সুনামগঞ্জ ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অধ্যক্ষ আলীনূরের সহধর্মিণীর মৃত্যুতে আলহেরা জামেয়ার শোক সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে সুজনের মানববন্ধন মধ্যনগরের বৌলাই নদীতে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার বিশ্বম্ভরপুরে গ্রাম উন্নয়ন’খাস কমিটি’র দূর্নীতি, প্রতিবাদে মানববন্ধন তাহিরপুর সীমান্তে পৌনে ৭ লক্ষ টাকার ভারতীয় ফুসকা জব্দ জগন্নাথপুর সাচায়ানী নন্দিরগাও গ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮ লাঠিচার্জ করে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিল সেনাবাহিনী প্রথম বঙ্গবন্ধু মুন্সী মেহেরুল্লাহ মাতা হারি জার্মান গুপ্তচর নাকি বলির পাঁঠা? ফিলিস্তিনপন্থি ১৫০০ শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো আমেরিকা

কুসাইয়ের শাসন: মক্কা ও বাইতুল্লাহর ইতিহাসে এক অনন্য নেতৃত্ব

Foysal Ahmed
  • আপডেট সময় : ০২:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫ ৬০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুসাইয়ের শাসন

 

‘কুসাই’ সম্পর্কে বলা হয়, যখন তিনি তার মায়ের কোলে ছিলেন, তার বাবা মারা যান। এরপর তার মা বনু উযরা গোত্রের ‘রাবিয়া বিন হারাম’ নামে একজন পুরুষকে বিয়ে করেন। এই গোত্রটি শামের রাজ্যে বাস করত। তাই কুসাইয়ের মা তাকে নিয়ে সেখানে চলে যান। পরবর্তীতে কুসাই বয়স হওয়ার পর মক্কায় ফিরে আসেন। সে সময় মক্কায় খুযায়মাহ গোত্রের হোলাইল বিন হাবশিয়া মক্কার রক্ষক ছিলেন। কুসাই যখন হোলাইলের মেয়ে হোবার সাথে বিয়ে প্রস্তাব দেন, তখন হোলাইল তা গ্রহণ করেন এবং দুজনের বিয়ে হয়। কয়েক দিন পর, হোলাইল মৃত্যুবরণ করেন এবং মক্কা ও বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কুসাইয়ের হাতে চলে আসে।

 

খুযায়মা ও কুরাইশদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধোত্তর মক্কায় কুসাই সবার মধ্যে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন। ফলে মক্কা ও বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তার হাতে অর্পিত হয়।

 

খুযায়মা ও কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের কারণ সম্পর্কে তিন ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়।

 

প্রথম বর্ণনা অনুযায়ী, যখন কুসাইয়ের সন্তানরা উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেন, তখন তাদের হাতে বিপুল সম্পদ এবং মান সম্মান বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, হোলাইল মারা যাওয়ার পর কুসাই অনুভব করেন যে, মক্কার প্রশাসন ও কাবার ব্যবস্থাপনায় বনু খুযায়মা ও বনু বকরের তুলনায় তার অধিক অধিকার রয়েছে। তিনি এই বিশ্বাসে পৌঁছান যে কুরাইশরা ইসমাইলের বংশধর খাঁটি আরব এবং ইসমাইলীয় বংশের নেতা। সুতরাং, নেতৃত্বের অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে।

 

এই প্রেক্ষিতে কুসাই কুরাইশ ও বনু খুযায়মার কিছু নেতার সাথে আলোচনা করেন, যে কেন বনু বকর ও বনু খুযায়মাকে মক্কা থেকে বহিষ্কার করা হবে না। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা তার সাথে একমত হন।

 

দ্বিতীয় বর্ণনা অনুযায়ী, হোলাইল নিজেই কুসাইকে উপদেশ দেন যে, কুসাইই মক্কার শাসনভার গ্রহণ করবে এবং কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।

