সুনামগঞ্জ ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিমানবন্দরে নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ সভাপতি এম এ ছাত্তার – তাহিরপুরে আগুনে পুড়ল প্রাণী সম্পদ অফিসের মোটরসাইকেল দুর্যোগ মোকালোয় রেড ক্রিসেন্ট‘র সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত রেনেসাঁ ইসলামিক সোসাইটির উদ্যোগে ফ্রি ব্লাডগ্রুপ নির্নয় তাহিরপুরে আগুনে পুড়ে ছাই বসতঘর, ১৩ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি  পুরান বারুংকা মডেল মাদরাসায় ফ্রি চক্ষু শিবির অনুষ্ঠিত তাহিরপুর ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি’র হামদ নাত ক্বিরাত প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ সম্পন্ন সততা ও দক্ষতা ব্যবসার মূল পূঁজি : মোঃ শহিদুল ইসলাম ছাতকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দীক গ্রেফতার দোয়ারাবাজারের ইউএনও নেহের নিগার তনু’র প্রত্যাহারের দাবিতে বিভাগীয় কমিশনারের বরাবর আবেদন

৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ করলেন এড. শিশির মনির

অবশেষে বিদ্যুৎ পাবেন শাল্লার পাঁচ গ্রামের মানুষ

আমির মাহবুব, শাল্লা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারের ৩০ কোটি টাকার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পাঁচ বছরের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়ে। গত দুই বছর ধরে ওই প্রকল্প একেবারে বন্ধ হয়ে আছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনিরের প্রচেষ্টায় অবশেষে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবার স্বপ্ন দেখছে শাল্লার পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

এগুলো হলো- শাল্লার শ্বাসখাই গ্রাম, শ্বাসখাই বাজার, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই। সেজন্য রবিবার প্রায় দশ লাখ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে অন্ধকারে থাকার পর এবার ওই পাঁচ গ্রামের মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ পাবার আশার সঞ্চার হয়েছে।

জানা যায়, ভাটির জনপদ শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি।

২০২২ সালের বন্যায় প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটিসহ অনেক কিছুই ভেসে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। এরপর ওই প্রকল্প আর মানুষের কোন কাজে লাগে নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে পড়লে শাল্লার শ্বাসখাই গ্রাম, শ্বাসখাই বাজার, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই গ্রামে আলোকিত হওয়ার বদলে অন্ধকার নেমে আসে।

বেকায়দায় পড়েন পাঁচ গ্রামের ৫০০ পরিবারের ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।

প্রত্যন্ত এলাকার লোকজনের বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে শাল্লার সন্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ শিশির মনির এগিয়ে আসেন। শিশির মনির জেলা প্রশাসক ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলেন। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দেন। তবে এজন্য বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হয়।

রবিবার দুপুরে দিরাই অগ্রণী ব্যাংকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধ করা হয়। সৌর বিদ্যুতের ৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। এতে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পথ তৈরি হলো পাঁচ গ্রামের মানুষের।

হবিবপুর ইউনিয়নের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাহকরা জানান, তাদের অনেকে সৌরবিদ্যুৎ ছেড়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও তাদের ফিরিয়ে দেয়। এর পর ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ৪০০ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে বিদ্যুৎ পেতে আবেদন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ করলেন এড. শিশির মনির

অবশেষে বিদ্যুৎ পাবেন শাল্লার পাঁচ গ্রামের মানুষ

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

সরকারের ৩০ কোটি টাকার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পাঁচ বছরের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়ে। গত দুই বছর ধরে ওই প্রকল্প একেবারে বন্ধ হয়ে আছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনিরের প্রচেষ্টায় অবশেষে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবার স্বপ্ন দেখছে শাল্লার পাঁচটি গ্রামের মানুষ।

এগুলো হলো- শাল্লার শ্বাসখাই গ্রাম, শ্বাসখাই বাজার, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই। সেজন্য রবিবার প্রায় দশ লাখ টাকা পরিশোধও করা হয়েছে।

বছরের পর বছর ধরে অন্ধকারে থাকার পর এবার ওই পাঁচ গ্রামের মানুষের মাঝে বিদ্যুৎ পাবার আশার সঞ্চার হয়েছে।

জানা যায়, ভাটির জনপদ শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। কিন্তু পাঁচ বছরের মধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়ে প্রকল্পটি।

২০২২ সালের বন্যায় প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটিসহ অনেক কিছুই ভেসে গিয়ে বিনষ্ট হয়ে যায়। এরপর ওই প্রকল্প আর মানুষের কোন কাজে লাগে নি। বিদ্যুৎ সরবরাহ একেবারে বন্ধ হয়ে পড়লে শাল্লার শ্বাসখাই গ্রাম, শ্বাসখাই বাজার, দত্তপাড়া, মৌরাপুর ও আগোয়াই গ্রামে আলোকিত হওয়ার বদলে অন্ধকার নেমে আসে।

বেকায়দায় পড়েন পাঁচ গ্রামের ৫০০ পরিবারের ৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন।

প্রত্যন্ত এলাকার লোকজনের বিদ্যুৎ সমস্যা দূর করতে শাল্লার সন্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ মুহাম্মদ শিশির মনির এগিয়ে আসেন। শিশির মনির জেলা প্রশাসক ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের সাথে কথা বলেন। তারা দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের আশ্বাস দেন। তবে এজন্য বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হয়।

রবিবার দুপুরে দিরাই অগ্রণী ব্যাংকে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের টাকা পরিশোধ করা হয়। সৌর বিদ্যুতের ৮ লক্ষ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির। এতে নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার পথ তৈরি হলো পাঁচ গ্রামের মানুষের।

হবিবপুর ইউনিয়নের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্রাহকরা জানান, তাদের অনেকে সৌরবিদ্যুৎ ছেড়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পেতে যোগাযোগ করেন। কিন্তু বকেয়া থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও তাদের ফিরিয়ে দেয়। এর পর ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ৪০০ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসহ জেলা প্রশাসকের কাছে বিদ্যুৎ পেতে আবেদন করা হয়।