পর্যটকদের সুবিধার্থে ১ লা মে হোটেল রেস্টুরেন্টে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত
মে দিবস কে সামনে রেখে সিলেটে মতবিনিময়

- আপডেট সময় : ০৭:৩৬:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন মে দিবসকে সামনে রেখে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে অদ্য ২৩ এপ্রিল ২০২৫ইং, বুধবার, সকাল ১১:৩০ ঘটিকায় চেম্বার কনফারেন্স হলে সিলেটের হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট চেম্বারের সভাপতি মুজিবুর রহমান মিন্টু। স্বাগত বক্তব্যে চেম্বার সভাপতি বলেন, সিলেট বাংলাদেশের আধ্যাত্মিক নগরী ও পর্যটন নগরী হিসেবে খ্যাত।
মাজার জিয়ারত ও সিলেটের দর্শনীয় স্থানসমূহ দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক পর্যটক শুক্রবার সহ সরকারী ছুটির দিনগুলোতে সিলেটে অবস্থান করেন। তাদের জন্য সিলেটের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো ছুটির দিনেও খোলা থাকে। এদিকে রেস্টুরেন্ট শ্রমিকগণ মে দিবসে রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার বিপক্ষে। তার উক্ত দিন ছুটি প্রদানের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ দাবী জানিয়ে আসছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর মে দিবসে (১লা মে ২০২৪) হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা রাখার বিষয়কে কেন্দ্র করে সিলেটের কয়েকটি স্থানে রেস্টুরেন্টে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে রেস্টুরেন্ট মালিকগণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। উক্ত ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।
তিনি বলেন, মে দিবসকে কেন্দ্র করে কোন ব্যবসায়ী বা শ্রমিকগণ ক্ষতিগ্রস্থ হন তা আমরা কখনই চাই না। অপরদিকে আধ্যাত্মিক নগরী ও পর্যটন নগরী হিসেবে পর্যটকদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখাও আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আসন্ন মে দিবসে সিলেটের হোটেল রেস্টুরেন্ট খোলা থাকবে কি না সে ব্যাপারে আলোচনার লক্ষ্যে অদ্যকার সভা আহবান করা হয়েছে।
সভায় বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি- সিলেট জেলা শাখা, সিলেট জেলা ক্যাটারার্স গ্রুপ, দক্ষিণ সুরমা রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, সিলেট মহানগর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন, সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, সিলেট রেঁস্তোরা শ্রমিক দল ও অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
উপস্থিত সকলেই সিলেট পর্যটন নগরী হিসেবে পর্যটকদের সুবিধার্থে মে দিবসে হোটেল-রেস্টুরেন্ট খোলা থাকার ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। তবে যেসব শ্রমিকগণ ছুটি গ্রহণ করতে চান তারা স্ব-বেতনে ছুটি পাবেন এবং যেসব শ্রমিকগণ কাজ করতে চান তারা বেতন সহ একদিনের বেতনের সমপরিমান টাকা বোনাস হিসেবে পাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় আরো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সকল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ তাদের কর্মীরা যেন কোন হোটেল-রেস্টুরেন্টে হামলা-ভাংচুর না করে তার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ সকল হোটেল-রেস্টুরেন্টে মে দিবসে ছুটি গ্রহণে আগ্রহী কর্মীদের ছুটি প্রদান এবং যারা স্বেচ্ছায় কাজ করবে তাদের বেতন ও বোনাস প্রদানের ব্যাপারটি নিশ্চিত করবেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মোঃ আব্দুস সামাদ, পরিচালক ফাহিম আহমদ চৌধুরী, এনায়েত আহমদ, সিলেট কোতায়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউল হক, সিটিএসবি’র প্রতিনিধি মোঃ মুত্তাকিন, বাংলাদেশ রেঁস্তোরা মালিক সমিতি- সিলেট জেলা শাখার সভাপতি খালেদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক বদরুল ইসলাম, আইন উপদেষ্টা এডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পি, সিলেট জেলা ক্যাটারার্স গ্রুপের সভাপতি খলিলুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন চৌধুরী, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ছাদেক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনছার, সিলেট রেঁস্তোরা শ্রমিক দল এর সভাপতি বাচ্চু মিয়া, সিলেট মহানগর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ কামরান হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হোছাইন আহমদ, সিলেট মহানগর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা রেঁস্তোরা মালিক সমিতি-১৫১৪ এর সভাপতি মোঃ দিলশাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমদ, অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, মোঃ রাশেদ আহমদ ভূঁইয়া, ইমান আলী, মোঃ ছাদিকুর রহমান, মোঃ সফিকুল ইসলাম, সামসুল হক প্রমুখ।