শান্তিগঞ্জে রাজগড়ি জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধনের পায়তারা

- আপডেট সময় : ০৪:১৪:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে
শান্তিগঞ্জে একটি সুবিধাভোগী চক্র মৎস্য আইনের নীতিমালা তোয়াক্কা না করে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের রাজগড়ি জলমহালে ডিজেল চালিত পাম্প বসিয়ে পানি শুকিয়ে মৎস্য নিধনের পায়তারা করছে। জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরলে একদিকে যেমন মাছের বংশ ধ্বংস হবে অপরদিকে হাওরের কৃষিজমি পড়বে হুমকির মুখে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজগড়ি জলমহাল শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ করণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আজ রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন গনিগঞ্জ গ্রামের কৃষক ফখরুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়, পাথারিয়া ইউনিয়নের গনিগঞ্জ, বাবনিয়া, কুমড়িআইল, তেহকিয়া, গ্রামের হাজার হাজার মানুষ রাজগড়ি বিল পাড়ের বাসিন্দা এবং এই বিল কেন্দ্র করে এই বিশাল জনপদটি গড়ে উঠেছে।
এলাকার শত শত কৃষক জমি হাল চাষের জন্য রাজগড়ী বিলের পানি ব্যবহার করেন এবং পাশাপাশি কৃষি ও সেচ কাজে ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু একটি কুচক্রি মহল পেশি শক্তি ব্যবহার করে এলাকাবাসীর নিষেধ অমান্য করে মাছ ধরার জন্য সেচ মেশিন দিয়ে নদীটি শুকিয়ে ফেলতেছে এবং কিছু অংশ ইতোমধ্যে শুকিয়ে ফেলেছে যা সরকারী জলমহাল রক্ষণাবেক্ষণ আইনের পরপিন্থী।
তাই এলাকাবাসীর স্বার্থে এবং জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে উক্ত রাজগড়ী জলমহালটি শুকিয়ে মাছ না ধরার ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান তিনি।
কৃষক ফখরুল ইসলাম বলেন, রাজগড়ি বিল শুকিয়ে মাছ মারার পায়তারা করছে ইজারাগ্রহীতারা। যদি তারা বিল শুকিয়ে মাছ মারে আমাদের হাওরের ফসল হুমকিতে পড়বে। তাই তারা যাতে বিল শুকিয়ে মাছ না মারতে পারে এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত প্রদক্ষেপ চান কৃষকরা৷
জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য নিধণের ব্যাপারে কুমড়িআইল স্বর্ণালি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা বিল শুকাচ্ছি না, এলাকার মানুষ জমিতে পানি দেয়ার জন্য নিজেরাই মেশিন লাগিয়েছেন। নিয়মনীতি অনুযায়ী বিলে পানি আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মানুষ জমিতে পানি নিতে চাইলে আমাদের করার কিছু নেই।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে যদি সমিতির লোকজন সরকারী নীতিমালা লঙ্গন করে জলমহাল শুকিয়ে মৎস্য আহরন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।