ঢাকা ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সদর নির্বাহী কর্মকর্তার চমক : দায়িত্বগ্রহণের প্রথম দিনেই জনমুখী উদ্যোগে মুগ্ধ উপজেলাবাসী

এস এম মিজানুর রহমান
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 1229
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা জেরিন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই ব্যতিক্রমী ও জনমুখী এক ঘোষণা দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানান, সদর উপজেলার যেকোনো রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অবকাঠামোগত সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি এলাকাবাসীর মতামত জানতে চান এবং সেগুলোর সমাধানে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তার এমন উদ্যোগে গোটা সদর উপজেলা জুড়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে। নানা এলাকা থেকে মানুষ কমেন্টের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরছেন।

জনগণের কণ্ঠে ইউএনও প্রশংসা ও সমস্যা:

জামিল আহমদ নামে একজন কমেন্টে লিখেছেন, “আসসালামু আলাইকুম ইউএনও স্যার। আপনার এই ব্যতিক্রমী চিন্তা আমাদের নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ইনশা আল্লাহ, আপনার নেতৃত্বে সদর উপজেলা মডেল উপজেলায় রূপ নেবে।”

ফয়সাল নামে একজন কমেন্টে লিখেন “আপনার এই মনমানসিকতা সত্যিই সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী—আপনার নেতৃত্বে প্রশাসন আরও জনবান্ধব হবে।”

এছাড়া অনেকেই মন্তব্যে তুলে ধরেন, সুনামগঞ্জ সদরের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল গ্রামীণ এলাকাগুলোর বহু স্থানে এখনো কাঁচা ও ভাঙাচোরা রাস্তা রয়েছে।

বর্ষাকালে এসব রাস্তায় কাদা ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল চরম দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট খাল ও নদী পারাপারের জন্য সেতু ও কালভার্টের অভাব, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে।

অপরদিকে, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অবকাঠামোগত সংকটে। অনেক প্রতিষ্ঠানে নেই পাকা ভবন, শ্রেণিকক্ষ সংকট প্রকট, জরাজীর্ণ টিনশেডে চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই নিরাপদ খেলার মাঠ, সীমানা প্রাচীর বা উপযুক্ত শিক্ষা উপকরণ।

নবাগত ইউএনও’র সদিচ্ছা ও জনকল্যাণমূলক মনোভাব ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সচেতন নাগরিকরা এক কণ্ঠে বলছেন—
“এই দায়িত্ববান উদ্যোগ আমাদের সাহস জোগায়। আমরা চাই, ইউএনও স্যারের নেতৃত্বে দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হোক। শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেই গড়ে উঠবে একটি প্রগতিশীল, স্বনির্ভর ও মানবিক সুনামগঞ্জ।”

নবনিযুক্ত ইউএনও-র এই স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও নাগরিক-সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ এলাকাবাসীর মনে এক নতুন আশার জন্ম দিয়েছে। সকলের প্রত্যাশা—এই উদ্যোগ যেন বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাকে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলায় পরিণত করে।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন ২২ মে, ২০২৫ তারিখে এই পদে যোগদান করেন। তিনি সরকারের বিসিএস ৩৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

সদর নির্বাহী কর্মকর্তার চমক : দায়িত্বগ্রহণের প্রথম দিনেই জনমুখী উদ্যোগে মুগ্ধ উপজেলাবাসী

আপডেট সময় : ০৬:৪৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা জেরিন দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই ব্যতিক্রমী ও জনমুখী এক ঘোষণা দিয়ে সাধারণ মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি জানান, সদর উপজেলার যেকোনো রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা অবকাঠামোগত সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি এলাকাবাসীর মতামত জানতে চান এবং সেগুলোর সমাধানে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

তার এমন উদ্যোগে গোটা সদর উপজেলা জুড়ে প্রশংসার ঝড় উঠেছে। নানা এলাকা থেকে মানুষ কমেন্টের মাধ্যমে তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরছেন।

জনগণের কণ্ঠে ইউএনও প্রশংসা ও সমস্যা:

জামিল আহমদ নামে একজন কমেন্টে লিখেছেন, “আসসালামু আলাইকুম ইউএনও স্যার। আপনার এই ব্যতিক্রমী চিন্তা আমাদের নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে। ইনশা আল্লাহ, আপনার নেতৃত্বে সদর উপজেলা মডেল উপজেলায় রূপ নেবে।”

ফয়সাল নামে একজন কমেন্টে লিখেন “আপনার এই মনমানসিকতা সত্যিই সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা আশাবাদী—আপনার নেতৃত্বে প্রশাসন আরও জনবান্ধব হবে।”

এছাড়া অনেকেই মন্তব্যে তুলে ধরেন, সুনামগঞ্জ সদরের গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল গ্রামীণ এলাকাগুলোর বহু স্থানে এখনো কাঁচা ও ভাঙাচোরা রাস্তা রয়েছে।

বর্ষাকালে এসব রাস্তায় কাদা ও কর্দমাক্ত অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চলাচল চরম দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। এর সঙ্গে রয়েছে ছোট ছোট খাল ও নদী পারাপারের জন্য সেতু ও কালভার্টের অভাব, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছে।

অপরদিকে, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অবকাঠামোগত সংকটে। অনেক প্রতিষ্ঠানে নেই পাকা ভবন, শ্রেণিকক্ষ সংকট প্রকট, জরাজীর্ণ টিনশেডে চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই নিরাপদ খেলার মাঠ, সীমানা প্রাচীর বা উপযুক্ত শিক্ষা উপকরণ।

নবাগত ইউএনও’র সদিচ্ছা ও জনকল্যাণমূলক মনোভাব ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। সচেতন নাগরিকরা এক কণ্ঠে বলছেন—
“এই দায়িত্ববান উদ্যোগ আমাদের সাহস জোগায়। আমরা চাই, ইউএনও স্যারের নেতৃত্বে দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হোক। শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেই গড়ে উঠবে একটি প্রগতিশীল, স্বনির্ভর ও মানবিক সুনামগঞ্জ।”

নবনিযুক্ত ইউএনও-র এই স্বচ্ছ, দায়বদ্ধ ও নাগরিক-সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ এলাকাবাসীর মনে এক নতুন আশার জন্ম দিয়েছে। সকলের প্রত্যাশা—এই উদ্যোগ যেন বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, এবং সুনামগঞ্জ সদর উপজেলাকে একটি আধুনিক ও মডেল উপজেলায় পরিণত করে।

উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা জেরিন ২২ মে, ২০২৫ তারিখে এই পদে যোগদান করেন। তিনি সরকারের বিসিএস ৩৫ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।