সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযানে বেরিয়ে এলো অনিয়মের পাহাড়;

- আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫ ২১৪ বার পড়া হয়েছে
সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চালানো দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকস্মিক অভিযানে বেরিয়ে এসেছে নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার চিত্র।
সোমবার (২৬ মে) দুপুর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলা এ অভিযানে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়মিত উপস্থিতি, রোগীদের জন্য অপরিষ্কার শৌচাগার এবং রেজিস্ট্রারবিহীন বাজার থেকে কেনা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের তথ্য উঠে আসে।
দুদকের সিলেট জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। তিনি জানান, “রোগীরা ঠিকমতো ওষুধ পাচ্ছেন না। সরকারি এবং বাজার থেকে কেনা ওষুধ থাকলেও সেসবের রেজিস্ট্রারে কোন হদিস নেই। তিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ গোডাউনে পাওয়া গেছে, যা রেজিস্ট্রারে না থাকার কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে—এসব ওষুধ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের প্রমাণও মিলেছে।”
দায় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সাবেক স্টোরকিপার সোলাইমানকে, যিনি মে মাসের আগের কোনো রেজিস্ট্রার রাখতে পারেননি। আরও জানা গেছে, একজন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আনোয়ার নিয়মিত অফিসে না এলেও তার অনুপস্থিতির কোনো ছুটির আবেদন বা রেকর্ড নেই।
অভিযানে দেখা যায়, রোগীদের টয়লেট অপরিষ্কার থাকলেও ডাক্তার-নার্সদের টয়লেট পরিষ্কার। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বের হওয়ার সময় বায়োমেট্রিক ব্যবহার করেন না, যার ফলে উপস্থিতি বা অনুপস্থিতির সঠিক হিসাব রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম। দুদক জানিয়েছে, অনিয়মের প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে, তদন্ত শেষে দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল জেলার সর্ববৃহৎ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র, যেখানে এমন অনিয়ম জনস্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দুদক কর্মকর্তারা।