাহীনির মধ্যে যেকোনো সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ও দ্রুত অপসারণের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। যদি ওই শিক্ষককে অপসারণ না করা হয় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করার হুশিয়ারী দেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

শান্তিগঞ্জে প্রধান শিক্ষক অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১০:৪৮:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শান্তিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও জেলা প্রশাসক প্রেরিত রিপোর্টে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ও দ্রুত অপসারণের দাবীতে সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সচেতন নাগরিকবৃন্দের আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সচেতন নাগরিকবৃন্দের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কবি আজমল আহমেদ, সলিব নূর বাচ্চু, মাছুম আহমদ জোসেফ ,শুয়েব আহমেদ, মিজানুর রহমান, সিপাউর রহমান, কাউসার আহমেদ ভুট্রো ও রায়েজনুর সহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ধারাবাহিক আইনানুগ প্রক্রিয়ায় প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। তাই আমরা আশা করি দোষী সাব্যস্থ শিক্ষককে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শীগ্রই অপসারন করবেন।

উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক কর্তৃক অপরাধী প্রমাণিত হওয়ায় আমরা মনে করি উক্ত শিক্ষক শিক্ষকতার মত মহান পেশাকে কলংকিত করেছেন। এবং শিক্ষকতা করার মত নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।

তারা আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে কিছু খবর রটেছে যে উক্ত শিক্ষক খুবই প্রভাবশালী ও মিথ্যুক প্রকৃতির লোক। অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি শিক্ষকতা চালিয়ে যাবেন বলেও হুশিয়ারী দিয়ে থাকেন। অথচ জুলাই বিপ্লব পরবর্তী সময়ে নতুন প্রজন্ম এই শিক্ষকের শিক্ষকতা মেনে নিতে পারেনা।

সর্বোপরি জুলাই বিপ্লব তথা নতুন বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি ও অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহারকারী শিক্ষকের পেশী বাহীনির মধ্যে যেকোনো সময় অনাকাংখিত ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্নীতি প্রমানিত হওয়ায় বীরগাঁও ইমদাদুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজ মিয়ার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ও দ্রুত অপসারণের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাচ্ছি। যদি ওই শিক্ষককে অপসারণ না করা হয় পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করার হুশিয়ারী দেন সচেতন নাগরিকবৃন্দ।