সুনামগঞ্জ ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দুর্যোগ মোকালোয় রেড ক্রিসেন্ট‘র সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত রেনেসাঁ ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাডগ্রুপ নির্নয় তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি  পুরান বারুংকা মডেল মাদরাসায় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত তাহিরপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র হামদ নাত ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন সততা ও দক্ষতা ব্যবসার মূল পূঁজি : মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন কাঠইর ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ শান্তিগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ালেন শিল্পপতি মইনুল ইসলাম

সুনামগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীর গতি নিয়ম রক্ষার উদ্বোধন, গঠিত হয়নি পিআইসি কমিটি

মহসিন রেজা মানিক::
  • আপডেট সময় : ১২:২১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১০৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খাদ্য শষ্য উৎপাদনে উদ্ধৃত জেলা সুনামগঞ্জ। বোরোর ভান্ডার হিসেবেও অভিহিত করা হয় এই জেলাকে। হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের ২২ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা আবর্তিত হয় এই বোরো ফসলকে কেন্দ্র করে। বোরো ফসল বা বৈশাখী ধান গোলায় উঠলেই আনন্দেমাতে এখানকার কৃষক সমাজ।

আবার দুর্যোগ দুর্বিপাক আগাম বন্যায় ফসল হারালে দুঃখেরও সীমা থাকেনা। এক কথায় হাওরবাসীর ভালো থাকা খারাপ থাকা নির্ভর করে এই বোরো ফসলের উপর। হাওরে বোরো ফসল বাঁচলে কৃষক বাঁচে। আর কৃষকদের সেই স্বপ্ন সাধের বোরো ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন সঠিক সময়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ।

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষার সেই বাঁধ নির্মানে ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মানে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাঁধ নির্মানকারী পিআইসি কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার ১২ উপজেলার কোথাও পিআইসি কমিটির পুর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও মাঝখানে ১৫ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষার বাঁধ নির্মান কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। বাঁধ নির্মানে কাজ শুরু করা তো দুরের কথা এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বাঁধ নির্মানের প্রাথমিক কাজ পিআইসি গঠনই সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। বরাবরের মতো এবারও বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মানে ধীর গতি ও অনিয়ম আতংকিত করে তুলেছে হাওরপাড়ের কৃষক সমাজকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাঁধ এলাকা ঘুরে ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় জেলার প্রধান ৫৩ হাওরের কোথাও বাঁধ নির্মানের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়নি। অথচ সময়মত বাঁধে মাটি ভরাট করতে না পারলে বাঁধ শক্ত পোক্ত হয় না। তড়িগড়ি করে বাঁধ নির্মানে পানির চাপ নিতে পারেনা দুর্বল বাঁধ। বিশেষ করে হাওরের বিভিন্ন ক্লোজার (বিপদজনক ভাংগা) মেরামত করতে হয় অন্তত ৩ মাস আগে।

কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পিআইসি গঠন ও ১৫ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করার নিয়ম রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন তার উপজেলায় পিআইসির পুর্নাঙ্গ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন বাঁধে কাজ শুরুর দাবি করেন তিনি।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় বলেন তার উপজেলায় দুটি বাঁধে কাজ শুরু হয়েছে। একটি হচ্ছে দক্ষিন বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে অপরটি চামারদানি ইউনিয়নের ৩৩নং পিআইসি। তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলার ৩৪টি পিআইসি গঠনের কাজ শেষ দিকে দুএকদিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ তালিকা টানিয়ে দেয়া হবে।

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর জানান পিআইসি তালিকা প্রস্তুত আছে তবে সব জায়গায় এখনো কাজ শুরু করা যায়নি।

জেলা কাবিটা কমিটির সদস্য গনমাধ্যম কর্মী জসিম উদ্দিন জানান, অনিয়মের জন্য শাল্লায় কাজ স্থগিত ছিল, আমরা ক’জন গিয়ে সেটা সমাধান করে দিয়েছি। পরবর্তীতে আর কোন সমন্নয় করা হয়নি।

জেলা কাবিটা কমিটির আরেক সদস্য পরিবেশ কর্মী সালেহীন চৌধুরী শুভ বলেন বাঁধের বিষয়ে তাদেরকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। কোথাও কাজ শুরু হয়নি।

