শুক্রবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জ শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জুমার নামাজ শেষে সুনামগঞ্জ সদর মডেল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হওয়া পদযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলফাত উদ্দিন স্কয়ারে ( ট্রাফিক পয়েন্ট) গিয়ে শেষ হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “এই রাষ্ট্রব্যবস্থা আর কোনো কল্পনা নয়—এটি একটি বাস্তব বিপর্যয়। প্রশাসন, নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠান ও আইনের কার্যকারিতা ধ্বংসপ্রাপ্ত। এই বাস্তবতা মেরামতের সংগ্রাম নিয়েই এনসিপি মাঠে নেমেছে। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে। এই লড়াই শুরু হয়েছিল জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের পথ ধরে, এবং এখনো সেই পথেই আমরা আছি।”
তিনি আরও বলেন, “স্বপ্নের বাংলাদেশ এখনো আসেনি। তাই গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার লড়াই অব্যাহত থাকবে।”
পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায় ও এহতেশামুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, সদস্যসচিব নাহিদা সারোয়ার নিপা এবং সুনামগঞ্জ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক সাজাউর রাজা সুমন।
সুনামগঞ্জ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, “সুনামগঞ্জ কবি, শিল্পী ও মরমীদের শহর। এটি শান্তির প্রতীক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুনামগঞ্জকে এগিয়ে নিতে হবে।”
এ সময় পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং স্থানীয় শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সভায় বক্তারা বলেন, “এনসিপির আন্দোলন স্মরণ, শ্রদ্ধা ও সংলাপের ভিত্তিতে গড়ে উঠছে। জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংলাপের মধ্য দিয়েই নতুন বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করবে এনসিপি।”