ঢাকা ০২:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিতা : অনসূয়া মেয়ে অভিমানিনী

আ.খ.ম. ফারুক আহমদ
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 140
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চিন্তা আমি করি না তবে দু’জন নিয়ে ভাবি,

যাদের শত ভালোবাসি মেটাই তাদের দাবি।
জিজ্ঞাসিল দুলালি আমায় আসবে বাবা কবে?
বললাম আমি ব্যস্ত এখন একটু দেরি হবে।

বললো, আজ আসো না যদি খাব না আমি ভাত,
ভেঙে আকাশ পড়ার ভয়ে মাথায় রাখি হাত।
যাহরা নামের কচি মেয়ে আমার গলার হার,
সে তো আমার ঘনিষ্ঠ অতি কত কথা শুনি তার।

মেয়েই নয়, সে যে আমার বন্ধুওতো বটে,
অনসূয়া তবে অভিমানিনী অল্পতে যায় চটে।
আবারো বলে কও না কথা, দেও না কেন ফোন ?
রাগ করেছ ? ব্যথা পেয়েছ ? ভালো নয় নাকি মন?
মা ছাড়াই হয়েছে বড় থেকে আমার কোলে,
লুকাতো না কোন কিছু বলতো হৃদয় খোলে।

ক্ষুব্ধ হয়ে বলছে এবার দিচ্ছ নাতো সাড়া,
বসছি না তাই বই নিয়ে আর টেবিলে তুমি ছাড়া।
তার কথার কোনো জবাব নেইতো আমার জানা,
প্রশ্ন সেতো করতেই থাকে করি না তারে মানা।

কথাগুলো তার শুনে আমি পড়ি দারুণ শোকে,
ঝড়ের বেগে রওয়ানা দেই সিলেট অভিমুখে।
অশ্রু আমার গড়িয়ে পড়ে বেয়ে নয়ন দু’টি,
ব্যথা কিছুটা লাঘব হলে আসন থেকে উঠি।
দু’হাত তুলে দুয়া করি বড়ো করো তাদের প্রভু,
সকল দানে ধন্য করো ভুলে যেয়ো না কভু।
আ-মিন, আ-মিন, আমিন।

প্রধান শিক্ষক
সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
সুনামগঞ্জ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

কবিতা : অনসূয়া মেয়ে অভিমানিনী

আপডেট সময় : ০৯:০৩:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

চিন্তা আমি করি না তবে দু’জন নিয়ে ভাবি,

যাদের শত ভালোবাসি মেটাই তাদের দাবি।
জিজ্ঞাসিল দুলালি আমায় আসবে বাবা কবে?
বললাম আমি ব্যস্ত এখন একটু দেরি হবে।

বললো, আজ আসো না যদি খাব না আমি ভাত,
ভেঙে আকাশ পড়ার ভয়ে মাথায় রাখি হাত।
যাহরা নামের কচি মেয়ে আমার গলার হার,
সে তো আমার ঘনিষ্ঠ অতি কত কথা শুনি তার।

মেয়েই নয়, সে যে আমার বন্ধুওতো বটে,
অনসূয়া তবে অভিমানিনী অল্পতে যায় চটে।
আবারো বলে কও না কথা, দেও না কেন ফোন ?
রাগ করেছ ? ব্যথা পেয়েছ ? ভালো নয় নাকি মন?
মা ছাড়াই হয়েছে বড় থেকে আমার কোলে,
লুকাতো না কোন কিছু বলতো হৃদয় খোলে।

ক্ষুব্ধ হয়ে বলছে এবার দিচ্ছ নাতো সাড়া,
বসছি না তাই বই নিয়ে আর টেবিলে তুমি ছাড়া।
তার কথার কোনো জবাব নেইতো আমার জানা,
প্রশ্ন সেতো করতেই থাকে করি না তারে মানা।

কথাগুলো তার শুনে আমি পড়ি দারুণ শোকে,
ঝড়ের বেগে রওয়ানা দেই সিলেট অভিমুখে।
অশ্রু আমার গড়িয়ে পড়ে বেয়ে নয়ন দু’টি,
ব্যথা কিছুটা লাঘব হলে আসন থেকে উঠি।
দু’হাত তুলে দুয়া করি বড়ো করো তাদের প্রভু,
সকল দানে ধন্য করো ভুলে যেয়ো না কভু।
আ-মিন, আ-মিন, আমিন।

প্রধান শিক্ষক
সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
সুনামগঞ্জ।