ঢাকা ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায় আচরণের জবাব চান ভূক্তভোগী

জাবের উবায়েদ
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / 2140
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছে সদ্য নিয়োগ দেয়া জাবের উবায়েদ নামে এক শিক্ষকের সঙ্গে। কারণ উল্লেখ না করে যোগদান করার পূর্বেই নিয়োগ বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ফেসবুকে পোস্ট করে এর প্রতিকার চেয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টটি সরাসরি তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে—

সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার সাথে বড় ধরনের একটি অন্যায় আচরণ করেছে। আমি স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করার জন্য আবেদন করি গত ফেব্রুয়ারিতে । দুই দফা ইন্টারভিউ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক ও সব প্রক্রিয়া শেষে কনফার্মেশন ইমেইল পাই ২৮ এপ্রিল। লেকচারার হিসেবে অফার লেটার পাই গত ৯ মে । জয়েনিং ডেট উল্লেখ করা হয় জুনের ১ তারিখ। আমার সাথে HR থেকে যিনি যোগাযোগ করছিলেন তার পরামর্শক্রমে আমি দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।

আপনারা জানেন যে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পজিশনে জব করছিলাম গত মার্চ মাস থেকে। তবে দেশে আসতে চাচ্ছিলাম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কিছু অবদান রাখা যায় সে চিন্তা থেকে।

সেই HR অফিসারের সাথে আলাপের ভিত্তিতে আমি আমার অক্সফোর্ডের অফিসে মে মাসের শুরুতেই নোটিশ দেই । সে অনুযায়ী তারা আমার রিপ্লেসমেন্ট হায়ার করে গত ১৩ মে। আর আমি রিজাইন করি ১৪ মে। একই সাথে ২০ তারিখে দেশে আসার বিমানের টিকেটও বুক করি।

আমি যখন দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এর মধ্যে গত ১৫ মে একতরফাভাবে কোন কারণ না বলে আমার অফার লেটার সাসপেন্ড করে দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ডে আমার রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে নেয়ায় আগের জবে জয়েন করার আর সুযোগ নাই। আমি ব্র্যাকের ফিরতি ইমেইলে কারণ জানতে চেয়েছি। এর কোন জবাব পাই নি।

আজ আবার জেনারেল এডুকেশনে স্কুলের ডীবের সাথে যোগাযোগ করলে আমায় HR এর নোটিশ ও জবাবের দিকে রেফার করেন। আর বিস্তারিত কারণ বলার প্রয়োজন বোধ করেন নি।

HR এর যে অফিসার আমার সাথে সবকিছু নিয়ে আলাপ করেছেন শুরু থেকে তিনিও অফার সাসপেন্ডের ইমেইলের কপিতে আছে। তার এ ব্যাপারের জানার কথা থাকলেও উনি বলছেন যে কিছু জানেন না। উনি যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ও অসত্য বলছেন।

অফার লেটারে উল্লেখ ছিল যে জয়েনিং সন্তোষজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের উপরে নির্ভর করবে। আমার বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই। আমার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ও সোস্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি। জুলাই কেন্দ্রিক একটিভিজমকে প্রমোট করি।

আমি ব্র্যাক থেকে আমার সেকেন্ড মাস্টার্স করেছি। সম্মানজনক শিভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে বিশ্বের ১ নামার এডুকেশন ইনিস্টিটিউটে, Institute of Education, UCL এ পড়েছি। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মরতও ছিলাম। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ১ বছর কাজ করেছি Outreach Delivery Assistant এবং Assessment Officer হিসেবে। আমার বিভিন্ন সাকসেস স্টোরি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেছে দুই বার।

তার পরেও আমার সাথে এমন একটি অন্যায্য একটি জঘন্য আচরণ করলো; সেটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।

আমি আর ব্র্যাকে জয়েন করবো না। কিন্তু এমন আচরণ তারা কিভাবে একজন মানুষের সাথে করতে পারে সেটা বুঝতে চাই। কিভাবে আমার যোগ্যতাকে, দক্ষতাকে ওদের অগ্রাহ্য করে আমায় অপমান করলো এর জবাব চাই।

আমার মতো একজনের সাথে এমন আচরণ করতে পারলে আরো কত মানুষের সাথে এমন অন্যায় আচরণ করে সেটাও এর থেকে বুঝা যায়। এর প্রতিকার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে হতেই হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায় আচরণের জবাব চান ভূক্তভোগী

