কর্মী গঠনে ইসলামী সঙ্গীত খুবই গুরুত্বপূর্ণ

- আপডেট সময় : ০৮:১২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪ ২৪১ বার পড়া হয়েছে
ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম
ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মানস ও মনন গড়ার জন্য অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে ইসলামী সঙ্গীত। হামদ, নাত, আন্দোলনমূখী সঙ্গীত, সংগঠন সঙ্গীত, শহীদী গানসহ ইসলামী অন্যান্য সঙ্গীত যখন আপনি শুনতে থাকবেন, আপনার মনের ভেতরে আলোড়ন তৈরি হবে, হৃদয়টা দুলতে থাকবে সুর আর অনবদ্য সব কথামালার অনুরননে। কখনও আল্লাহর গুণগান শুনে ঈমান চাঙ্গা হবে, কখনও শিহরিত হবেন, কখনও হৃদয়টা কেঁপে উঠবে আল্লাহর ভয়ে, কখনও রাসূল (স.) এর আন্দোলনমূখর নববী জিন্দেগীর কথা শুনতে শুনতে দুচোখ বেয়ে অশ্রু ঝরবে, কখনও দায়িত্বের কথা স্মরণ করে নিজের মধ্যে আত্মসমালোচনা তৈরি হবে, কখনও শহীদদের গল্পসমূহ আপনার বুকে শহীদী তামান্না গেঁথে দেবে, বিপ্লবী কথামালা হৃদয়ের মাঝে বিজয়ের স্বপ্ন বুনে দেবে। আপনার মধ্যে ধীরে ধীরে আন্দোলনী এক চেতনা গড়ে উঠবে। আপনি অস্ফুট স্বরে, বিড়বিড় করে হয়ত গাইতে থাকবেন, শুনতে থাকা সেসব চমৎকার হৃদয়কাড়া ইসলামী গানসমূহ।
হয়ত কখনও আপনার মুখ থেকেই গুনগুন সুরে শোনা যাবে- “তোমার সৃষ্টি যদি হয় এতো সুন্দর, না জানি তাহলে তুমি, কত সুন্দর?”, “হে রাসূল! বুঝিনা আমি, রেখেছো বেধে মোরে, কোন সুতোয় তুমি”, “আল্লাহকে যারা বেসেছে ভালো, দুঃখ কি আর তাদের থাকতে পারে, হতাশা কি আর তাদের থাকতে পারে!”, “আমাকে শহীদ করে, সেই মিছিলে, শামিল করে নিও। যেই মিছিলের নেতা, আমীর হামজা…”, “সত্যের সংগ্রামে ফোটা ফুল, ভেঙ্গে দিলো জীবনের শত ভুল”, “সেই সংগ্রামী মানুষের সাড়িতে, আমাকেও রাখিও রহমান। যারা কোরয়ানের আহ্বানে নির্ভিক, নির্ভয়ে সব করে দান”, ” নহে সমাপ্ত কর্ম মোদের, অবসর কোথা বিশ্রামের?”, “কোন একদিন, এদেশের আকাশে কালেমার পতাকা দুলবে। সেদিন সবাই, খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে” …….।
একটি ইসলামী সঙ্গীত, কখনও কখনও একটি বিরাট আলোচনার নির্যাসের ন্যায় অনুভূতি তৈরি করতে পারে। একটি কবিতা, একটি বিপ্লবের বীজ বপন করতে পারে।
তাই, চলুন, নিজে ইসলামী সঙ্গীত শুনি। কর্মীদেরকে ইসলামী সঙ্গীত শুনতে আগ্রহী করি। পছন্দের, হৃদয়ের খোরাক সব সঙ্গীতগুলো তাদের কাছে পৌঁছাই।
আল্লাহ তায়ালা তৌফিক দিন।