ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

বাঁধনপাড়ায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • আপডেট সময় : ০৫:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 198
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের বাঁধনপাড়ায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ বাড়ির মালিকের ছেলে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে মেয়েটিকে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম রেজাউল আলম নিক্কু। তিনি পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।

নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৯)। সে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।

চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বললেন, ‘তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।

তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে রমজান মাসে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এরপর কয়েকদিন ধরে মারধরের খবর দিচ্ছিলো। এবার আর বেঁচে ফিরল না।’

চম্পার চাচা পিয়ার আলী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ছেলে শুভ মেয়েটাকে মেরে জানালাতে লটকিয়ে রেখেছে। মেয়েটি থাকতো নিচ তলায়, শুভ’র রুমের জানালায় লটকানো পাওয়া গেছে।

আমরা আসার পর কাউকে পাই নি। তারা পালিয়েছে।’
অভিযুক্ত শুভ’র বড় ভাই অ্যাড. ইশতিয়াক আলম পিয়াল বললেন, সকালে এই ঘটনা দেখে পুলিশকে ফোন দিয়েছি। পরে জানতে পারলাম এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিলো। রাতে নাকি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে।

স্ট্যাটাস দেখলেও বুঝা যাবে, কীভাবে কী হয়েছে।প্রতিবেশী তিমন চৌধুরী বললেন, রেজাউল আলম নিক্কুর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। তাদের ব্যবহার খারাপ, এটি কেউ বলতে পারবেন না। তবুও তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে আসা করি।

এ ব্যপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বললেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

বাঁধনপাড়ায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৫:০৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সুনামগঞ্জের বাঁধনপাড়ায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ বাড়ির মালিকের ছেলে মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে মেয়েটিকে। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম রেজাউল আলম নিক্কু। তিনি পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।

নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৯)। সে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।

চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বললেন, ‘তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতো। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।

তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়িওয়ালা নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে রমজান মাসে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এরপর কয়েকদিন ধরে মারধরের খবর দিচ্ছিলো। এবার আর বেঁচে ফিরল না।’

চম্পার চাচা পিয়ার আলী বলেন, ‘চেয়ারম্যানের ছেলে শুভ মেয়েটাকে মেরে জানালাতে লটকিয়ে রেখেছে। মেয়েটি থাকতো নিচ তলায়, শুভ’র রুমের জানালায় লটকানো পাওয়া গেছে।

আমরা আসার পর কাউকে পাই নি। তারা পালিয়েছে।’
অভিযুক্ত শুভ’র বড় ভাই অ্যাড. ইশতিয়াক আলম পিয়াল বললেন, সকালে এই ঘটনা দেখে পুলিশকে ফোন দিয়েছি। পরে জানতে পারলাম এক ছেলের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিলো। রাতে নাকি ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছে।

স্ট্যাটাস দেখলেও বুঝা যাবে, কীভাবে কী হয়েছে।প্রতিবেশী তিমন চৌধুরী বললেন, রেজাউল আলম নিক্কুর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে দেখছি। তাদের ব্যবহার খারাপ, এটি কেউ বলতে পারবেন না। তবুও তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসবে আসা করি।

এ ব্যপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বললেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।