দোয়ারায় আশ্রয়ন প্রকল্পে অনিয়ম, ৫টি ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন

- আপডেট সময় : ০৪:২৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ৫টি ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে গত শুক্রবার রাতে এ ত্রুটিপূর্ণ ঘরগুলো অপসারন করা হয়। নির্মানাধীন বাকি আরো ৫০ টি ঘর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
প্রচ্ছদ প্রচ্ছদ
দোয়ারায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম, ৫টি ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে প্রশাসন
প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ আগস্ট ২০২২, ৯:১০:২১ অপরাহ্ন
দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় ৫টি ঘর ভেঙ্গে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে গত শুক্রবার রাতে এ ত্রুটিপূর্ণ ঘরগুলো অপসারন করা হয়। নির্মানাধীন বাকি আরো ৫০ টি ঘর পরীক্ষা নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান কর্তৃপক্ষ।
প্রশাসন সুত্রে জানা যায় শুক্রবার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি করার হীন উদ্দেশ্যে রাতের আধাঁরে ঘরের কাজ করছিলো মিস্ত্রি ঠিকাদারের লোকজন। খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহি অফিসার ফারজানা প্রিয়াঙ্কা, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমদ তাৎক্ষণিক সরেজমিনে গিয়ে কাজের অনিয়ম পেয়ে তা ভেঙ্গে ফেলেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা পিয়াংকা জানান, অনিয়ম ও দুর্নীতি করার জন্য রাতের আধাঁরে মুজিবশতবর্ষের গৃহনির্মাণ কাজ করছিল ঠিকাদারের লোকজন। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদেরকে সর্তক করাসহ পাঁচদিনের সময় দেওয়া হয়েছে, সঠিকভাবে গৃহনির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য। পাঁচদিনের ভিতরে নিজ খরচে ঘর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না করলে অনিয়মকারীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলার আজমপুর এলাকায় গেলো জুলাই মাসে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে ১১০টি পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ১১০টি ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতিমধ্যে ৫৫টির কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু এসব ঘর নির্মাণে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ঘরে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করা হয়েছে। বেশিরভাগ ঘরের পিলার ও লিন্টারে ৪ সুতার ৪ টি রড ব্যবহার করার কথা থাকলেও দেখা যায় প্রত্যেকটি ঘরে ব্যবহার করা হয়েছে শুধুমাত্র একটি রড তাও নিম্নমানের, এমনকি বালু ও সিমেন্টও ব্যবহারেও অনিয়ম করা হয়েছে।