ঢাকা ০৮:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে নতুন অধ্যাদেশ: কর্মস্থলে অনিয়মে কঠোর শাস্তির বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 147
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করতে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। ২৬ মে ২০২৫ তারিখে জারি করা এই নির্দেশনায় কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, দায়িত্ব অবহেলা এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নতুন অধ্যাদেশে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:

  • অনৈতিক কার্যক্রম: কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে যুক্ত হন যা অনৈতিক বা শৃঙ্খলা পরিপন্থী, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্ত করা: অন্যের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া কিংবা নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

  • ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিতি: কর্মস্থলে নিজ ইচ্ছায় উপস্থিত না থাকা শাস্তির আওতায় পড়বে।

  • জাল ডিউটি: অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও উপস্থিতি দেখাতে সহকর্মী বা কৌশলের আশ্রয় নিলে তাও শাস্তিযোগ্য হবে।

শাস্তির বিধান:

নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে—

  • দোষী প্রমাণিত কর্মচারীকে পদাবনতি দেওয়া হতে পারে বা তার বেতন গ্রেড কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

  • এমনকি প্রয়োজনে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোও হতে পারে।

সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সেবা খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জনগণ আশা করছেন, এই নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে দায়িত্বে অবহেলা করা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে এবং সরকারি সেবার মান উন্নত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

সরকারি চাকরিতে নতুন অধ্যাদেশ: কর্মস্থলে অনিয়মে কঠোর শাস্তির বিধান

আপডেট সময় : ০৫:৫৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

সরকারি চাকরিতে শৃঙ্খলা ও দায়িত্ববোধ নিশ্চিত করতে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। ২৬ মে ২০২৫ তারিখে জারি করা এই নির্দেশনায় কর্মস্থলে অনুপস্থিতি, দায়িত্ব অবহেলা এবং অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নতুন অধ্যাদেশে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে:

  • অনৈতিক কার্যক্রম: কোনো সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কাজে যুক্ত হন যা অনৈতিক বা শৃঙ্খলা পরিপন্থী, তাহলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্ত করা: অন্যের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া কিংবা নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।

  • ইচ্ছাকৃত অনুপস্থিতি: কর্মস্থলে নিজ ইচ্ছায় উপস্থিত না থাকা শাস্তির আওতায় পড়বে।

  • জাল ডিউটি: অনুপস্থিত থাকা সত্ত্বেও উপস্থিতি দেখাতে সহকর্মী বা কৌশলের আশ্রয় নিলে তাও শাস্তিযোগ্য হবে।

শাস্তির বিধান:

নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে—

  • দোষী প্রমাণিত কর্মচারীকে পদাবনতি দেওয়া হতে পারে বা তার বেতন গ্রেড কমিয়ে দেওয়া যেতে পারে।

  • এমনকি প্রয়োজনে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত কিংবা বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোও হতে পারে।

সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং সেবা খাতে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাই মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

জনগণ আশা করছেন, এই নতুন নির্দেশনার মাধ্যমে দায়িত্বে অবহেলা করা সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে এবং সরকারি সেবার মান উন্নত হবে।