ঢাকা ০৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জগন্নাথপুর উপজেলা উন্নয়ন সংস্থা ইউকে’র উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠন -সভাপতি তারা মিয়া, সম্পাদক ফজলুল হক ধর্মপাশায় কনে দেখতে গিয়ে নৌকাডুবি, উকিল ও শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার দুর্নীতি ও অপশাসনের কারণে দেশ পিছিয়ে আছে — এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদ্দিন সিলেটের পাথর কুয়ারী লুটপাটে জামায়াত জড়িত নয়: প্রমাণের চ্যালেঞ্জ নেতৃবৃন্দের ছাতকে বিদেশি রিভলভার উদ্ধার সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিলেন মো. সারোয়ার আলম তাহিরপুরে ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দোয়ারাবাজারে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুইজন নিহত তাহিরপুরে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ডাক্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

সরকারি ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ

২৫০ রকম ওষুধ মিলবে এক-তৃতীয়াংশ দামে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 140
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো ‘সরকারি ফার্মেসি’চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তিন ভাগের এক ভাগ দামে এসব ফার্মেসিগুলোতে মিলবে বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।’

তিনি বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য উপকার করবে। ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে এর মাধ্যমে আরও সহজলভ্য করা যাবে।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারছেন না, ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি ফার্মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে উল্লেখ করে সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

সরকারি ফার্মেসি চালুর উদ্যোগ

২৫০ রকম ওষুধ মিলবে এক-তৃতীয়াংশ দামে

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

সারা দেশের সব সরকারি হাসপাতালে প্রথমবারের মতো ‘সরকারি ফার্মেসি’চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তিন ভাগের এক ভাগ দামে এসব ফার্মেসিগুলোতে মিলবে বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরনের ওষুধ।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সারাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরে সরকারি ফার্মেসি চালু করা হবে। গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিতের লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ ২৫০ ধরনের ওষুধ তিন ভাগের এক ভাগ দামে পাবেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। নতুন উদ্যোগ হিসেবে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল চত্বরে ফার্মেসি চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এতে ২৫০ ধরনের ওষুধ এক-তৃতীয়াংশ দামে পাবেন সাধারণ মানুষ।’

তিনি বলেন, সরকারের এই উদ্যোগটি সাধারণ মানুষের জন্য উপকার করবে। ওষুধের খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে এর মাধ্যমে আরও সহজলভ্য করা যাবে।

ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বর্তমানে ওষুধের উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে পারছেন না, ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এই সমস্যা সমাধানে সরকারি ফার্মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতি বছর সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ইডিসিএল প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকার ওষুধ কিনে থাকে উল্লেখ করে সায়েদুর রহমান বলেন, ‘এখন থেকে বাজেট বাড়িয়ে আরও বেশি পরিমাণে ওষুধ কেনা হবে। সরকারের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ সময়মতো সরবরাহ করা যায়, তা নিশ্চিত করা হবে।’