চুনাপাথর ব্যবসায়ীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশে প্রতিবাদ সভা

- আপডেট সময় : ১২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ১৫৯ বার পড়া হয়েছে
ভারত থেকে চুনাপাথর আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা করেছে সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় অবস্থিত এলসি স্টেশন চেলা-ইছামতী ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন।
সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকালে ছাতক-দোয়ারাবাজার দুই উপজেলার সংযোগস্থল ইছামতী বাজারে এসভার আয়োজন করে চুনাপাথর ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি।
প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন,
গত ১৯ এপ্রিল (শনিবার) দৈনিক মানবজমিন,দৈনিক সিলেটের ডাক, দৈনিক জৈন্তাবার্তা ও ২১ এপ্রিল দৈনিক পুনভূমি পত্রিকায় কোম্পানিগঞ্জ-ছাতক সীমান্তবর্তী সোনাই নদীতে বাঁধ দিয়ে চাঁদাবাজি “শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি মিথ্যা ও বানোয়াট।
ছাতক উপজেলার ইছামতী ও দোয়ারাবাজার উপজেলার চেলা এলসি স্টেশন’র চুনাপাথর ব্যবসায়ীরা চেলা ও ইছামতী ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের অধিনস্থে ভারত থেকে বৈধপথে চুনাপাথর আমদানির ব্যবসা করে আসছ।
এসোসিয়েশন’র সদস্যরা বৈধ পন্থায় সরকারকে আগাম ভ্যাট/ ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে ইছামতী নদী দিয়ে চুনাপাথর আমদানির ব্যবসা করছে আসছেন। শুঁকনো মৌসুমে নদীর পানি কম থাকায় সিলেট জেলাধীন কোম্পানিগঞ্জ ভোলাগঞ্জের বিভিন্ন ক্রাশার মিলে পাথর সরবরাহ করে থাকি।
এতে সোনাই নদীতে রাবারড্রাম প্রজেক্ট চালু থাকায় বোরো মৌসুমে পানি ভরাট থাকায় সোনাই নদীতে ছাতক এবং কোম্পানিগঞ্জ সীমান্তের গাংপার নামক স্থানে ব্যবসায়ীরা বিগত ৩ বছর যাবত পানিপ্রবাহের রাস্তা বেধে ডাইবেশন রোড/ টেম্পোরালি বাঁধ দিয়ে থাকেন।
প্রতিবছর বাঁধ নির্মানের পূর্বে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে অবগত করে বাঁধ নির্মান করে আসছি এবং ব্যবসা প্রসারের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে আসছেন।
ডাইবেশন রোড চালু থাকলে ব্যবসায়ীরা ভোলাগঞ্জে পাথর বেশি সরবরাহ করতে পারায় সরকার ভ্যাট ও ট্যাক্স বেশি পেয়ে থাকে এবং এলাকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়।
এই রোড দিয়ে চেলা-ইছামতী ইম্পোর্টার্স এন্ড সাপ্লায়ার্স এসোসিয়েশন’র সকল সদস্যদের মতো গ্রুপের অন্যতম সদস মো: ইলিয়াস আলী ও পাথরের ব্যবসা করে থাকেন। ব্যবসায়ী কিংবা এলাকাবাসী কাউকে চাঁদা দেয়না। প্রতি বছর ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনের অর্থায়নে বাঁধের আশপাশের সড়ক সংস্কারের কাজ ও করা হয়ে থাকে।
এবছরও ১০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে যা এখনো চলমান। কিন্তু একটি মহল উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে ব্যবসায়ী ইলিয়াস আলী’র বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে যা একদম মিথ্যা ও বানোয়াট। ব্যবসায়ীদের দাবি সিলেটের বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিক ও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সত্য মিথ্যা যাচাই করে সঠিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
এছাড়া দৈনিক মানবজমিন, সিলেটের ডাক,পুন্যভূমি ওজৈন্তাবার্তা পত্রিকায় সংগঠনের সহসভাপতি ইউপি সদস্য শফিক আলীকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং উদ্দেশ্য প্রনোদীত ভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ কারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। অন্যতায় ভারত ও বাংলাদেশ সরকারকে ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে বৈধ পথে চলে আসা চুনাপাথর আমদানিকারক ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে।
প্রতিবাদ সভা ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সেক্রেটারি বেলাল হোসেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন
সভাপতি আব্দুল হাই,সহসভাপতি ইউপি সদস্য শফিক আলী, সদস্য আবুল মিয়া,রুস্তম আলী,বতু মিয়া,মানিক মিয়া,জসিমউদদীন, জয়নাল মিয়া,আজিমুর রহমান,মোবারক হোসেন।
এসময় স্থানীয় সবর আলী,বাহারউদ্দিন,মন্তাজ খা,নুরুল ইসলাম,সামচুমিয়া,ইছাক আলী,দুলাল আহমদ,আলমগীর হোসেন,সাদেক আলী,খুরশিদ আলম,রুপন মিয়া,শামিম আহমদ,রাহেল মিয়া,শাহিন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।