ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ছাতকে চরম অবহেলা, ৫ মাস আগের মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন শরীরে দিল নার্স, জীবন সংকটে রোগী। তাহিরপুরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের পাশে ভিডিপি সদস্যরা আট দলীয় জোটের লিয়াজো কমিটির বৈঠক  নাশকতার মামলায় ধর্মপাশায় আওয়ামী লীগ নেতার গ্রেপ্তার শেখ কামাল পাশা স্মৃতি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত ছাতকে মিলনের পক্ষে সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা এ কে এম রিপনের গণসংযোগ ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা জামায়াতের যৌথ রুকন (সদস্য) সমাবেশ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বাস্তবায়ন ও প্রশিক্ষণ হিট ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগরীর সভাপতি দিলশাদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃমুস্তাফিজুর রহমান দুর্নীতি রুখতে পারলে পাঁচ বছরেই সুনামগঞ্জের উন্নয়ন সম্ভব – তোফায়েল আহমদ খান পুনরায় আমীর নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান

যাদুকাটায় চাঁদা দাবির জেরে সংঘর্ষ, দুই বিএনপি নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৩:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 385
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি দলীয় নেতা আবুল কালাম গ্রুপ এবং আশরাফ আলী তালুকদার গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে।

এতে আশরাফ আলী (৫৫)  এবং তার ছেলে জুবায়ের (৩০)    দুইজনই আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।

সোমবার  (০৩ মার্চ ) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘাগটিয়া এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন।

আবুল কালাম গ্রুপের  দাবি আশরাফ আলী তালুকদার গ্রুপের লোকজন শ্রমিকদের নিকট চাঁদা  চাওয়াকে কেন্দ্র করে  এই মারামারি ঘটনা ঘটে।

আশরাফ আলী তালুকদার  বলছেন, পূর্ব থেকেই চাঁদা দাবি করে আসছিল আবুল কালামের ছেলে তালহা সহ তার গ্রুপের লোকজন।
চাঁদা না দেওয়ার কারণে অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে আহত করে।

বাদাঘাট এলাকার ওমর ফারুক বলেন,আবুল কালাম সুনামগঞ্জে থাকতেন। ৫ আগষ্টের পর তিনি এলাকায় গিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তার চাঁদাবাজির বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। যারা চাঁদা না দেয়,তাদেরকে হামলা করে। ঠিক একইভাবে আজকে আশরাফ আলী তালুকদার এর উপর হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি দলীয় নেতা  আবুল কালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারি আমরা করিনি।

মারামারি করেছে গড়গাটি গ্রামের আশরাফ আলী এবং তার ছেলে জুবায়ের। তাদের সাথে আরও তিনজন লোক ছিল।
ওরা ভোর ছয়টায় গেছে ঘাকটিয়া এলাকায়।

এখানে তাদের ঘর নেই বাড়ি নেই। জমিজমা নেই,কিছুই নেই। সেখানে গিয়ে যারা বালু উত্তোলন করে তারা লেবার।এই লেবারদের কাছে চাঁদা দাবি করছে।  লেবাররা চাঁদা না দেওয়ায়, তাদের সাথে মারামারি হয়েছে।ওরা কোনো ব্যবসা করে না। ওরা বাবা – ছেলে চাঁদাবাজ।

তিনি আরো বলেন, আমি জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য। আমি চাঁদাবাজি করব কেন?  আমি সাদামাটা জীবন যাপন করি।

আমার বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজির প্রমাণ দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।আর রাজনীতি করবনা।

আহত আশরাফ আলী তালুকদার  বলেন, কালাম বাহিনী ৫ আগষ্টের পর থেকে নদীতে চাঁদাবাজী সহ অন্যের জায়গা দখল করে অন্যায়ভাবে এসব করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অনেক ডকুমেন্টস আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসব কর্মকাণ্ড ভাইরাল  করা  হয়েছে।
আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে।

চাঁদা না দেওয়ার কারণে আজকে সকালে ঘাগটিয়া এলাকায় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আবুল কালাম গ্রুপের তালহা,রুবেল,রানু মেম্বার সহ ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা,হকিস্টিক সহ অতর্কিত হামলা করে আমাকে এবং আমার ছেলেকে আহত করে।

