ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক ৫ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সোহেল মিয়া, দোয়ারাবাজার থেকে
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪
  • / 291
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধা কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগসহ ৫ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।

রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা
প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ইসমাঈলের পুত্র কারিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব’র পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া (৭১) ও একই গ্রামের ও সংবাদ সম্মেলনকারী কারিম উদ্দিনের পিতা ইসমাইল আলী’র মধ্যে জমিজমা সংক্রান্তে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। মুক্তিযোদ্ধা রফিক মিয়া ক্ষমতার প্রভাবে পায়ই জোরপূর্বক জমি দখল ও জমিতে লাগানো বাঁশ ও গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করতো। বাঁধা দিলেই তিনি থানায় কল দিয়ে পুলিশ এনে হয়রানি করতেন। এতে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে রফিক মিয়া কর্তৃক ইসমাঈলের জায়গা হতে বাঁশ কেটে নেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্রকরে দু’পক্ষের মধ্যে মুখামুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উপরোল্লিখিত এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি মিথ্যা ধর্ষণকাহিনী সাজিয়ে ইসমাঈল আলী’র পুত্র শামিম মিয়া (তৎকালীন বয়স-১৫), মাজেদ আলী’র পুত্র হায়দর আলী (১৫),আঃ করিমের পুত্র কবির হোসেনকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে রফিক মিয়া। এতে দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর বয়স কম থাকার সুবাধে আদালত তাদের জামিন দেয়।
এর পর প্রতিশোধের শপথে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া। ক্ষমতার দাপটে সামাজিকভাবে প্রায়ই কোন না কোন বিষয় নিয়ে ইসমাঈল আলী’র পরিবারকে পরিকল্পিত ভাবে ঝগড়া ফাঁসাদে লিপ্ত রাখে।

এতে ২০২১ সালের ১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ইসমাঈল আলী’র জমি হতে মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া জোরপূর্বক বাঁশ কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে আবারও দু’পক্ষের মুখামুখি ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ইসমাঈল মিয়া (৪২), ইসমাঈল মিয়ার পুত্র শামিম মিয়া (২০), মাজেদ আলী’র পুত্র হায়দর আলী (২২),করিম মিয়া’র পুত্র কবির আহমদ (২০). মৃত আক্কেল আলী’র পুত্র নুর ইসলাম (৫০), নুর ইসলামের পুত্র মরম আলী (১৯) ও রমজান আলী (২০).মৃত ইব্রাহিম আলী’র পুত্র বাদশা মিয়া (৪৫) কে আসামী করে এক দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া (৭১)।

এর পর চলতি বছরের ৬ অক্টোবর জমিজমা সংক্রান্তে সুনামগঞ্জ আদালতে ইসমাঈল আলী ও তার ভাই নুর ইসলাম,মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র ফাহমিদা খাতুন, মৃত ইব্রাহিম আলী’র স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও পুত্র বাদশা মিয়া, বাদশা মিয়া’র পুত্র মানিক মিয়া,মৃত দ্বারীকনাথ ভূইয়া’র স্ত্রী সোরবালা কপালী,গুরু দয়াল দাসের স্ত্রী আমোদিনী দাসীকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।

এর পর গত ৬ অক্টোবর (রবিবার) দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এমন একটি অভিযোগ দেখিয়ে প্রতিপক্ষের ১৩ জনকে আসামী করে ৮ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া।

সর্বশেষ, চলতি বছরের গত ১৪ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়াকে উপরোল্লিখিত আসামীরা বসতঘরে থাকতে দিচ্ছেনা এমন মিথ্যা অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে স্কুল – কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্টের পাশাপাশি অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আমরা শারীরিক, মানসিক, আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ফলে এই সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে ৫ মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষায় আমরা প্রশাসনের সৃদৃষ্টি কামনা করছি। সংবাদ সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল জলিল,মোঃ মতিউর রহমান, মানিক মিয়া, ইসমাইল হোসেন, নুরুল ইসলাম, মুবারক হোসেন, হামিদ মিয়া,রমজান আলী, সাহিদ মিয়া,সুহাগ মিয়া, কাওছার আলম, হারন মিয়া, তোফাজ্জল হোসাইন,মোছাঃ সেলিনা খাতুন, মোছাঃ রুসেনা খাতুন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস : আমার সুনামগঞ্জ | Amar Sunamganj

মুক্তিযোদ্ধা কর্তৃক ৫ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১১:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

দোয়ারাবাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধা কর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগসহ ৫ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও আত্মীয়স্বজন।

রবিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় দোয়ারাবাজার উপজেলা
প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ইসমাঈলের পুত্র কারিম উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঘমারা গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিব’র পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা ও মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া (৭১) ও একই গ্রামের ও সংবাদ সম্মেলনকারী কারিম উদ্দিনের পিতা ইসমাইল আলী’র মধ্যে জমিজমা সংক্রান্তে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো। মুক্তিযোদ্ধা রফিক মিয়া ক্ষমতার প্রভাবে পায়ই জোরপূর্বক জমি দখল ও জমিতে লাগানো বাঁশ ও গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করতো। বাঁধা দিলেই তিনি থানায় কল দিয়ে পুলিশ এনে হয়রানি করতেন। এতে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে রফিক মিয়া কর্তৃক ইসমাঈলের জায়গা হতে বাঁশ কেটে নেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্রকরে দু’পক্ষের মধ্যে মুখামুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

উপরোল্লিখিত এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি মিথ্যা ধর্ষণকাহিনী সাজিয়ে ইসমাঈল আলী’র পুত্র শামিম মিয়া (তৎকালীন বয়স-১৫), মাজেদ আলী’র পুত্র হায়দর আলী (১৫),আঃ করিমের পুত্র কবির হোসেনকে আসামী করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে রফিক মিয়া। এতে দীর্ঘদিন জেল হাজতে থাকার পর বয়স কম থাকার সুবাধে আদালত তাদের জামিন দেয়।
এর পর প্রতিশোধের শপথে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া। ক্ষমতার দাপটে সামাজিকভাবে প্রায়ই কোন না কোন বিষয় নিয়ে ইসমাঈল আলী’র পরিবারকে পরিকল্পিত ভাবে ঝগড়া ফাঁসাদে লিপ্ত রাখে।

এতে ২০২১ সালের ১৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) ইসমাঈল আলী’র জমি হতে মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া জোরপূর্বক বাঁশ কেটে নেওয়াকে কেন্দ্র করে আবারও দু’পক্ষের মুখামুখি ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ২০২১ সালের ১ এপ্রিল ইসমাঈল মিয়া (৪২), ইসমাঈল মিয়ার পুত্র শামিম মিয়া (২০), মাজেদ আলী’র পুত্র হায়দর আলী (২২),করিম মিয়া’র পুত্র কবির আহমদ (২০). মৃত আক্কেল আলী’র পুত্র নুর ইসলাম (৫০), নুর ইসলামের পুত্র মরম আলী (১৯) ও রমজান আলী (২০).মৃত ইব্রাহিম আলী’র পুত্র বাদশা মিয়া (৪৫) কে আসামী করে এক দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া (৭১)।

এর পর চলতি বছরের ৬ অক্টোবর জমিজমা সংক্রান্তে সুনামগঞ্জ আদালতে ইসমাঈল আলী ও তার ভাই নুর ইসলাম,মৃত মজিবুর রহমানের পুত্র ফাহমিদা খাতুন, মৃত ইব্রাহিম আলী’র স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও পুত্র বাদশা মিয়া, বাদশা মিয়া’র পুত্র মানিক মিয়া,মৃত দ্বারীকনাথ ভূইয়া’র স্ত্রী সোরবালা কপালী,গুরু দয়াল দাসের স্ত্রী আমোদিনী দাসীকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।

এর পর গত ৬ অক্টোবর (রবিবার) দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এমন একটি অভিযোগ দেখিয়ে প্রতিপক্ষের ১৩ জনকে আসামী করে ৮ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়া।

সর্বশেষ, চলতি বছরের গত ১৪ অক্টোবর মুক্তিযুদ্ধা রফিক মিয়াকে উপরোল্লিখিত আসামীরা বসতঘরে থাকতে দিচ্ছেনা এমন মিথ্যা অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন এই মুক্তিযোদ্ধা।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে স্কুল – কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নষ্টের পাশাপাশি অপপ্রচার চালিয়ে সামাজিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। আমরা শারীরিক, মানসিক, আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ফলে এই সংবাদ সন্মেলনের মাধ্যমে ৫ মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে রক্ষায় আমরা প্রশাসনের সৃদৃষ্টি কামনা করছি। সংবাদ সন্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল জলিল,মোঃ মতিউর রহমান, মানিক মিয়া, ইসমাইল হোসেন, নুরুল ইসলাম, মুবারক হোসেন, হামিদ মিয়া,রমজান আলী, সাহিদ মিয়া,সুহাগ মিয়া, কাওছার আলম, হারন মিয়া, তোফাজ্জল হোসাইন,মোছাঃ সেলিনা খাতুন, মোছাঃ রুসেনা খাতুন প্রমুখ।