সুনামগঞ্জ ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রেনেসাঁ ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাডগ্রুপ নির্নয় তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি  পুরান বারুংকা মডেল মাদরাসায় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত তাহিরপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র হামদ নাত ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন সততা ও দক্ষতা ব্যবসার মূল পূঁজি : মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম বোরো ধান সংগ্রহে মিলার ও খাদ‍্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা

বিশ্ববিদ্যালয় পথ দেখায়, পথ রুদ্ধ করে না-ড. নজরুল ইসলাম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪ ২৭৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্ববিদ্যালয় পথ দেখায়, পথ রুদ্ধ করে না। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তা করতে শাখায়, চিন্তার প্রক্রিয়াকে বিশেষ কোন ফ্রেম বা গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে না।

তাবৎ দুনিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সব ধরনের চিন্তা, মত, পথের অবাধ প্রস্ফুটন স্বীকার করা হয়, যত্ন আত্তির করা হয়। সেকুলার, রিলিয়াস সব চিন্তা সেখানে আছে। হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ সব নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বায়োলজি যেমন আছে, তেমনি থিওলজি আছে। এসব জায়গাতে যেমন কট্টর নাস্তিক মানুষ আছে, তেমনি আছে কট্টর ধার্মিক মানুষ। অক্সফোর্ডের কথাই ধরুন, একদিকে আছেন ইভলুশনারি বায়োলজিস্ট আধুনিক নাস্তিকদের অন্যতম গুরু প্রফেসর রিচার্ড ডওকিন, অন্যদিকে আছেন ইসলামপন্থীদের অন্যতম গুরু প্রফেসর তারিক রামাদান। তারা যার যার জায়গায় নিজ নিজ বিশ্বাস ও চিন্তা অনুযায়ী কাজ করছেন। কই সেখানে তো কোন সমস্যা হয় না।

যত সমস্যা এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অদ্ভুত ডিসকোর্স তৈরী হয়েছে বা বলা ভাল যে, তৈরী করা হয়েছে যে, ধর্ম ও ধার্মিকতা প্রগতির অন্তরায়। হ্যা কেউ এটা ভাবতেই পারেন। এই ভাবার অধিকার নিশ্চয়ই তার আছে। কিন্তু সাথে সাথে একজনের এ অধিকারও আছে এটা ভাবা যে, ধর্ম প্রগতির অন্তরায় নয়, বরং তা প্রগতির জন্য সহায়ক কিংবা প্রগতি অর্জনে অবদান রাখতে পারে। আদতে পারে কি পারে না তা পরের কথা। কিন্তু এই ভাবনাটা ভাবতে দেয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিউটি এই জায়গাতেই।

কিন্তু এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেই স্পেস দিতে নারাজ। বোরকা পরলে, হিজাব পরলে এই দেশে আইডেন্টিফিকেশনের সমস্যা হয়, অক্সফোর্ড,ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ডে হয় না। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোরআন তেলাওয়াত করলে সমস্যা হয়, হার্ভার্ড, ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ডে হয় না। এই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতদের মোটা দাগে বিশ্বাস করে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাদের যে দুরত্ব তার দায় এই পন্ডিতদের এই ডাবল স্টান্ডারড নীতি। এই পন্ডিতরা অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ডে বা এ জাতীয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এসে আবার স্ববিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এই দ্বিমূখী আচরণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় সংকট।

অর্থনীতির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অর্থনীতির বিষয়ে সেমিনার করতে পারেন, আলোচনা সভার আয়োজন করতে পারেন। বিজনেসের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিজনেস নিয়ে সভা করতে পারেন। ঠিক তেমনই পলিটিক্যাল সায়েন্সের লোকেরা রাজনীতি বিষয়ক, সাহিত্যের ছাত্ররা সাহিত্য বিষয়ক, নাট্যকলার শিক্ষার্থীরা নাটক সিনেমা সংশ্লিষ্ট এবং বিজ্ঞানের ছাত্র শিক্ষকরা বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা, সেমিনার সিম্পোজিয়াম করতে পারেন। তো বাপু আরবী, ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র শিক্ষকরা কি নিয়ে আলোচনা করবেন, সেমিনার করবেন? একটু বলেন তো? তারা কি ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি বা বায়োলজির বিষয় নিয়ে সেমিনার করবেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী, ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট চালু করবেন, ছেলেমেয়েদের তা পড়াবেন, ফি বছর এই বিষয়ে গাদা গাদা ডিগ্রি দিবেন, এমফিল দিবেন, পিএইচডি দিবেন, কিন্তু এই বিষয়ক কোন অনুষ্ঠান করতে দেবেন না, ওতে জাত যাবে! তাইলে এই বিষয়গুলি পড়ানো হয় কেন? আর বটতলা! এটা কি কোন টোটেম না ট্যাবু? বটতলার নিশ্চয়ই একটা লিগ্যাসি আছে। কিন্তু সেই লিগ্যাসির ধর্মের কি কোন বিরোধ আছে? মুক্তিযুদ্ধের সাথে ধর্মের কোন বিরোধ ছিল না। ধর্মের স্লোগান দিয়েই এ দেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ধর্মকে শোষণের হাতিয়ার মনে করা সমাজতান্ত্রিক মননের অল্প সংখ্যক মানুষই কেবল মুক্তিযুদ্ধ করেনি, নিশ্চয়ই এই অল্প সংখ্যক মানুষের অবদান স্বীকার্য, কিন্তু বৃহত জনগোষ্ঠীর চিন্তা ও বিশ্বাসকে আমলে না এনে বরং উল্টো তাকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সাংঘর্ষিক হিসাবে দেখানোটা বুদ্ধিবৃত্তিক জোচচুরি ও কপটতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিমের সাথে তা কোন ভাবেই যায় না।

