ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উগ্র কর্মকাণ্ড ও গুমের অভিযোগে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি নাগরিকসমাজের হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার প্রয়োজন – তোফায়েল আহমদ খান ভিজিডি উপকারভোগীদের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাহিরপুরের শ্রীপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে টাংগুয়ার হাওরে ঘুরতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু মনোনয়ন চান বিএনপির ২ নেতা একক প্রার্থী অন্য দলের উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টির আলোচনা সভা সুনামগঞ্জ শিবিরের দারসুল কুরআন অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ ১ আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত এমপির পথসভা জনসভায় পরিণত বিশ্বম্ভরপুরে তাহিয়া একাডেমির আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দৌড়: মাঠে সরব সম্ভাব্য প্রার্থীরা

দোয়ারাবাজারে সংঘর্ষে আহত যুবকের চিকিৎসাধীন মৃত্যু

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 629
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দোয়ারাবাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক আব্দুস সামাদ (৩৫) মৃত্যু বরণ করেছেন।

প্রায় ৪ দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর আজ বুধবার(১২ মার্চ) ভোর রাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

নিহত আব্দুস সামাদ দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কাউয়াঘর গ্রামের মৃত আনজব আলী’র পুত্র ।

এর আগে গত ৮ই মার্চ শনিবার পারিবারিক বিরোধের জেরে আব্দুস সামাদ ও ওয়ারিশ আলী’র পক্ষের লোকজনদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আব্দুস সামাদ গুরুতর আহত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়.দু’পক্ষের
মারামারির ঘটনায় আহত আব্দুস সামাদকে হাসপাতালে পাঠানোর পর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় শালিসের মাধ্যমে এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

তবে শালিস না মেনে ওয়ারিশ আলী ও নশাদ আলী’র নির্দেশে দিলাল মিয়া, মিজান আহমদ, সফিক আলী, সমজ আলী, সৈরত আলী ও শাজাদ মিয়া আব্দুস সামাদকে এলোপাথারী মারধর করে মারাত্মকভাবে জখম করে।

এ ঘটনায় আহতদের প্রথমে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত আব্দুস সামাদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত রবিবার( ৯ মার্চ) ১১ জনকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সামাদের বড় ভাই আব্দুল মান্নান। অভিযোগ দায়েরের চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সামাদের। এর পূর্বে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় দোয়ারাবাজার থানার এসআই আসলাম মিয়া’রর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২ জন আসামীকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, কাউয়াঘর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহতের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের’র পর অভিযান চালিয়ে দিলাল মিয়া ও সফিক আলী নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার আহতদের পক্ষের আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যাক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

দোয়ারাবাজারে সংঘর্ষে আহত যুবকের চিকিৎসাধীন মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

দোয়ারাবাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবক আব্দুস সামাদ (৩৫) মৃত্যু বরণ করেছেন।

প্রায় ৪ দিন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর আজ বুধবার(১২ মার্চ) ভোর রাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

নিহত আব্দুস সামাদ দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কাউয়াঘর গ্রামের মৃত আনজব আলী’র পুত্র ।

এর আগে গত ৮ই মার্চ শনিবার পারিবারিক বিরোধের জেরে আব্দুস সামাদ ও ওয়ারিশ আলী’র পক্ষের লোকজনদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আব্দুস সামাদ গুরুতর আহত হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়.দু’পক্ষের
মারামারির ঘটনায় আহত আব্দুস সামাদকে হাসপাতালে পাঠানোর পর স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় শালিসের মাধ্যমে এই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হয়।

তবে শালিস না মেনে ওয়ারিশ আলী ও নশাদ আলী’র নির্দেশে দিলাল মিয়া, মিজান আহমদ, সফিক আলী, সমজ আলী, সৈরত আলী ও শাজাদ মিয়া আব্দুস সামাদকে এলোপাথারী মারধর করে মারাত্মকভাবে জখম করে।

এ ঘটনায় আহতদের প্রথমে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য গুরুতর আহত আব্দুস সামাদকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

পরবর্তীতে এ ঘটনায় গত রবিবার( ৯ মার্চ) ১১ জনকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সামাদের বড় ভাই আব্দুল মান্নান। অভিযোগ দায়েরের চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সামাদের। এর পূর্বে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকায় দোয়ারাবাজার থানার এসআই আসলাম মিয়া’রর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ২ জন আসামীকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, কাউয়াঘর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহতের লোকজন থানায় অভিযোগ দায়ের’র পর অভিযান চালিয়ে দিলাল মিয়া ও সফিক আলী নামের দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ বুধবার আহতদের পক্ষের আব্দুস সামাদ নামের এক ব্যাক্তির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।