সংবাদ শিরোনাম ::
আমরা ধর্ম ও পেশার ভিত্তিতে সমাজের বিভাজনকে ঘৃণা করি: জামায়াত আমির

আমার সুনামগঞ্জ ডেস্ক:
- আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমি যদি চিকিৎসক হয়ে সংখ্যালঘু না হই, তাহলে হিন্দু হলে সংখ্যালঘু বলবে কেন? আমরা ধর্ম ও পেশার ভিত্তিতে সমাজের বিভাজনকে ঘৃণা করি। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে, আমরা তার পক্ষে।
ভিন্নধর্মাবলম্বীদের কেউ জামায়াতের ব্যানারে নির্বাচন করতে চাইলে জামায়াত তার পক্ষ হয়ে জনগণের কাছে যাবে বলে ঘোষণা দেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, আপনারা সব কথা মুক্ত মনে বলবেন। আপনারা এলে মোস্ট ওয়েলকাম আর না এলে ভালোবাসাটা চাই। কোনো ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়, আপনার নিজের এবং দেশের জন্য।
তিনি বুধবার রাতে রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের সোশ্যাল গার্ডেন হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যে কোনো ধর্মেরই হোক না কেন, নির্যাতিত হয়ে আপদ মনে করে কেউ নিজের দেশ ছাড়বেনÑ এটা আমরা দেখতে চাই না। অতীতে যারা জালিমের হাতে নির্যাতিত হয়ে আপদ মনে করে দেশ ছেড়েছেন, তাদের নিজের দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। এটা তার জন্মগত অধিকার। যদি এ রকম করতে পারি, তাহলে সারা দুনিয়া শিক্ষা নেবে। আমরা কি মানবতার এই উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারি না?
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় এতে ভিন্নধর্মাবলম্বীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা, জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, বাংলাদেশ বৌদ্ধকৃষ্টি প্রচার সংঘের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বরূপানন্দ, সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি ও সাবেক ডিআইজি নির্বাক চন্দ্র মাঝি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে, প্রিন্সিপাল অনুপম বড়ুয়া, সুজন দে প্রমুখ।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ধর্মের নেতা ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।