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম করেছে সদ্য নিয়োগ দেয়া জাবের উবায়েদ নামে এক শিক্ষকের সঙ্গে। কারণ উল্লেখ না করে যোগদান করার পূর্বেই নিয়োগ বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করে ফেসবুকে পোস্ট করে এর প্রতিকার চেয়েছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টটি সরাসরি তুলে ধরা হলো পাঠকদের সামনে—

সম্প্রতি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় আমার সাথে বড় ধরনের একটি অন্যায় আচরণ করেছে। আমি স্কুল অব জেনারেল এডুকেশনে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হিসেবে জয়েন করার জন্য আবেদন করি গত ফেব্রুয়ারিতে । দুই দফা ইন্টারভিউ, প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস চেক ও সব প্রক্রিয়া শেষে কনফার্মেশন ইমেইল পাই ২৮ এপ্রিল। লেকচারার হিসেবে অফার লেটার পাই গত ৯ মে । জয়েনিং ডেট উল্লেখ করা হয় জুনের ১ তারিখ। আমার সাথে HR থেকে যিনি যোগাযোগ করছিলেন তার পরামর্শক্রমে আমি দেশে ফেরার সার্বিক প্রস্তুতি নিতে থাকি।

আপনারা জানেন যে আমি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো পজিশনে জব করছিলাম গত মার্চ মাস থেকে। তবে দেশে আসতে চাচ্ছিলাম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় যদি কিছু অবদান রাখা যায় সে চিন্তা থেকে।

সেই HR অফিসারের সাথে আলাপের ভিত্তিতে আমি আমার অক্সফোর্ডের অফিসে মে মাসের শুরুতেই নোটিশ দেই । সে অনুযায়ী তারা আমার রিপ্লেসমেন্ট হায়ার করে গত ১৩ মে। আর আমি রিজাইন করি ১৪ মে। একই সাথে ২০ তারিখে দেশে আসার বিমানের টিকেটও বুক করি।

আমি যখন দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছি এর মধ্যে গত ১৫ মে একতরফাভাবে কোন কারণ না বলে আমার অফার লেটার সাসপেন্ড করে দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। অক্সফোর্ডে আমার রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে নেয়ায় আগের জবে জয়েন করার আর সুযোগ নাই। আমি ব্র্যাকের ফিরতি ইমেইলে কারণ জানতে চেয়েছি। এর কোন জবাব পাই নি।

আজ আবার জেনারেল এডুকেশনে স্কুলের ডীবের সাথে যোগাযোগ করলে আমায় HR এর নোটিশ ও জবাবের দিকে রেফার করেন। আর বিস্তারিত কারণ বলার প্রয়োজন বোধ করেন নি।

HR এর যে অফিসার আমার সাথে সবকিছু নিয়ে আলাপ করেছেন শুরু থেকে তিনিও অফার সাসপেন্ডের ইমেইলের কপিতে আছে। তার এ ব্যাপারের জানার কথা থাকলেও উনি বলছেন যে কিছু জানেন না। উনি যেন কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন ও অসত্য বলছেন।

অফার লেটারে উল্লেখ ছিল যে জয়েনিং সন্তোষজনক ব্যাকগ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের উপরে নির্ভর করবে। আমার বিরুদ্ধে কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নাই। আমার মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ড ও সোস্যাল মিডিয়ায় টুকটাক লিখি। জুলাই কেন্দ্রিক একটিভিজমকে প্রমোট করি।

আমি ব্র্যাক থেকে আমার সেকেন্ড মাস্টার্স করেছি। সম্মানজনক শিভেনিং স্কলারশিপ পেয়ে বিশ্বের ১ নামার এডুকেশন ইনিস্টিটিউটে, Institute of Education, UCL এ পড়েছি। আমি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কর্মরতও ছিলাম। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে ১ বছর কাজ করেছি Outreach Delivery Assistant এবং Assessment Officer হিসেবে। আমার বিভিন্ন সাকসেস স্টোরি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারও করেছে দুই বার।

তার পরেও আমার সাথে এমন একটি অন্যায্য একটি জঘন্য আচরণ করলো; সেটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা।

আমি আর ব্র্যাকে জয়েন করবো না। কিন্তু এমন আচরণ তারা কিভাবে একজন মানুষের সাথে করতে পারে সেটা বুঝতে চাই। কিভাবে আমার যোগ্যতাকে, দক্ষতাকে ওদের অগ্রাহ্য করে আমায় অপমান করলো এর জবাব চাই।

আমার মতো একজনের সাথে এমন আচরণ করতে পারলে আরো কত মানুষের সাথে এমন অন্যায় আচরণ করে সেটাও এর থেকে বুঝা যায়। এর প্রতিকার জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশে হতেই হবে।