 

তৃতীয় বর্ণনা অনুযায়ী, হোলাইল তার কন্যা হোবার হাতে বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত করেন এবং আবু গিরশান খুযায়িকে তার প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেন। হোবার প্রতিনিধি হিসেবে আবু গিরশান খুযায়মাই কাবার দায়িত্বশীল ব্যক্তি হন। হোলাইল মৃত্যুবরণ করলে, কুসাই এক মশক মদের বিনিময়ে আবু গিরশানের থেকে কাবার ব্যবস্থাপনার অধিকার ক্রয় করেন। কিন্তু খুযায়মা গোত্র এই ক্রয়-বিক্রয়কে অনুমোদন না করে কুসাইকে বাধা প্রদান করতে থাকে। কুসাই এ সময় বনু খুযায়মাকে মক্কা থেকে বহিষ্কারের জন্য কুরাইশ ও বনু কেরানাকে একত্রিত করে তাদের সহায়তা কামনা করেন। কুসাইয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা একাত্মতা ঘোষণা করে।

 

কারণ যাই হোক, ঘটনা কিছুটা এরকম ছিল: হোলাইল মৃত্যুবরণ করলে কুসাই কুরাইশ ও কেনানা’র লোকদের সাথে মিলিত হয়ে আকাবা স্থানে এসে বললেন, “কাবার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা অধিক যোগ্য।” কিন্তু কুসাইয়ের কথায় কেউ কর্ণপাত না করে, তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে কুসাই তাদের পরাজিত করে তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেন।

 

অন্যদিকে, কুসাই ও সুফার বিরোধের সুযোগ নিয়ে বনু খুযায়মা ও বনু বকর অসম্পূর্ণতা শুরু করে। কুসাই তাদের সাবধান করে দেয়, কিন্তু তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে। উভয় পক্ষই এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে অনেক লোক হতাহত হয়।

 

শেষে, ব্যাপক ক্ষতির কারণে উভয় পক্ষ আপসের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং এক চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তির জন্য বনু বকর গোত্রের ‘ইয়ামার বিন আউফ’ নামক ব্যক্তিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মনোনীত করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, মক্কার শাসন ও বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনা খুযায়মার তুলনায় কুসাই অধিক যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধের রক্তপাতকে অকার্যকর ঘোষণা করে, খুযায়মা ও বনু বকর তাদের তৈরি ক্ষতির জন্য রক্তপণ প্রদান করবে এবং বাইতুল্লাহর দায়িত্ব কুসাইয়ের হাতে সমর্পণ করবে।

 

এই চুক্তির পর, মক্কায় কুসাই ও কুরাইশদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাইতুল্লাহর ধর্মীয় নেতৃত্বও কুসাই লাভ করেন। এর ফলে কাবার প্রতি আগতদের সাথে কুসাইয়ের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। 

 

মক্কায় কুসাইয়ের শাসন ৪৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

 

কুসাই শাসনক্ষমতা লাভের পর মক্কায় কিছু সংস্কার কার্যক্রম চালান। তিনি কুরাইশদের শহরে বসবাসের জন্য আলাদা আলাদা স্থান বরাদ্দ করেন। 

 

কুসাইয়ের সংস্কারমূলক কাজের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘দারুন নাদওয়া’ প্রতিষ্ঠা। এটি কুরাইশদের ‘জাতীয় সংসদ’ ছিল, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো।

 

কুসাই তাঁর নেতৃত্বের অধিকার লাভ করে এবং মক্কার শাসনব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেন:

 

১. কুসাই ‘দারুন নাদওয়া’ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতেন।

২. যুদ্ধের পতাকা বহন করতেন।

৩. কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন।

৪. হজযাত্রীদের পানি পান করানো এবং মেহমানদারি করতেন।

 

