সুনামগঞ্জ ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ট্রাইবেকারে জিতে থ্রি ব্রাদার্স স্পোর্টিং ক্লাব ফাইনালে শান্তিগঞ্জে যুবলীগ নেতা শহীদ মিয়া গ্রেফতার দোয়ারায় সুরমা ইউনিয়নে উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন তাহিরপুরে ইভটিজিংয়ের শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী মাথা ও হাতে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছাতক সিমেন্ট কোম্পানির সিবিএ সভাপতি গ্রেফতার দিলসাদ কালাম হাজেরা বালিকা বিদ্যালয়ের ভূমিদাতা কুমুদ চন্দ্র তালুকদারের সংবর্ধনা সড়ক অবরোধ করে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক আজ বুধবার লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ডা. শফিকুর রহমানের সাক্ষাৎ ইসরাইলিদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো মালদ্বীপ

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম 

শাল্লার সাবেক ইউএনও ও পাউবো কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাওরের বোরো ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার উপজেলার সাবেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের কৃষক প্রতাকী রঞ্জন দাস বাদী হয়ে সাবেক ইউএনও এসএম তারেক (বর্তমানে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক), পাউবো বর্তমান শাখা কর্মকর্তা রিপন আলীসহ ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও সদস্য সচিবসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের আবেদন করেন। মামলায় উপজেলার ভেরামোহনা হাওর, ভাণ্ডা বিল হাওর ও বরাম হাওরের ৭টি পিআইসি নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণকাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধের নিকটবর্তী জমির মালিক কৃষক ও উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করে পিআইসি গঠন করে কাজ করতে হয়। কিন্তু ৭টি পিআইসির মধ্যে অনেক পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট বাঁধের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক নয় এমনকি উপকারভোগীও নয়। অজ্ঞাত কারণে ওই ৭টি পিআইসির বাধের নিকটবর্তী জমির মালিকদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

উপজেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামত না নিয়ে যোগসাজশে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে পিআইসিগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পিআইসি গঠন করে সম্পূর্ণ বাঁধের কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মামলার বাদী প্রতাকী রঞ্জন দাস বলেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর কৃষকের একমাত্র বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। তারপরও প্রশাসন ও পিআইসির লোকজন নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করে বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করেন। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ না করতে পারায় ফসল ঝুঁকিতে থাকে। তাই এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে শাল্লা উপজেলার সাবেক ইউএনও এসএম তারেক ও পাউবোর শাল্লা উপজেলার শাখা কর্মকর্তা রিপন আলী বলেছেন, পিআইসি গঠনে কোন অনিয়ম হয়নি। নীতিমালা মেনে জেলা প্রশাসকের পরামর্শে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কৃষকদের দিয়েই পিআইসি গঠন করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন বলেন, আদালত কৃষকের অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন, পরে আদেশ দিবেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম 

শাল্লার সাবেক ইউএনও ও পাউবো কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

হাওরের বোরো ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে শাল্লার উপজেলার সাবেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের কৃষক প্রতাকী রঞ্জন দাস বাদী হয়ে সাবেক ইউএনও এসএম তারেক (বর্তমানে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক), পাউবো বর্তমান শাখা কর্মকর্তা রিপন আলীসহ ৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও সদস্য সচিবসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের আবেদন করেন। মামলায় উপজেলার ভেরামোহনা হাওর, ভাণ্ডা বিল হাওর ও বরাম হাওরের ৭টি পিআইসি নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণকাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) নীতিমালা অনুযায়ী বাঁধের নিকটবর্তী জমির মালিক কৃষক ও উপকারভোগীদের সম্পৃক্ত করে পিআইসি গঠন করে কাজ করতে হয়। কিন্তু ৭টি পিআইসির মধ্যে অনেক পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিব সংশ্লিষ্ট বাঁধের পার্শ্ববর্তী জমির মালিক নয় এমনকি উপকারভোগীও নয়। অজ্ঞাত কারণে ওই ৭টি পিআইসির বাধের নিকটবর্তী জমির মালিকদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

উপজেলা কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মতামত না নিয়ে যোগসাজশে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে পিআইসিগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে পিআইসি গঠন করে সম্পূর্ণ বাঁধের কাজ না করে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মামলার বাদী প্রতাকী রঞ্জন দাস বলেন, হাওরে বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর কৃষকের একমাত্র বোরো ধান পানিতে তলিয়ে যায়। তারপরও প্রশাসন ও পিআইসির লোকজন নীতিমালা বহির্ভূত কাজ করে বাঁধের কাজে অনিয়ম দুর্নীতি করেন। এমনকি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ না করতে পারায় ফসল ঝুঁকিতে থাকে। তাই এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।

অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে শাল্লা উপজেলার সাবেক ইউএনও এসএম তারেক ও পাউবোর শাল্লা উপজেলার শাখা কর্মকর্তা রিপন আলী বলেছেন, পিআইসি গঠনে কোন অনিয়ম হয়নি। নীতিমালা মেনে জেলা প্রশাসকের পরামর্শে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কৃষকদের দিয়েই পিআইসি গঠন করা হয়েছে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. মল্লিক মঈন উদ্দিন বলেন, আদালত কৃষকের অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য রেখেছেন, পরে আদেশ দিবেন।