ঢাকা ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

দোয়ারাবাজারে যুবককে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
  • / 134
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

১৯ অক্টোবর (শনিবার) উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই ৩ জনকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত জাহিদুল হক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১১ টায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলাবাজার গ্রামের কামরুল ইসলামের পুত্র জাহিদুল হকের জমির উপর একই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের পুত্র আবির হোসেন (৩৫), ওয়াহাব আলীর পুত্র ফারদিন আহমদ (১৮), আবির হোসেনের স্ত্রী মুক্তা বেগম (২২) তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপন করতে চায়। এসময় বাদী জাহিদুল হক তার জায়গার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপন করতে বাধা নিষেধ করলে অভিযুক্তরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

পরের দিন (১৯ অক্টোবর) সন্ধা ৭ টার দিকে ১নং আসামী আবির হোসেনের ওমান প্রবাসী শ্বাশুড়ি জাহানারা বেগম তার ব্যবহিত (নং-৯৭৬৫৪৩২১) নাম্বার হতে জাহিদুল হকের মোবাইলে ফোন করে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। ওই দিন সন্ধা ৭ টা ৫০ ঘটিকার সময় জাহিদুল হক বোগলাবাজার হতে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পায়ে হেটে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে অভিযুক্তদের বাড়ির নিকট পৌঁছামাত্র উৎপেতে থাকা অভিযুক্তরা তাকে আক্রমন করে। এসময় ১নং বিবাদী আবির হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জাহিদুল হকের হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ২নং বিবাদী ফারদিনের হাতে থাকা লোহার দা নিয়ে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে তার চিৎকারে অভিযোগে উল্লেখিত স্বাক্ষীগণসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে ও ফারদিনকে বাধা নিষেধ দিয়ে জাহিদুল হককে রক্ষা করে।

ঘটনার পর উপরোল্লিখিত অভিযুক্ত আবির হোসেন, ফারদিন ও মুক্তা বেগম আহত জাহিদুল হককে হুমকি দেয় যে, এই ঘটনার বিষয়ে কোন মামলা মোকাদ্দমা দায়ের করলে জাহিদুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে মারপিট করে প্রাণে হত্যা করার মাধ্যমে প্রতিশোধ নিবে।

পরবর্তীতে উপরোল্লিখিত সাক্ষীদের সহায়তায় জাহিদুল হককে চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

দোয়ারাবাজারে যুবককে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৪৫:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পূর্ব শত্রুতার জেরে জাহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

১৯ অক্টোবর (শনিবার) উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় রাতেই ৩ জনকে আসামি করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত জাহিদুল হক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১১ টায় উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলাবাজার গ্রামের কামরুল ইসলামের পুত্র জাহিদুল হকের জমির উপর একই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের পুত্র আবির হোসেন (৩৫), ওয়াহাব আলীর পুত্র ফারদিন আহমদ (১৮), আবির হোসেনের স্ত্রী মুক্তা বেগম (২২) তাদের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপন করতে চায়। এসময় বাদী জাহিদুল হক তার জায়গার মধ্যে বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপন করতে বাধা নিষেধ করলে অভিযুক্তরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং পরবর্তীতে দেখে নেওয়ার ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

পরের দিন (১৯ অক্টোবর) সন্ধা ৭ টার দিকে ১নং আসামী আবির হোসেনের ওমান প্রবাসী শ্বাশুড়ি জাহানারা বেগম তার ব্যবহিত (নং-৯৭৬৫৪৩২১) নাম্বার হতে জাহিদুল হকের মোবাইলে ফোন করে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। ওই দিন সন্ধা ৭ টা ৫০ ঘটিকার সময় জাহিদুল হক বোগলাবাজার হতে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পায়ে হেটে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে অভিযুক্তদের বাড়ির নিকট পৌঁছামাত্র উৎপেতে থাকা অভিযুক্তরা তাকে আক্রমন করে। এসময় ১নং বিবাদী আবির হোসেন তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে জাহিদুল হকের হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। ২নং বিবাদী ফারদিনের হাতে থাকা লোহার দা নিয়ে মারধর করার জন্য এগিয়ে আসলে তার চিৎকারে অভিযোগে উল্লেখিত স্বাক্ষীগণসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে ও ফারদিনকে বাধা নিষেধ দিয়ে জাহিদুল হককে রক্ষা করে।

ঘটনার পর উপরোল্লিখিত অভিযুক্ত আবির হোসেন, ফারদিন ও মুক্তা বেগম আহত জাহিদুল হককে হুমকি দেয় যে, এই ঘটনার বিষয়ে কোন মামলা মোকাদ্দমা দায়ের করলে জাহিদুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে মারপিট করে প্রাণে হত্যা করার মাধ্যমে প্রতিশোধ নিবে।

পরবর্তীতে উপরোল্লিখিত সাক্ষীদের সহায়তায় জাহিদুল হককে চিকিৎসার জন্য দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জখমের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে।

এবিষয়ে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল হক জানান, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।