ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জগন্নাথপুর উপজেলা উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন -সভাপতি তারা মিয়া, সম্পাদক ফজলুল হক ধর্মপাশায় কনে দেখতে গিয়ে নৌকাডুবি, উকিল ও শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশ পিছিয়ে আছে — এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দিন সিলেটের পাথর কুয়ারী লুটপাটে জামায়াত জড়িত নয়: প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নেতৃবৃন্দের ছাতকে বিদেশি রিভলভার উদ্ধার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সারোয়ার আলম তাহিরপুরে ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দোয়ারাবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন নিহত তাহিরপুরে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ডাক্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

ধর্মপাশায় ফসলরক্ষা বাঁধ কাজ শুরুর আগেই বাঁধে ফাটল

বিশেষ প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 126
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরে কাজ শুরুর আগেই একটি বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।

উপজেলার সুখাই—রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ের বাগবাড়ি গ্রামের পাশ্ববর্তী সোনামড়ল হাওরের ২৬নং পিআইসি কর্তৃক নির্মানাধীন ওই বাঁধটি স্থানীয়ভাবে ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গাল হিসেবে হিসেবে পরিচিত। গেল জৈষ্ট মাসে মৎস্য শিকারীরা বাঁধ কেটে দেয়ায় ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গালের গভিরতা বাড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সেটিকে বিপদজনক ভাঙ্গা (ক্লোজার) চিহিত করে ঠাকুরকিত্তা ক্লোজার থেকে আজরাখালী পর্যন্ত ১কি:মি: বাঁধ নির্মানে চলতি বছর ২৫লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ রাখে। সরজমিন বাঁধে গিয়ে দেখা গেছে ঠাকুরকিত্তা অংশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলেও আজরাখালি অংশে এখনো কোন মাটি পড়েনি।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের কাজের অগ্রগতি রিপোর্টে (শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত এই বাঁধে ৪০ ভাগ কাজ দেখানো হয়েছে। আজরাখালি অংশের অন্তত ১০ মিটার জায়গাজুরে নদীর সাইটে ফাটল দেখা দিয়েছে।

একদিকে গভীর কালাপানি নদী অন্যদিকে হাওর পর্যন্ত বিস্তৃত খাল মাঝখানে দাড়িয়ে থাকা উপর নিচ সমান আজরাখালী বাঁধ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন স্লুপ না থাকায় পানি কমার সাথে সাথে বাঁধে ফাটল ধরেছে। নোয়াগাও গ্রামের কৃষক নজির হোসেন বলেন বাঁধের উপরে মাটি ভরাট করা হলেও প্রস্ত বাড়াতে বা স্লুপ তৈরিতে কাজ করেনি কেউ।

সাথে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড ধর্মপাশা উপজেলার ওয়ার্ক এ্যসিস্ট্যান্ট অনন্ত কুমার ফাটল অংশে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁশের আড় দেওয়ার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

পিআইসি কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বৃহষ্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) জানান বরাদ্ধের টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বকেয়া দেয়া যাচ্ছেনা। এক্সেভেটর ট্রাকের ভাড়াও বাকি পড়ে আছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে দাবী করেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ফাটলের বিষয়ে জানান ওই অংশে এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। ফাটল ঠেকাতে শুধু উচচতা বৃদ্ধি না করে হাওরের অংশে প্রসস্থতা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

ধর্মপাশায় ফসলরক্ষা বাঁধ কাজ শুরুর আগেই বাঁধে ফাটল

আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরে কাজ শুরুর আগেই একটি বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।

উপজেলার সুখাই—রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ের বাগবাড়ি গ্রামের পাশ্ববর্তী সোনামড়ল হাওরের ২৬নং পিআইসি কর্তৃক নির্মানাধীন ওই বাঁধটি স্থানীয়ভাবে ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গাল হিসেবে হিসেবে পরিচিত। গেল জৈষ্ট মাসে মৎস্য শিকারীরা বাঁধ কেটে দেয়ায় ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গালের গভিরতা বাড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সেটিকে বিপদজনক ভাঙ্গা (ক্লোজার) চিহিত করে ঠাকুরকিত্তা ক্লোজার থেকে আজরাখালী পর্যন্ত ১কি:মি: বাঁধ নির্মানে চলতি বছর ২৫লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ রাখে। সরজমিন বাঁধে গিয়ে দেখা গেছে ঠাকুরকিত্তা অংশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলেও আজরাখালি অংশে এখনো কোন মাটি পড়েনি।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের কাজের অগ্রগতি রিপোর্টে (শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত এই বাঁধে ৪০ ভাগ কাজ দেখানো হয়েছে। আজরাখালি অংশের অন্তত ১০ মিটার জায়গাজুরে নদীর সাইটে ফাটল দেখা দিয়েছে।

একদিকে গভীর কালাপানি নদী অন্যদিকে হাওর পর্যন্ত বিস্তৃত খাল মাঝখানে দাড়িয়ে থাকা উপর নিচ সমান আজরাখালী বাঁধ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন স্লুপ না থাকায় পানি কমার সাথে সাথে বাঁধে ফাটল ধরেছে। নোয়াগাও গ্রামের কৃষক নজির হোসেন বলেন বাঁধের উপরে মাটি ভরাট করা হলেও প্রস্ত বাড়াতে বা স্লুপ তৈরিতে কাজ করেনি কেউ।

সাথে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড ধর্মপাশা উপজেলার ওয়ার্ক এ্যসিস্ট্যান্ট অনন্ত কুমার ফাটল অংশে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁশের আড় দেওয়ার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

পিআইসি কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বৃহষ্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) জানান বরাদ্ধের টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বকেয়া দেয়া যাচ্ছেনা। এক্সেভেটর ট্রাকের ভাড়াও বাকি পড়ে আছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে দাবী করেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ফাটলের বিষয়ে জানান ওই অংশে এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। ফাটল ঠেকাতে শুধু উচচতা বৃদ্ধি না করে হাওরের অংশে প্রসস্থতা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।