কেবল আরবী বা ইসলামিক স্টাডিজ নয়, কেবল কোরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠান নয়, সংস্কৃত, পালি বা বাইবেলের তেলাওয়াত যদি এই বটতলায় হয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে? হয়ত বটতলার এক পাশে কেউ একজন গীতা পাঠ করবে, আর এক পাশে কেউ একজন কোরআন,বাইবেল বা ত্রিপিটক পাঠ করবে এবং ঠিক তার উল্টো পাশেই কেউ একজন মার্কস, লেনিন বা গ্রামসির উদৃতি দিয়ে ধর্মের সমালোচনা করবে। এটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্য। এটিই বিশ্ববিদ্যালয়। এই ধারণা যার মধ্যে নেই, এই ধারণা যে লালন করে না, সে যে-ই হোক বিশ্ববিদ্যালয় কী তা বোঝে না, বিশ্ববিদ্যালয় তার বোঝা হয়ে ওঠেনি। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যে কেন হাত, পা মেলে দাড়াতে পারছে না এইসব ঘটনায় তা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়। সংকীর্ণতার উপর ভর করে বাচা গেলেও বড় হওয়া যায় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বিশ্ববিদ্যালয় পথ দেখায়, পথ রুদ্ধ করে না-ড. নজরুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০৬:২২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় পথ দেখায়, পথ রুদ্ধ করে না। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তা করতে শাখায়, চিন্তার প্রক্রিয়াকে বিশেষ কোন ফ্রেম বা গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ করে না।

তাবৎ দুনিয়ার নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সব ধরনের চিন্তা, মত, পথের অবাধ প্রস্ফুটন স্বীকার করা হয়, যত্ন আত্তির করা হয়। সেকুলার, রিলিয়াস সব চিন্তা সেখানে আছে। হার্ভার্ড, অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ সব নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বায়োলজি যেমন আছে, তেমনি থিওলজি আছে। এসব জায়গাতে যেমন কট্টর নাস্তিক মানুষ আছে, তেমনি আছে কট্টর ধার্মিক মানুষ। অক্সফোর্ডের কথাই ধরুন, একদিকে আছেন ইভলুশনারি বায়োলজিস্ট আধুনিক নাস্তিকদের অন্যতম গুরু প্রফেসর রিচার্ড ডওকিন, অন্যদিকে আছেন ইসলামপন্থীদের অন্যতম গুরু প্রফেসর তারিক রামাদান। তারা যার যার জায়গায় নিজ নিজ বিশ্বাস ও চিন্তা অনুযায়ী কাজ করছেন। কই সেখানে তো কোন সমস্যা হয় না।

যত সমস্যা এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা অদ্ভুত ডিসকোর্স তৈরী হয়েছে বা বলা ভাল যে, তৈরী করা হয়েছে যে, ধর্ম ও ধার্মিকতা প্রগতির অন্তরায়। হ্যা কেউ এটা ভাবতেই পারেন। এই ভাবার অধিকার নিশ্চয়ই তার আছে। কিন্তু সাথে সাথে একজনের এ অধিকারও আছে এটা ভাবা যে, ধর্ম প্রগতির অন্তরায় নয়, বরং তা প্রগতির জন্য সহায়ক কিংবা প্রগতি অর্জনে অবদান রাখতে পারে। আদতে পারে কি পারে না তা পরের কথা। কিন্তু এই ভাবনাটা ভাবতে দেয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিউটি এই জায়গাতেই।