এই পদগুলো কুসাইয়ের কর্তৃত্ব ও সম্মানের প্রতীক ছিল। কুসাইয়ের পুত্র আবদুদ্দার ও আবদে মানাফেও এই দায়িত্বে অংশ নেন। 

 

কুসাই শাসন প্রতিষ্ঠা করে মক্কার জনগণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

—সূত্র: আর-রাহিকুল মাখতুম

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কুসাইয়ের শাসন: মক্কা ও বাইতুল্লাহর ইতিহাসে এক অনন্য নেতৃত্ব

আপডেট সময় : ০২:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

কুসাইয়ের শাসন

 

‘কুসাই’ সম্পর্কে বলা হয়, যখন তিনি তার মায়ের কোলে ছিলেন, তার বাবা মারা যান। এরপর তার মা বনু উযরা গোত্রের ‘রাবিয়া বিন হারাম’ নামে একজন পুরুষকে বিয়ে করেন। এই গোত্রটি শামের রাজ্যে বাস করত। তাই কুসাইয়ের মা তাকে নিয়ে সেখানে চলে যান। পরবর্তীতে কুসাই বয়স হওয়ার পর মক্কায় ফিরে আসেন। সে সময় মক্কায় খুযায়মাহ গোত্রের হোলাইল বিন হাবশিয়া মক্কার রক্ষক ছিলেন। কুসাই যখন হোলাইলের মেয়ে হোবার সাথে বিয়ে প্রস্তাব দেন, তখন হোলাইল তা গ্রহণ করেন এবং দুজনের বিয়ে হয়। কয়েক দিন পর, হোলাইল মৃত্যুবরণ করেন এবং মক্কা ও বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কুসাইয়ের হাতে চলে আসে।

 

খুযায়মা ও কুরাইশদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। যুদ্ধোত্তর মক্কায় কুসাই সবার মধ্যে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেন। ফলে মক্কা ও বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব তার হাতে অর্পিত হয়।

 

খুযায়মা ও কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধের কারণ সম্পর্কে তিন ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়।

 

প্রথম বর্ণনা অনুযায়ী, যখন কুসাইয়ের সন্তানরা উল্লেখযোগ্য উন্নতি লাভ করেন, তখন তাদের হাতে বিপুল সম্পদ এবং মান সম্মান বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে, হোলাইল মারা যাওয়ার পর কুসাই অনুভব করেন যে, মক্কার প্রশাসন ও কাবার ব্যবস্থাপনায় বনু খুযায়মা ও বনু বকরের তুলনায় তার অধিক অধিকার রয়েছে। তিনি এই বিশ্বাসে পৌঁছান যে কুরাইশরা ইসমাইলের বংশধর খাঁটি আরব এবং ইসমাইলীয় বংশের নেতা। সুতরাং, নেতৃত্বের অধিকার কেবল তাদেরই রয়েছে।

 

এই প্রেক্ষিতে কুসাই কুরাইশ ও বনু খুযায়মার কিছু নেতার সাথে আলোচনা করেন, যে কেন বনু বকর ও বনু খুযায়মাকে মক্কা থেকে বহিষ্কার করা হবে না। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা তার সাথে একমত হন।

 

দ্বিতীয় বর্ণনা অনুযায়ী, হোলাইল নিজেই কুসাইকে উপদেশ দেন যে, কুসাইই মক্কার শাসনভার গ্রহণ করবে এবং কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে।

 

তৃতীয় বর্ণনা অনুযায়ী, হোলাইল তার কন্যা হোবার হাতে বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ন্যস্ত করেন এবং আবু গিরশান খুযায়িকে তার প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেন। হোবার প্রতিনিধি হিসেবে আবু গিরশান খুযায়মাই কাবার দায়িত্বশীল ব্যক্তি হন। হোলাইল মৃত্যুবরণ করলে, কুসাই এক মশক মদের বিনিময়ে আবু গিরশানের থেকে কাবার ব্যবস্থাপনার অধিকার ক্রয় করেন। কিন্তু খুযায়মা গোত্র এই ক্রয়-বিক্রয়কে অনুমোদন না করে কুসাইকে বাধা প্রদান করতে থাকে। কুসাই এ সময় বনু খুযায়মাকে মক্কা থেকে বহিষ্কারের জন্য কুরাইশ ও বনু কেরানাকে একত্রিত করে তাদের সহায়তা কামনা করেন। কুসাইয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা একাত্মতা ঘোষণা করে।

