শান্তিগঞ্জে আতাউর রহমানকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

- আপডেট সময় : ০৭:১৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
শান্তিগঞ্জ উপজেলার তেহকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও নদী খননে প্রশাসনের রায় অমান্য করায় মাটি ভরাট ও ভূমিখেকো আতাউর রহমানের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১ টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন করেন তেহকিয়া গ্রামবাসী ও স্কুলের অভিভাবকবৃন্দ৷
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন তেহকিয়া গ্রামের বাবুল মিয়া, সুলতান মিয়া, মহির উদ্দিন ও আবু তালিব প্রমুখ। এসময় শামীম আহমদ, রিপন মিয়া, আব্দুল ওয়াহিদ, ফয়জুর রহমান, সইফুল্লাহ, খলিল মিয়া, লুৎফর রহমান, নবির মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, ফখরুল ইসলাম, আজিজুর রহমান, সৈয়দুর রহমান, আল আমিন, আব্দুল হামিদ, মনো মিয়া, জসিম উদ্দিন, রশিদ মিয়া, আব্দুস সালাম, কামাল মিয়া, জাহির উদ্দিন, হান্নান মিয়া, সোহেল আহমদ, ইমাম উদ্দিনসহ তেহকিয়া গ্রামের শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আতাউর রহমানসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সরকারি জায়গায় মাটি কেটে বিক্রি করেছিল৷ আমরা গ্রামবাসী অভিযোগ করার পর উপজেলা সহকারী কমিশনার মহোদয় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে আতাউর রহমানকে আটক করে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও ১৫ দিনের মধ্যে উক্ত জায়গায় মাটি ভরাটের আদেশ দেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় রায়ের ১ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও ভূমি থেকো আতাউর ছাত্র ছাত্রীদের খেলার মাঠ ও খননকৃত নেতাই নদী ভরাট করে দেয়নি। উল্টো তেহকিয়া গ্রামবাসীকে হুমকি দামকী দিয়ে আসছে। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবী দ্রুত এই ভূমিখেকো আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক৷
মানববন্ধনের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে মাটি ভরাট ও এই কাজের সাথে জড়িত ৬ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন গ্রামবাসী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত সাহা বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে বসে ওই স্থানে মাটি ভরাটের জন্য যা যা করার সব করবো।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ নদীর তীরসহ সরকারি জায়গার মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রির অপরাধে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে আতাউর রহমানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদ- ও খননকৃত সরকারি জায়গা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভরাট করে দেওয়ার আদেশ দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ফজলে রাব্বানী চৌধুরী।