ফসল তোলার আগেই ঈদের বাজার
তাহিরপুরে উৎসবের রঙিন চিত্রে কৃষকের দীর্ঘশ্বাস

- আপডেট সময় : ১২:৪৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫ ১১১ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে হাওড়ের জনপদ তাহিরপুরের বাজারগুলোতে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি (আনোয়ারপুর, শ্রীপুর, নতুন বাজার, তাহিরপুর সদর, বাদাঘাট, ও বড়ছরা ) সহ হাটবাজারগুলো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরেজমিনে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতায় মুখরিত।
তবে ঈদ উৎসবের রঙিন আয়োজনের অন্তরালে লুকিয়ে আছে কৃষকদের আর্থিক সংকট ও ঈদের পোশাকের দামের উর্ধ্বগতি নিয়ে সাধারণ মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
বাজারে কেনাকাটার জোয়ার থাকলেও কৃষকের হাতে চলছে চৈত্রের টাকার খরা। উপজেলার প্রায় ৯০% মানুষ কৃষি নির্ভর হওয়ায় কেনাকাটার আমেজে কিছুটা ভাটা পড়েছে।
শুকনায় ধান আর বর্ষায় মাছ এই দুইয়ে চলে হাওর জনপদের মানুষের জীবন জীবিকা। বর্তমানে দু’টিই প্রায় বন্ধ। চৈতের খরা আর অনাবৃষ্টির কারণে হাওর শুকিয়ে খা খা করছে। তাছাড়া সোনালী পাকা ধান ঘরে তুলতে সময় লাগতে পারে আরও ১মাস।
এ অবস্থায় ঈদের বাড়তি ব্যয় বহুলাংশেই তাদের নাগালের বাইরে। স্থানীয় পোশাক ব্যাবসায়ীদের মতে, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ক্রেতাসংখ্যা কম, কেনার ক্ষমতাও সীমিত। তবুও বাজারগুলোতে ঈদের আমেজ জমেছে ভিন্ন মাত্রায়।
তবে তাহিরপুরের বাণিজ্যিক রাজধানীর খ্যাত বাদাঘাট বাজারের কাপড়ের দোকান, জুতা, টেইলারস সহ কসমেটিকস এর দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মত।
বাদাঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মুহিবুর রহমান আমার সুনামগঞ্জ ডটকমকে জানান, “চাহিদামাফিক ও গুনগত সুলভ পণ্য আনার কারণে বিক্রি ভালো হচ্ছে। সকাল থেকেই ভিড় বাড়ছে।”
এছাড়া, কয়েকটি ফ্যাশনের কর্মীরা বলছেন, ইফতারে পর থেকেই দোকানগুলোতে ভিড় জমে বেশি। সুতিও আধুনিক ডিজাইনের শার্ট-প্যান্টের পাশাপাশি বাচ্চাদের পোশাকের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
অন্যদিকে ক্রেতাদের কণ্ঠে কিছুটা ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে।। পরিবারসহ কেনাকাটা করতে আসা মো সাদ্দাম হোসেনের ভাষ্য, “শিশুদের জামা থেকে বড়দের শাড়ি-পাঞ্জাবি—সবই গতবারের চেয়ে কিছুটা দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে।
ফসলের নিশ্চুপ প্রতীক্ষা আর বাজারের চকচকে ঈদের উৎসব দুই চিত্রের মিশেলে এবারের ঈদ হাওরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য নিয়ে এসেছে মিশ্র অনুভূতি। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা কিছুটা জমবে।