 

কারণ যাই হোক, ঘটনা কিছুটা এরকম ছিল: হোলাইল মৃত্যুবরণ করলে কুসাই কুরাইশ ও কেনানা’র লোকদের সাথে মিলিত হয়ে আকাবা স্থানে এসে বললেন, “কাবার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালনের জন্য আমরা অধিক যোগ্য।” কিন্তু কুসাইয়ের কথায় কেউ কর্ণপাত না করে, তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে। এই যুদ্ধে কুসাই তাদের পরাজিত করে তার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেন।

 

অন্যদিকে, কুসাই ও সুফার বিরোধের সুযোগ নিয়ে বনু খুযায়মা ও বনু বকর অসম্পূর্ণতা শুরু করে। কুসাই তাদের সাবধান করে দেয়, কিন্তু তারা যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে। উভয় পক্ষই এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে অনেক লোক হতাহত হয়।

 

শেষে, ব্যাপক ক্ষতির কারণে উভয় পক্ষ আপসের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং এক চুক্তিতে পৌঁছায়। চুক্তির জন্য বনু বকর গোত্রের ‘ইয়ামার বিন আউফ’ নামক ব্যক্তিকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মনোনীত করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী, মক্কার শাসন ও বাইতুল্লাহর ব্যবস্থাপনা খুযায়মার তুলনায় কুসাই অধিক যোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়। যুদ্ধের রক্তপাতকে অকার্যকর ঘোষণা করে, খুযায়মা ও বনু বকর তাদের তৈরি ক্ষতির জন্য রক্তপণ প্রদান করবে এবং বাইতুল্লাহর দায়িত্ব কুসাইয়ের হাতে সমর্পণ করবে।

 

এই চুক্তির পর, মক্কায় কুসাই ও কুরাইশদের পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাইতুল্লাহর ধর্মীয় নেতৃত্বও কুসাই লাভ করেন। এর ফলে কাবার প্রতি আগতদের সাথে কুসাইয়ের সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। 

 

মক্কায় কুসাইয়ের শাসন ৪৪০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

 

কুসাই শাসনক্ষমতা লাভের পর মক্কায় কিছু সংস্কার কার্যক্রম চালান। তিনি কুরাইশদের শহরে বসবাসের জন্য আলাদা আলাদা স্থান বরাদ্দ করেন। 

 

কুসাইয়ের সংস্কারমূলক কাজের মধ্যে অন্যতম ছিল ‘দারুন নাদওয়া’ প্রতিষ্ঠা। এটি কুরাইশদের ‘জাতীয় সংসদ’ ছিল, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো।

 

কুসাই তাঁর নেতৃত্বের অধিকার লাভ করে এবং মক্কার শাসনব্যবস্থায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব দেন:

 

১. কুসাই ‘দারুন নাদওয়া’ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করতেন।

২. যুদ্ধের পতাকা বহন করতেন।

৩. কাবার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করতেন।

৪. হজযাত্রীদের পানি পান করানো এবং মেহমানদারি করতেন।

 

এই পদগুলো কুসাইয়ের কর্তৃত্ব ও সম্মানের প্রতীক ছিল। কুসাইয়ের পুত্র আবদুদ্দার ও আবদে মানাফেও এই দায়িত্বে অংশ নেন। 

 

কুসাই শাসন প্রতিষ্ঠা করে মক্কার জনগণের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

—সূত্র: আর-রাহিকুল মাখতুম