সুনামগঞ্জ ০৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেত্রী শামীমা আক্তার হাসিনার পিএস সহ গ্রে’ফ’তা’র পরকালীন সাফল্যই মুমিনের চূড়ান্ত লক্ষ্য : ফখরুল ইসলাম সুনামগঞ্জে জুলাই”২৪ গণঅভ্যুত্থানে আহত জুলাই যোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরন সুনামগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে সেমিনার  সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না: সারজিস ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে জামায়াতের সমাবেশে হামলা-গুলি জাতীয় পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা থাকলে দায়িত্ব আমার : শিশির মনির নতুন সংগঠন ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’ আত্মপ্রকাশ নসকস কার্যকরী পরিষদের বার্ষিক পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জে মশাল মিছিল

যাদুকাটা নদী দ্রুত খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০২:২২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় বালি-পাথার উত্তোলন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় যাদুকাটা নদীর দুই পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক শ্রমজীবী পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন করছে।

তাই অতি দ্রুততম যাদুকাটা নদীতে বালু পাথর উত্তোলনের কাজ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শ্রমজীবী নারী পুরুষ।

আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে যাদুকাটা নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের সাধারণ শ্রমিকদের আয়োজনে
যাদুকাটা নদীর তীরে মানববন্ধনটি করা হয়।

এ সময় যাদুকাটা নদীর বাংলা কয়লা সমবায় সমিতির সভাপতি লাউড়েরগড় গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, নদীতে কাজ বন্ধ থাকায় নদীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় লক্ষাধিক শ্রমজীবী পরিবার এখন খেয়ে না খেয়ে কোনরকম বেচে আছে।

নদীতে কাজ করতে না পারায় তারা তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। পরিবার পরিজনের অসুখ বিসুখ হলে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পাচ্ছে। এ নদীতে কাজ বন্ধ থাকায় এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিন্তাইসহ সীমান্তে চোরাচালান কাজে জড়িয়ে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নদী যদি আরও কিছুদিন বন্ধ থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি হবে। তাই অতি দ্রুত যাদুকাটা নদীর কাজ খোলে দিলে শ্রমজীবী মানুষ কাজ করে তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারবে এবং অপরাধ কর্মকাণ্ডও কমে যাবে।

 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, লাউড়েরগড় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মোতালিব, সাধারণ সম্পাদক রহিছ মিয়া, লাউড়েরগড় গ্রামের পল্লী চিকিৎসা ডাক্তার জামাল হোসেন, মোদেরগাঁও গ্রামের তাবারক হোসেন, কামরুল ইসলাম, ঘাগড়া গ্রামের শ্রমিক সর্দার রমজান আলী, লাউড়েরগড় ছড়ারপাড় গ্রামের দেলোয়ার হোসেন সাবু, মিয়ারছড় গ্রামের বালু শ্রমিক লাল মিয়া, ঘাগটিয়া গ্রামের হোসেন আলী, আব্দুল বারেক, শরিফ উদ্দিন, রহমত আলী প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

যাদুকাটা নদী দ্রুত খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ০২:২২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় বালি-পাথার উত্তোলন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় যাদুকাটা নদীর দুই পাড়ের অর্ধশতাধিক গ্রামসহ আশপাশের কয়েকটি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক শ্রমজীবী পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন করছে।

তাই অতি দ্রুততম যাদুকাটা নদীতে বালু পাথর উত্তোলনের কাজ উন্মুক্ত করে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শ্রমজীবী নারী পুরুষ।

আজ ৮ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে যাদুকাটা নদীর পার্শ্ববর্তী গ্রামের সাধারণ শ্রমিকদের আয়োজনে
যাদুকাটা নদীর তীরে মানববন্ধনটি করা হয়।

এ সময় যাদুকাটা নদীর বাংলা কয়লা সমবায় সমিতির সভাপতি লাউড়েরগড় গ্রামের বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন বলেন, নদীতে কাজ বন্ধ থাকায় নদীতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা প্রায় লক্ষাধিক শ্রমজীবী পরিবার এখন খেয়ে না খেয়ে কোনরকম বেচে আছে।

নদীতে কাজ করতে না পারায় তারা তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। পরিবার পরিজনের অসুখ বিসুখ হলে চিকিৎসা পর্যন্ত করাতে পাচ্ছে। এ নদীতে কাজ বন্ধ থাকায় এলাকায় চুরি, ডাকাতি, ছিন্তাইসহ সীমান্তে চোরাচালান কাজে জড়িয়ে অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নদী যদি আরও কিছুদিন বন্ধ থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি হবে। তাই অতি দ্রুত যাদুকাটা নদীর কাজ খোলে দিলে শ্রমজীবী মানুষ কাজ করে তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে দুবেলা দুমুঠো ভাত খেতে পারবে এবং অপরাধ কর্মকাণ্ডও কমে যাবে।

 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, লাউড়েরগড় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মোতালিব, সাধারণ সম্পাদক রহিছ মিয়া, লাউড়েরগড় গ্রামের পল্লী চিকিৎসা ডাক্তার জামাল হোসেন, মোদেরগাঁও গ্রামের তাবারক হোসেন, কামরুল ইসলাম, ঘাগড়া গ্রামের শ্রমিক সর্দার রমজান আলী, লাউড়েরগড় ছড়ারপাড় গ্রামের দেলোয়ার হোসেন সাবু, মিয়ারছড় গ্রামের বালু শ্রমিক লাল মিয়া, ঘাগটিয়া গ্রামের হোসেন আলী, আব্দুল বারেক, শরিফ উদ্দিন, রহমত আলী প্রমুখ।