শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম রাইজুলের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল বুধবার রাতে এই ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু ঘটে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বীরগাঁও গ্রামের দক্ষিণের মাঠে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়।
সংবাদ শিরোনাম ::
চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন জানাজায় মানুষের ঢল

শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০৮:৪৯:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে
এসময় উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়ন থেকে হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি ও জনপ্রনিধিরা গিয়ে জানাজায় শরিক হন। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য নাদীর আহমদ, আনছার উদ্দিন ও মো. ফারুক আহমদ, পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, জয়কলস ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল বাছিত সুজন, পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহীনুর রহমান শাহীন, পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুর রহমান শহীদসহ উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ এলাকার হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।
এদিকে পুলিশের হেফাজতে থাকা চেয়ারম্যানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ৩০ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় ‘অপারেশন ডেভিলহান্ট’ পরিচালনা করে নিজ বাড়ি থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলামকে সন্ধেহজনকভাবে গ্রেফতার করে শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশ। জেলা হাজতে গুরুতর অসুস্থ হলে ৫ এপ্রিল শনিবার পুলিশি হেফাজতে সিলেটের এমএজি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপালাতে পাঠানো হয় তাঁকে। মস্তিষ্কের রক্তকরণে মঙ্গলবার সকালে মাথায় বড় ধরণের অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর। এর একদিন পর বুধবার রাত ১০টা ২০ মিনিটের সময় পুলিশি হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনরা এই মৃত্যুর জন্য পুলিশ ও কারা কতৃর্পক্ষকে দোষারোপ করেছেন।