দিরাই উপজেলার গনমাধ্যমে কর্মী আনোয়ার হোসাইন জানান, দিরাই-শাল্লায় বাঁধের কোন কাজ শুরু হয়নি, যে বাঁধটি উদ্বোধন করা হয়েছে কেবল সেটিরই পিআইসি গঠন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন স্থানীয় সমস্যার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ পিআইসি তালিকা চুড়ান্ত করতে পারছেন না। এ কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দুয়েকদিনের মধ্যে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের ৫৩ হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর আবাদযোগ্য জমির বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৫৮৮ কি:মি: বাঁধ নির্মানে ৬৭৫টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ১২৫ কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার বড় হাওরগুলোর ফসল অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮টি প্রকল্পের জন্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, তাহিরপুর উপজেলায় ৭৬টি প্রকল্পের জন্য ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪০টি প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বিশ্বম্ভপুর উপজেলায় ২৫ টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ধর্মপাশা উপজেলায় ৮৬টি প্রকল্পের জন্য ১৯ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার টাকা, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৬৩ টি প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার টাকা, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩৯ টি প্রকল্পের জন্য ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, শাল্লা উপজেলায় ১১৫টি প্রকল্পের জন্য ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ছাতক উপজেলায় ২৮টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, মধ্যনগর উপজেলায় ৩৪ টি প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৪৭ টি প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, দিরাই উপজেলায় ৯৪ টি প্রকল্পের জন্য ২৪ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ অনুমোদন করা হয়।

২০১৭ সালের মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হাওরে বাঁধ নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জের সবকটি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এর পর থেকে ঠিকাদারী প্রথা বিলুপ্ত করে ওই বছরই কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ প্রনয়ন করা হয়।

২০১৮ সাল থেকে পিআইসির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সুনামগঞ্জে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ধীর গতি নিয়ম রক্ষার উদ্বোধন, গঠিত হয়নি পিআইসি কমিটি

আপডেট সময় : ১২:২১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

খাদ্য শষ্য উৎপাদনে উদ্ধৃত জেলা সুনামগঞ্জ। বোরোর ভান্ডার হিসেবেও অভিহিত করা হয় এই জেলাকে। হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জের ২২ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা আবর্তিত হয় এই বোরো ফসলকে কেন্দ্র করে। বোরো ফসল বা বৈশাখী ধান গোলায় উঠলেই আনন্দেমাতে এখানকার কৃষক সমাজ।

আবার দুর্যোগ দুর্বিপাক আগাম বন্যায় ফসল হারালে দুঃখেরও সীমা থাকেনা। এক কথায় হাওরবাসীর ভালো থাকা খারাপ থাকা নির্ভর করে এই বোরো ফসলের উপর। হাওরে বোরো ফসল বাঁচলে কৃষক বাঁচে। আর কৃষকদের সেই স্বপ্ন সাধের বোরো ফসল আগাম বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজন সঠিক সময়ে টেকসই বাঁধ নির্মাণ।

সুনামগঞ্জের হাওরে ফসল রক্ষার সেই বাঁধ নির্মানে ধীর গতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে বাঁধ নির্মানে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বাঁধ নির্মানকারী পিআইসি কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও অদ্যাবধি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার ১২ উপজেলার কোথাও পিআইসি কমিটির পুর্নাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যদিও মাঝখানে ১৫ ডিসেম্বর নিয়ম রক্ষার বাঁধ নির্মান কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। বাঁধ নির্মানে কাজ শুরু করা তো দুরের কথা এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বাঁধ নির্মানের প্রাথমিক কাজ পিআইসি গঠনই সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। বরাবরের মতো এবারও বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মানে ধীর গতি ও অনিয়ম আতংকিত করে তুলেছে হাওরপাড়ের কৃষক সমাজকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বাঁধ এলাকা ঘুরে ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় জেলার প্রধান ৫৩ হাওরের কোথাও বাঁধ নির্মানের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়নি। অথচ সময়মত বাঁধে মাটি ভরাট করতে না পারলে বাঁধ শক্ত পোক্ত হয় না। তড়িগড়ি করে বাঁধ নির্মানে পানির চাপ নিতে পারেনা দুর্বল বাঁধ। বিশেষ করে হাওরের বিভিন্ন ক্লোজার (বিপদজনক ভাংগা) মেরামত করতে হয় অন্তত ৩ মাস আগে।

কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর পিআইসি গঠন ও ১৫ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে কাজ শেষ করার নিয়ম রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ধর্মপাশা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন তার উপজেলায় পিআইসির পুর্নাঙ্গ তালিকা এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন বাঁধে কাজ শুরুর দাবি করেন তিনি।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায় বলেন তার উপজেলায় দুটি বাঁধে কাজ শুরু হয়েছে। একটি হচ্ছে দক্ষিন বংশীকুন্ডা ইউনিয়নে অপরটি চামারদানি ইউনিয়নের ৩৩নং পিআইসি। তালিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলার ৩৪টি পিআইসি গঠনের কাজ শেষ দিকে দুএকদিনের মধ্যে পুর্নাঙ্গ তালিকা টানিয়ে দেয়া হবে।

জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর জানান পিআইসি তালিকা প্রস্তুত আছে তবে সব জায়গায় এখনো কাজ শুরু করা যায়নি।

জেলা কাবিটা কমিটির সদস্য গনমাধ্যম কর্মী জসিম উদ্দিন জানান, অনিয়মের জন্য শাল্লায় কাজ স্থগিত ছিল, আমরা ক’জন গিয়ে সেটা সমাধান করে দিয়েছি। পরবর্তীতে আর কোন সমন্নয় করা হয়নি।

জেলা কাবিটা কমিটির আরেক সদস্য পরিবেশ কর্মী সালেহীন চৌধুরী শুভ বলেন বাঁধের বিষয়ে তাদেরকে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। কোথাও কাজ শুরু হয়নি।

দিরাই উপজেলার গনমাধ্যমে কর্মী আনোয়ার হোসাইন জানান, দিরাই-শাল্লায় বাঁধের কোন কাজ শুরু হয়নি, যে বাঁধটি উদ্বোধন করা হয়েছে কেবল সেটিরই পিআইসি গঠন করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন স্থানীয় সমস্যার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ পিআইসি তালিকা চুড়ান্ত করতে পারছেন না। এ কারণে কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দুয়েকদিনের মধ্যে চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সুনামগঞ্জের ৫৩ হাওরে ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর আবাদযোগ্য জমির বোরো ফসল রক্ষার জন্য ৫৮৮ কি:মি: বাঁধ নির্মানে ৬৭৫টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ১২৫ কোটি ১৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা ব্যয়ে জেলার বড় হাওরগুলোর ফসল অকাল বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

এর মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৮টি প্রকল্পের জন্য ৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, তাহিরপুর উপজেলায় ৭৬টি প্রকল্পের জন্য ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা, জামালগঞ্জ উপজেলায় ৪০টি প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বিশ্বম্ভপুর উপজেলায় ২৫ টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ধর্মপাশা উপজেলায় ৮৬টি প্রকল্পের জন্য ১৯ কোটি ১৫ লাখ ২ হাজার টাকা, শান্তিগঞ্জ উপজেলায় ৬৩ টি প্রকল্পের জন্য ৯ কোটি ৮৬ লাখ ৩ হাজার টাকা, জগন্নাথপুর উপজেলায় ৩৯ টি প্রকল্পের জন্য ৬ কোটি ৮৯ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, শাল্লা উপজেলায় ১১৫টি প্রকল্পের জন্য ১৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ছাতক উপজেলায় ২৮টি প্রকল্পের জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা, মধ্যনগর উপজেলায় ৩৪ টি প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার টাকা, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৪৭ টি প্রকল্পের জন্য ৭ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, দিরাই উপজেলায় ৯৪ টি প্রকল্পের জন্য ২৪ কোটি ৮২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্ধ অনুমোদন করা হয়।

২০১৭ সালের মার্চ মাসের শেষ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে হাওরে বাঁধ নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে আগাম বন্যায় সুনামগঞ্জের সবকটি হাওরের ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। এর পর থেকে ঠিকাদারী প্রথা বিলুপ্ত করে ওই বছরই কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ প্রনয়ন করা হয়।

২০১৮ সাল থেকে পিআইসির মাধ্যমে কাজ শুরু হয়।