ঢাকা ১০:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সংবাদ শিরোনাম ::

শান্তিগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মান্নার মিয়া,শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি::
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ ৭৫ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ আহমদ আল-আমিনকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে গণিগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ২টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ বাজারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলাকাবাসী। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ মুরব্বি আব্দুল শহিদ ও সঞ্চালনা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জয় ও শাহ আলম।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ আহমদ আল-আমিনকে পরিকল্পিতভাবে ধান লুটের ঘটনায় জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বক্তব্য রাখেন পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ আহমদ আল-আমিনের খালা সৈয়দা হেনা বেগম, ক্বারী মুহিবুল হক, গণিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা: নজরুল ইসলাম, কাছা মিয়া, মাওলানা আব্দুল হাফিজ, মুহিবুর রহমান, আশরাফুল হক, ফারুক রশিদ চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা৷

উল্লেখ্য, ১৪ মে বিকেল ৪টার দিকে শিমুলবাক গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে ধান শুকানো খলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিনের পিতা আজহার আলীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও উপজেলা জাসাসের সাবেক আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের মা জোসনা বেগমের মালিকানাধীন ধান শুকানো খলা থেকে প্রায় ২০০ মন ধান লুটের চেষ্টা করা হয়।

প্রতিবাদ জানাতে গেলে আজহার আলী ও তার সহযোগীরা জোসনা বেগমের কন্যা সৈয়দা হেনা বেগমকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। হামলার শিকার হয় হেনার ৫ বছরের কন্যা আনজুমা এবং এক গৃহকর্মীও। আহত অবস্থায় হেনা বেগম তার ভাগ্নে পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদকে ফোনে অবহিত করলে, তিনি শান্তিগঞ্জ থানা প্রশাসনকে জানিয়ে দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে এ ঘটনায় জড়িতরা নিজেদের দায় এড়াতে এবং জুনায়েদকে বিতর্কিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়। এতে জড়িত রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন, তার ভাই আকিকুর রহমান আকিক ও মাসুদ মিয়া।

এ ঘটনার পর, ২ এপ্রিল ভুক্তভোগী জোসনা বেগম শান্তিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে – মাসুদ মিয়া, মাওলানা মোজাহিদ, বদরুজ্জামান, কামরুজ্জামান ও বজলু মিয়াকে।

শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আকরাম আলী বলেন, “ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শান্তিগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ আহমদ আল-আমিনকে জড়িয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে গণিগঞ্জ বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ২টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলার গণিগঞ্জ বাজারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন এলাকাবাসী। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ মুরব্বি আব্দুল শহিদ ও সঞ্চালনা করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জয় ও শাহ আলম।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ আহমদ আল-আমিনকে পরিকল্পিতভাবে ধান লুটের ঘটনায় জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকহীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

বক্তব্য রাখেন পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদ আহমদ আল-আমিনের খালা সৈয়দা হেনা বেগম, ক্বারী মুহিবুল হক, গণিগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা: নজরুল ইসলাম, কাছা মিয়া, মাওলানা আব্দুল হাফিজ, মুহিবুর রহমান, আশরাফুল হক, ফারুক রশিদ চৌধুরীসহ অর্ধশতাধিক স্থানীয় ব্যক্তিবর্গরা৷

উল্লেখ্য, ১৪ মে বিকেল ৪টার দিকে শিমুলবাক গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে ধান শুকানো খলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিনের পিতা আজহার আলীর নেতৃত্বে যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও উপজেলা জাসাসের সাবেক আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের মা জোসনা বেগমের মালিকানাধীন ধান শুকানো খলা থেকে প্রায় ২০০ মন ধান লুটের চেষ্টা করা হয়।

প্রতিবাদ জানাতে গেলে আজহার আলী ও তার সহযোগীরা জোসনা বেগমের কন্যা সৈয়দা হেনা বেগমকে মারধর ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। হামলার শিকার হয় হেনার ৫ বছরের কন্যা আনজুমা এবং এক গৃহকর্মীও। আহত অবস্থায় হেনা বেগম তার ভাগ্নে পুলিশ কনস্টেবল জুনায়েদকে ফোনে অবহিত করলে, তিনি শান্তিগঞ্জ থানা প্রশাসনকে জানিয়ে দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে এ ঘটনায় জড়িতরা নিজেদের দায় এড়াতে এবং জুনায়েদকে বিতর্কিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেয়। এতে জড়িত রয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান শাহিন, তার ভাই আকিকুর রহমান আকিক ও মাসুদ মিয়া।

এ ঘটনার পর, ২ এপ্রিল ভুক্তভোগী জোসনা বেগম শান্তিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে – মাসুদ মিয়া, মাওলানা মোজাহিদ, বদরুজ্জামান, কামরুজ্জামান ও বজলু মিয়াকে।

শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আকরাম আলী বলেন, “ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে, এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।