ধর্মপাশায় ফসলরক্ষা বাঁধ কাজ শুরুর আগেই বাঁধে ফাটল

- আপডেট সময় : ০২:০৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সোনামড়ল হাওরে কাজ শুরুর আগেই একটি বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে।
উপজেলার সুখাই—রাজাপুর উত্তর ইউনিয়ের বাগবাড়ি গ্রামের পাশ্ববর্তী সোনামড়ল হাওরের ২৬নং পিআইসি কর্তৃক নির্মানাধীন ওই বাঁধটি স্থানীয়ভাবে ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গাল হিসেবে হিসেবে পরিচিত। গেল জৈষ্ট মাসে মৎস্য শিকারীরা বাঁধ কেটে দেয়ায় ঠাকুরকিত্তা জাঙ্গালের গভিরতা বাড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সেটিকে বিপদজনক ভাঙ্গা (ক্লোজার) চিহিত করে ঠাকুরকিত্তা ক্লোজার থেকে আজরাখালী পর্যন্ত ১কি:মি: বাঁধ নির্মানে চলতি বছর ২৫লাখ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্ধ রাখে। সরজমিন বাঁধে গিয়ে দেখা গেছে ঠাকুরকিত্তা অংশে মাটি ভরাটের কাজ শুরু হলেও আজরাখালি অংশে এখনো কোন মাটি পড়েনি।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের কাজের অগ্রগতি রিপোর্টে (শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত এই বাঁধে ৪০ ভাগ কাজ দেখানো হয়েছে। আজরাখালি অংশের অন্তত ১০ মিটার জায়গাজুরে নদীর সাইটে ফাটল দেখা দিয়েছে।
একদিকে গভীর কালাপানি নদী অন্যদিকে হাওর পর্যন্ত বিস্তৃত খাল মাঝখানে দাড়িয়ে থাকা উপর নিচ সমান আজরাখালী বাঁধ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন স্লুপ না থাকায় পানি কমার সাথে সাথে বাঁধে ফাটল ধরেছে। নোয়াগাও গ্রামের কৃষক নজির হোসেন বলেন বাঁধের উপরে মাটি ভরাট করা হলেও প্রস্ত বাড়াতে বা স্লুপ তৈরিতে কাজ করেনি কেউ।
সাথে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ড ধর্মপাশা উপজেলার ওয়ার্ক এ্যসিস্ট্যান্ট অনন্ত কুমার ফাটল অংশে জিও ব্যাগ দিয়ে বাঁশের আড় দেওয়ার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
পিআইসি কমিটির সভাপতি আবুল কালাম বৃহষ্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) জানান বরাদ্ধের টাকা না পাওয়ায় শ্রমিকদের বকেয়া দেয়া যাচ্ছেনা। এক্সেভেটর ট্রাকের ভাড়াও বাকি পড়ে আছে। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে দাবী করেন তিনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ফাটলের বিষয়ে জানান ওই অংশে এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। ফাটল ঠেকাতে শুধু উচচতা বৃদ্ধি না করে হাওরের অংশে প্রসস্থতা বাড়ানো হবে বলে জানান তিনি।