সুনামগঞ্জ ০৭:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিক সমাধানের জন্য স্মারকলিপি প্রদান সুমেক শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নিন্দা ও যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান শিবিরের নরসিংপুর সমাজ কল্যাণ সংস্থার ২০২৫ সেশনের কমিটি গঠন অধ্যক্ষ আলী নূরের সহধর্মিণীর মৃত্যু : বিভিন্ন মহলের শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন মধ্যনগরের বৌলাই নদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুরে গ্রাম উন্নয়ন ‘খাস কমিটি’র দুর্নীতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন তাহিরপুর সীমান্তে পৌনে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় ফুসকা জব্দ জগন্নাথপুর সাচায়ানী নন্দিরগাও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮ লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলামসহ বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এই ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ডা. শফিকুর রহমান গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নির্দোষ জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা বারবার তাদের মুক্তির দাবি জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এই জুলুমের প্রতিবাদে আমি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার এই সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। আমি আশা করি, তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সময়মতো আমি আদালতে হাজির হব এবং আমার দাবির প্রতি সমর্থন জানাব।”

এটিএম আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন জামায়াত নেতা। তার মুক্তির দাবিতে জামায়াত ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া না মেলায় দলটি নতুন কৌশল হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডা. শফিকুর রহমানের এই ঘোষণা জামায়াত ইসলামীর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। এটি সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

জামায়াত ইসলামীর এই ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জামায়াত ইসলামী তাদের সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে চাইছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি এবং জামায়াত ইসলামীর এই নতুন কৌশল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা

আপডেট সময় : ০৮:২৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলামসহ বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। এই ঘোষণা রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

ডা. শফিকুর রহমান গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নির্দোষ জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামসহ আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কারাগারে রাখা হয়েছে। আমরা বারবার তাদের মুক্তির দাবি জানালেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। এই জুলুমের প্রতিবাদে আমি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আদালতে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার এই সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। আমি আশা করি, তারা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন। সময়মতো আমি আদালতে হাজির হব এবং আমার দাবির প্রতি সমর্থন জানাব।”

এটিএম আজহারুল ইসলাম যুদ্ধাপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন জামায়াত নেতা। তার মুক্তির দাবিতে জামায়াত ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া না মেলায় দলটি নতুন কৌশল হিসেবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডা. শফিকুর রহমানের এই ঘোষণা জামায়াত ইসলামীর রাজনৈতিক কৌশলের অংশ। এটি সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

জামায়াত ইসলামীর এই ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে জামায়াত ইসলামী তাদের সমর্থকদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সৃষ্টি করতে চাইছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবি এবং জামায়াত ইসলামীর এই নতুন কৌশল বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলে, তা এখন সময়ই বলে দেবে।