ঢাকা ১২:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্নীতি রুখতে পারলে পাঁচ বছরেই সুনামগঞ্জের উন্নয়ন সম্ভব – তোফায়েল আহমদ খান পুনরায় আমীর নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান জগন্নাথপু‌রে কি‌শোরকণ্ঠ মেধাবৃ‌ত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত কলকাতায় মারা গেলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কনিকা বিশ্বাস বালু লুট,অনিয়ম দূর্নীতি বন্ধে এনসিপির মানববন্ধন অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন সকল দলের অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে—  বিএসপি নেতা কাজী আশিকুর রহমান হাশেমী উগ্র কর্মকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি নাগরিকসমাজের হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন – তোফায়েল আহমদ খান ভিজিডি উপকারভোগীদের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাহিরপুরের শ্রীপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন

এস এম মিজানুর রহমান :
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 237
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কাবিটা স্কীম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবী প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার( ১২) মার্চ দুপুর ১২ ঘটিকায় শহীদ মুক্তিযুদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির আয়োজনে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ চিত্ত রন্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায়, বক্তব্য রাখেন হাওড় বাচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আসাদুল্লাহ সরকার,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। হাওড় বাচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, জেলা কমিটির সহ সভাপতি আলীনুর প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢিলেঢালা ভাবে বাঁধের কাজ করা হয়েছে।
গা ছাড়া কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্বায়মুক্তি পাবে না। অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করে শুধু শুধু লোটপাট এবং দুর্নীতি হয়েছে।

উল্লেখ যে, চলতি বোর মৌসমে হাওড়ে ফসলের সুরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের   অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৫ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু  মার্চের ১০ তারিখ সময় বাড়ানোর পরও হাওড়ের অনেক বাঁধে দরমুজ, ড্রেসিং, ঘাস লাগানো হয়নি। কাগজে কলমে শতভাগ কাজ শেষ হলেও বাস্তবে ৭৫ ভাগ কাগজও শেষ হয়নি।

এছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করেন,  পুরাতন বাঁধকে মেশিন দিয়ে মাটি কুড়ে নতুন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্লোজারের কাজ পরিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হয়নি।

তাই আগামী দিনে হাওরাঞ্চলের ফসল হুমকির সম্মুখীন, হাওরপাড়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় কতৃপক্ষকে নিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবি প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

কাবিটা স্কীম প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষের দাবী প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার( ১২) মার্চ দুপুর ১২ ঘটিকায় শহীদ মুক্তিযুদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির আয়োজনে  সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

হাওড় বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অধ্যক্ষ চিত্ত রন্জন তালুকদারের সভাপতিত্বে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলনের সঞ্চালনায়, বক্তব্য রাখেন হাওড় বাচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি আসাদুল্লাহ সরকার,কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়। হাওড় বাচাও আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি ইয়াকুব বখত বাহলুল, জেলা কমিটির সহ সভাপতি আলীনুর প্রমুখ।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ঢিলেঢালা ভাবে বাঁধের কাজ করা হয়েছে।
গা ছাড়া কাজ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্বায়মুক্তি পাবে না। অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণ করে শুধু শুধু লোটপাট এবং দুর্নীতি হয়েছে।

উল্লেখ যে, চলতি বোর মৌসমে হাওড়ে ফসলের সুরক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে ৬৮৬টি প্রকল্পের   অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ কাজ শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৫ কাজ শেষ করার কথা। কিন্তু  মার্চের ১০ তারিখ সময় বাড়ানোর পরও হাওড়ের অনেক বাঁধে দরমুজ, ড্রেসিং, ঘাস লাগানো হয়নি। কাগজে কলমে শতভাগ কাজ শেষ হলেও বাস্তবে ৭৫ ভাগ কাগজও শেষ হয়নি।

এছাড়াও বক্তারা অভিযোগ করেন,  পুরাতন বাঁধকে মেশিন দিয়ে মাটি কুড়ে নতুন করা হয়েছে। অনেক জায়গায় ক্লোজারের কাজ পরিপুর্ণভাবে সম্পন্ন হয়নি।

তাই আগামী দিনে হাওরাঞ্চলের ফসল হুমকির সম্মুখীন, হাওরপাড়ের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর দায় কতৃপক্ষকে নিতে হবে।