কিন্তু এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যেন সেই স্পেস দিতে নারাজ। বোরকা পরলে, হিজাব পরলে এই দেশে আইডেন্টিফিকেশনের সমস্যা হয়, অক্সফোর্ড,ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ডে হয় না। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোরআন তেলাওয়াত করলে সমস্যা হয়, হার্ভার্ড, ক্যামব্রিজ, অক্সফোর্ডে হয় না। এই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পন্ডিতদের মোটা দাগে বিশ্বাস করে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তাদের যে দুরত্ব তার দায় এই পন্ডিতদের এই ডাবল স্টান্ডারড নীতি। এই পন্ডিতরা অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজ, হার্ভার্ডে বা এ জাতীয় অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এসে আবার স্ববিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। এই দ্বিমূখী আচরণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় সংকট।

অর্থনীতির শিক্ষক শিক্ষার্থীরা অর্থনীতির বিষয়ে সেমিনার করতে পারেন, আলোচনা সভার আয়োজন করতে পারেন। বিজনেসের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা বিজনেস নিয়ে সভা করতে পারেন। ঠিক তেমনই পলিটিক্যাল সায়েন্সের লোকেরা রাজনীতি বিষয়ক, সাহিত্যের ছাত্ররা সাহিত্য বিষয়ক, নাট্যকলার শিক্ষার্থীরা নাটক সিনেমা সংশ্লিষ্ট এবং বিজ্ঞানের ছাত্র শিক্ষকরা বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা, সেমিনার সিম্পোজিয়াম করতে পারেন। তো বাপু আরবী, ইসলামিক স্টাডিজের ছাত্র শিক্ষকরা কি নিয়ে আলোচনা করবেন, সেমিনার করবেন? একটু বলেন তো? তারা কি ফিজিক্স, ক্যামেস্ট্রি বা বায়োলজির বিষয় নিয়ে সেমিনার করবেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবী, ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট চালু করবেন, ছেলেমেয়েদের তা পড়াবেন, ফি বছর এই বিষয়ে গাদা গাদা ডিগ্রি দিবেন, এমফিল দিবেন, পিএইচডি দিবেন, কিন্তু এই বিষয়ক কোন অনুষ্ঠান করতে দেবেন না, ওতে জাত যাবে! তাইলে এই বিষয়গুলি পড়ানো হয় কেন? আর বটতলা! এটা কি কোন টোটেম না ট্যাবু? বটতলার নিশ্চয়ই একটা লিগ্যাসি আছে। কিন্তু সেই লিগ্যাসির ধর্মের কি কোন বিরোধ আছে? মুক্তিযুদ্ধের সাথে ধর্মের কোন বিরোধ ছিল না। ধর্মের স্লোগান দিয়েই এ দেশের অধিকাংশ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ধর্মকে শোষণের হাতিয়ার মনে করা সমাজতান্ত্রিক মননের অল্প সংখ্যক মানুষই কেবল মুক্তিযুদ্ধ করেনি, নিশ্চয়ই এই অল্প সংখ্যক মানুষের অবদান স্বীকার্য, কিন্তু বৃহত জনগোষ্ঠীর চিন্তা ও বিশ্বাসকে আমলে না এনে বরং উল্টো তাকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সাংঘর্ষিক হিসাবে দেখানোটা বুদ্ধিবৃত্তিক জোচচুরি ও কপটতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের থিমের সাথে তা কোন ভাবেই যায় না।

কেবল আরবী বা ইসলামিক স্টাডিজ নয়, কেবল কোরআন তেলাওয়াতের অনুষ্ঠান নয়, সংস্কৃত, পালি বা বাইবেলের তেলাওয়াত যদি এই বটতলায় হয় বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে এর চেয়ে সুন্দর দৃশ্য আর কি হতে পারে? হয়ত বটতলার এক পাশে কেউ একজন গীতা পাঠ করবে, আর এক পাশে কেউ একজন কোরআন,বাইবেল বা ত্রিপিটক পাঠ করবে এবং ঠিক তার উল্টো পাশেই কেউ একজন মার্কস, লেনিন বা গ্রামসির উদৃতি দিয়ে ধর্মের সমালোচনা করবে। এটিই বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্য। এটিই বিশ্ববিদ্যালয়। এই ধারণা যার মধ্যে নেই, এই ধারণা যে লালন করে না, সে যে-ই হোক বিশ্ববিদ্যালয় কী তা বোঝে না, বিশ্ববিদ্যালয় তার বোঝা হয়ে ওঠেনি। এই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় যে কেন হাত, পা মেলে দাড়াতে পারছে না এইসব ঘটনায় তা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যায়। সংকীর্ণতার উপর ভর করে বাচা গেলেও বড় হওয়া যায় না।