আমাদের ইনভেস্টমেন্ট দরকার, জব দরকার; এটা কমন পলিসি

- আপডেট সময় : ০৬:১৫:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
রাত ১২.৩০-এ বাসায় ফিরেছি।
ইউটিউবে আশিক চৌধুরীর ২২ মিনিটের প্রেস কনফারেন্সের পুরোটা দেখলাম। ০৭ মিনিটের প্রেজেন্টেশনটাও দেখলাম।
এখনো খাইনি, ডাইনিং-এ বসে লিখছি।
আজ সারাদিন ট্রেন্ডিং ছিল ইনভেস্টমেন্ট সামিট, তাই না? টানটান উত্তেজনা। কত ইনভেস্টমেন্ট কনফার্ম হলো, কারা ইনভেস্টমেন্ট এগ্রি করলো, কোন খাতে ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে, জব ক্রিয়েট হচ্ছে কত ইত্যাদি। বলা যায় একটা ইনভেস্টমেন্ট ডে’র আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো দেশে। তরুণরা সোস্যাল মিডিয়াতে লিখছে, টকশোতে বোদ্ধারা পর্যালোচনা করছে। নেগেটিভ-পজেটিভ ইমপ্যাক্ট খুঁজে বের করা হচ্ছে।
বুকে হাত রেখে বলুন তো, দেশ নিয়ে এমন স্বতঃস্ফূর্ত হাইপ ঠিক কতদিন আগে উঠেছিল? আপনি এভাবে স্বপ্নচারী ঠিক কবে হয়েছিলেন? এমন সুখানুভবের মুখোমুখি ঠিক কবে হয়েছিলেন?
একটা ভিডিওতে দেখলাম—নগদের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ২০২৩-এর ইনভেস্টমেন্ট সামিটে ১০ হাজার টাকার গল্প শুনিয়ে আপা আপা ফেনা তুলছেন। আপার সে কি হাসি! আমি একজন সচেতন রাজনৈতিক কর্মী এবং তরুণ ব্যবসায়ী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ২০২৩-এর সামিটের খবর জানতামই না!
আহারে! মনে পড়ছে সংসদ অধিবেশনের কথা। এমপিদের নির্লজ্জ বক্তব্য শুনে ২০১৩ সালের পর সংসদের কোনো অধিবেশন একদিনের জন্য শুনতেও আগ্রহ পাইনি। কাগজে লেখা বক্তব্য রিডিং পড়তে এমপি মহোদয়ার গলার কম্পন শুনেছি। সংসদে এক গায়িকা গান গেয়ে বলছেন—আরেকটা গান শুনাই? সবাই দাঁত বের করে খিলখিল হেসে বলছে—ওয়ান মোর, ওয়ান মোর। গায়িকা সংসদ সদস্য মনের সুখে গাইছেন—
‘আমি দেশ-বিদেশে ঘুরে ঘুরে জয়বাংলার গান গাই,
আমার নেত্রী শেখ হাসিনা, তুলনা যার নাই।
এই বিশ্ব যারে করে গণ্য,
আজকে তার কারণে আমরা ধন্য।
এমন একজন নেত্রীর জন্য আমি দুআ চাই।
আমার নেত্রী শেখ হাসিনা, তুলনা যার নাই।’
গানের ফাঁকে ফাঁকে সংসদ সদস্যদের তুমুল করতালি। আমাদের পবিত্র সংসদ এভাবেই চলেছে।
আজ প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার আশিক চৌধুরীর পারফরম্যান্স দেখলাম। বড্ড ইচ্ছে করছে—দেশ পরিচালনায় তার সাথে অংশীদার হতে। দেশ নিয়ে স্বপ্নের পরিধি বাড়ছে৷
আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বগুড়ার একটি সংসদীয় আসনে লড়াই করব ইনশাআল্লাহ। নমিনেশন ডিক্লেয়ারেশনের পর গত এক মাস অস্বাভাবিক পরিশ্রম করেছি। দায়িত্বশীল এবং সহকর্মীরা একটু বিশ্রামের পরামর্শ দিচ্ছেন। ভাবছিলাম, একটু বিশ্রাম দরকারও।
কিন্তু আজকের ইনভেস্টমেন্ট সামিট তো আমার সকল ক্লান্তি দূর করে দিলো। আমি আরও এক বছর ক্লান্তিহীন দৌড়াতে পারব ইনশাআল্লাহ।
আশিক চৌধুরীকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলো—নির্বাচিত সরকার আসলে কি আপনাদের ইন্টেরিম গভর্মেন্টের ইনভেস্টমেন্ট পলিসি কি চেঞ্জ হয়ে যাবে?
আশিক চৌধুরী উত্তর দিলেন—’নির্বাচিত সরকার আসলেও যে ইনভেস্টমেন্ট পলিসি চেঞ্জ হবে না, তার বড়ো কারণ আজকের সামিট। পরবর্তীতে সরকার গঠন করতে পারে, এমন সকল রাজনৈতিক দল আজকের সামিটে তাদের দলীয় টিমসহ অংশগ্রহণ করেছে। অতীতে কখনো কি অন্য দল এমন সামিটে এসেছিল? সংবিধান নিয়ে দলভেদে ডিফারেন্ট পলিসি থাকতে পারে; কিন্তু ইনভেস্টমেন্ট আর জব ক্রিয়েশন নিয়ে সব দলের পলিসি অবশ্যই একই হবে। আমাদের ইনভেস্টমেন্ট দরকার, জব দরকার; এটা কমন পলিসি।’
কথাগুলো আমাকে দারুণ স্পর্শ করেছে।
ইনশাআল্লাহ, আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণে আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করব। এক দারুণ বাংলাদেশের স্বপ্নে আমরা বিভোর!