তাহিরপুরে স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ডাক্তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

- আপডেট সময় : ১১:২৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
- / 206
ঘুষ, দুর্নীতি এবং স্বাস্থ্য খাতে চরম অনিয়মের অভিযোগে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মির্জা রিয়াদ হাসানের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে “সাধারণ ছাত্র জনতার” ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা মু. তৌহিদুল ইসলাম,রাজন আহমদ,সাইফুল্লাহ ফারাবী,আইয়ুব খান, লিপসন মিয়া,বায়েজিদ আহমদ,সাফাতুল্লা,জুনায়েদ আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ডা. মির্জা রিয়াদ হাসান রোগীদের জিম্মি করে চিকিৎসা সেবা দেন। টাকা ছাড়া চিকিৎসা না দেওয়া, সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় ব্যক্তিগত ব্যবসায় মনোযোগী থাকা, ডিউটিরত অবস্থায় মোবাইল ফোনে ব্যবসায়িক কাজ করা, রোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যক্তিগত চেম্বারে যেতে বাধ্য করা এবং সরকারি নথিতে স্বাক্ষরের বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ড তার বিরুদ্ধে প্রায়শই শোনা যায়।
তাদের দাবি, জনস্বার্থে অবিলম্বে ডা. রিয়াদকে তাহিরপুর থেকে প্রত্যাহার করে স্বাস্থ্যখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। নেটিজেনরা অভিযোগ তুলছেন— হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, একাধিক স্থানে ব্যক্তিগত চেম্বার পরিচালনা, টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউজবোট ব্যবসা, উপজেলার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিনিয়োগ এবং অর্থের বিনিময়ে পুলিশ কেসের সার্টিফিকেট দেওয়ার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে তিনি জড়িত।
বাদাঘাট বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন—উনি এমবিবিএস ডাক্তার, সম্মানী ব্যক্তি হলেও আচরণ অত্যন্ত খারাপ। অভিযোগের শেষ নেই। আপাতত উনাকে বাদাঘাট বাজারে চেম্বার না করার জন্য অনুরোধ করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, বাদাঘাট জেনারেল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. রিয়াদের এক-তৃতীয়াংশ শেয়ার রয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের এক নেতা বলেন, “স্বাস্থ্যখাতের দায়িত্বে থেকেও তিনি তাহিরপুরে নানান ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। হাউজবোট ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবসা সবারই জানা। চিকিৎসা সেবায় তার কোন মনযোগ নেই।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, “তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ— একজন সরকারি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ব্যক্তিগত ব্যবসা, দুর্নীতি ও অনিয়ম সরাসরি জনস্বাস্থ্য সেবাকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি।