ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

জগন্নাথপুরে “জুলাই বিপ্লবীদের” মতবিনিময় সভা

এম.ডি.ইমরানুল হাসান:
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 155
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জগন্নাথপুর উপজেলায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী “জুলাই গণআন্দোলন”-এ হামলা, মামলা ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার বিপ্লবীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ মে ২০২৫, বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর বাজারস্থ স্থানীয় মেজবান রেস্তোরাঁয় এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথপুর উপজেলার বর্ষীয়ান বিপ্লবী নেতা মোঃ আবুল কাশেম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিলেট অঞ্চলের “জুলাই বিপ্লব” আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সংগ্রামী নেতা রেজাউল করিম রিপন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন “জুলাই বিপ্লবী” আন্দোলনে কারা নির্যাতনের শিকার মজলুম জননেতা সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বেলাল।

এসময় বিপ্লবী নেতা ইয়াহদি সারোয়ার লিমন,
জাহিদ হাসান, জুয়েল মিয়া, আমজাদ আরিফ,
জয়নুল ইসলাম, গিলমান রহমান, সাংবাদিক আমিনুর রহমান জিলু, কাওছার তালুকদার, সাংবাদিক শাহ ফুজায়েল আহমেদ, সাংবাদিক কয়েস মামুন, শামির হোসেন, আরিফুল ইসলাম, তিশা ইসলাম রিয়া সহ আরো অনেক বিপ্লবী কর্মী ও সহযোদ্ধারা।

বক্তারা বলেন,
ফ্যাসিবাদ বিরোধী “জুলাই বিপ্লব” ছিল একটি ঐতিহাসিক গণজাগরণ, যেখানে দেশের সর্বস্তরের মানুষ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজপথে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আজকের সভায় আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহত-নির্যাতিতদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও সংহতি।

তারা আরো বলেন,
যারা স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন বা হামলার শিকার হয়েছেন—তাদের ত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বক্তারা “জুলাই বিপ্লব”-এর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে আরও সংগঠিতভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলেন।

সভায় বক্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়েও আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানটি শেষ হয় শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

জগন্নাথপুরে “জুলাই বিপ্লবীদের” মতবিনিময় সভা

আপডেট সময় : ০৬:৩৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

জগন্নাথপুর উপজেলায় ফ্যাসিবাদ বিরোধী “জুলাই গণআন্দোলন”-এ হামলা, মামলা ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার বিপ্লবীদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৪ মে ২০২৫, বুধবার সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর বাজারস্থ স্থানীয় মেজবান রেস্তোরাঁয় এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথপুর উপজেলার বর্ষীয়ান বিপ্লবী নেতা মোঃ আবুল কাশেম এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সিলেট অঞ্চলের “জুলাই বিপ্লব” আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সংগ্রামী নেতা রেজাউল করিম রিপন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন “জুলাই বিপ্লবী” আন্দোলনে কারা নির্যাতনের শিকার মজলুম জননেতা সাংবাদিক জামাল উদ্দিন বেলাল।

এসময় বিপ্লবী নেতা ইয়াহদি সারোয়ার লিমন,
জাহিদ হাসান, জুয়েল মিয়া, আমজাদ আরিফ,
জয়নুল ইসলাম, গিলমান রহমান, সাংবাদিক আমিনুর রহমান জিলু, কাওছার তালুকদার, সাংবাদিক শাহ ফুজায়েল আহমেদ, সাংবাদিক কয়েস মামুন, শামির হোসেন, আরিফুল ইসলাম, তিশা ইসলাম রিয়া সহ আরো অনেক বিপ্লবী কর্মী ও সহযোদ্ধারা।

বক্তারা বলেন,
ফ্যাসিবাদ বিরোধী “জুলাই বিপ্লব” ছিল একটি ঐতিহাসিক গণজাগরণ, যেখানে দেশের সর্বস্তরের মানুষ গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজপথে নেমেছিলেন। সেই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আজকের সভায় আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহত-নির্যাতিতদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা ও সংহতি।

তারা আরো বলেন,
যারা স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কারাভোগ করেছেন বা হামলার শিকার হয়েছেন—তাদের ত্যাগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বক্তারা “জুলাই বিপ্লব”-এর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতে আরও সংগঠিতভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের কথা বলেন।

সভায় বক্তারা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং ভবিষ্যৎ আন্দোলনের রূপরেখা নিয়েও আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানটি শেষ হয় শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং মিলাদ ও দোয়ার মাধ্যমে।