আহত জুবায়ের বলেন, আমি সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমার কর্মস্থলে যাই।
এসময় আবুল কালাম গ্রুপের ছেলে তালহা সহ রানু মেম্বার এবং আরও ৭/৮ জন এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, হকিস্টিক সহ আমাকে হামলা করে এবং আমার বাবার উপর হামলা করে।
আমরা চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলা চালিয়ে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আজকে সকালে মারামারি হয়েছে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

যাদুকাটায় চাঁদা দাবির জেরে সংঘর্ষ, দুই বিএনপি নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

আপডেট সময় : ০৩:০০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

বিএনপি দলীয় নেতা আবুল কালাম গ্রুপ এবং আশরাফ আলী তালুকদার গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছে।

এতে আশরাফ আলী (৫৫)  এবং তার ছেলে জুবায়ের (৩০)    দুইজনই আহতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠান।

সোমবার  (০৩ মার্চ ) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঘাগটিয়া এলাকায়  এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টা চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছেন।

আবুল কালাম গ্রুপের  দাবি আশরাফ আলী তালুকদার গ্রুপের লোকজন শ্রমিকদের নিকট চাঁদা  চাওয়াকে কেন্দ্র করে  এই মারামারি ঘটনা ঘটে।

আশরাফ আলী তালুকদার  বলছেন, পূর্ব থেকেই চাঁদা দাবি করে আসছিল আবুল কালামের ছেলে তালহা সহ তার গ্রুপের লোকজন।
চাঁদা না দেওয়ার কারণে অতর্কিত হামলা করে তাদেরকে আহত করে।

বাদাঘাট এলাকার ওমর ফারুক বলেন,আবুল কালাম সুনামগঞ্জে থাকতেন। ৫ আগষ্টের পর তিনি এলাকায় গিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

তার চাঁদাবাজির বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। যারা চাঁদা না দেয়,তাদেরকে হামলা করে। ঠিক একইভাবে আজকে আশরাফ আলী তালুকদার এর উপর হামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিএনপি দলীয় নেতা  আবুল কালাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মারামারি আমরা করিনি।

মারামারি করেছে গড়গাটি গ্রামের আশরাফ আলী এবং তার ছেলে জুবায়ের। তাদের সাথে আরও তিনজন লোক ছিল।
ওরা ভোর ছয়টায় গেছে ঘাকটিয়া এলাকায়।

এখানে তাদের ঘর নেই বাড়ি নেই। জমিজমা নেই,কিছুই নেই। সেখানে গিয়ে যারা বালু উত্তোলন করে তারা লেবার।এই লেবারদের কাছে চাঁদা দাবি করছে।  লেবাররা চাঁদা না দেওয়ায়, তাদের সাথে মারামারি হয়েছে।ওরা কোনো ব্যবসা করে না। ওরা বাবা – ছেলে চাঁদাবাজ।

তিনি আরো বলেন, আমি জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি, বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য। আমি চাঁদাবাজি করব কেন?  আমি সাদামাটা জীবন যাপন করি।

আমার বিরুদ্ধে কোনো চাঁদাবাজির প্রমাণ দেখাতে পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।আর রাজনীতি করবনা।

আহত আশরাফ আলী তালুকদার  বলেন, কালাম বাহিনী ৫ আগষ্টের পর থেকে নদীতে চাঁদাবাজী সহ অন্যের জায়গা দখল করে অন্যায়ভাবে এসব করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অনেক ডকুমেন্টস আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এসব কর্মকাণ্ড ভাইরাল  করা  হয়েছে।
আমার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে।

চাঁদা না দেওয়ার কারণে আজকে সকালে ঘাগটিয়া এলাকায় সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আবুল কালাম গ্রুপের তালহা,রুবেল,রানু মেম্বার সহ ৭/৮ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা,হকিস্টিক সহ অতর্কিত হামলা করে আমাকে এবং আমার ছেলেকে আহত করে।

আহত জুবায়ের বলেন, আমি সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আমার কর্মস্থলে যাই।
এসময় আবুল কালাম গ্রুপের ছেলে তালহা সহ রানু মেম্বার এবং আরও ৭/৮ জন এসে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রামদা, হকিস্টিক সহ আমাকে হামলা করে এবং আমার বাবার উপর হামলা করে।
আমরা চাঁদা না দেওয়ায় এই হামলা চালিয়ে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আজকে সকালে মারামারি হয়েছে। আমাদের কাছে এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।