তিনি বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাছনরাজা মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখা আয়োজিত “ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচন: ইসলামপন্থী ঐক্যের ভাবনা” শীর্ষক ওলামা ও সুধী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছর যারা দেশ পরিচালনা করেছে তারা চোরের দিক থেকে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে। হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছে। লাখো মেধাবী তরুণদেরকে পঙ্গু বানিয়েছে। কোটি কোটি ডলার লুটপাট করে বিদেশে বেগম পাড়া তৈরি করেছে। একেকজন শত শত বাড়ির মালিক হয়েছে। ওই টাকা তাদের বাপের নয়, এদেশের মানুষের ঘামঝড়ানো কষ্টার্জিত টাকা। তারা দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছিল।
জেলা সভাপতি মুফতি শহিদুল ইসলাম পলাশীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি পারিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, জাতীয় উলামা-মাশায়েখ-আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) হাফেজ মাওলানা মুফতি মঈনুদ্দীন খান তানভীর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান, জেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতি আজিজুল হক, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট মুহাম্মদ শামস উদদীন, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শাখাওয়াত হোসেন, এলডিপির জেলা সেক্রেটারি শেখ এমদাদুল হক, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাজাউর রহমান, গণ অধিকার পরিষদের জেলা সেক্রেটারি এম এ বারী, জুলাই আহত ফয়সল, জহুর আলী প্রমুখ।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেকেই সাহস করে মাঠে নামতে পারেনি। কিন্তু ঘোষণা দিয়ে ব্যানার নিয়ে ইসলামী আন্দোলন মাঠে ছিল। আমরা আওয়াজ তুলেছিলাম খুনিরা, জালেমদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না। ফ্যাসিস্টরা ভাত রান্না করে খেয়ে যেতে পারে নি। তিনি বলেন অনেক সুযোগ থাকার পরও আমরা নিছক কয়েকটি এমপির জন্য কোনো দলের ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহৃত হইনি। কারণ ইসলামী আন্দোলন একমাত্র ইসলাম, দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করে।
প্রধান অতিথি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর ইসলামপন্থীদের জন্য আল্লাহ সুযোগ করে দিয়েছেন। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে না পারলে আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। তারা আওয়ামী লীগ, বিএনপিকে দেখার পর এখন ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়। মানুষের এই চাহিদাকে সামনে রেখে আমরা সারা দেশে কাজ করছি। ইসলামী দলগুলোর পক্ষে একটিমাত্র ভোটবাক্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন বাস্তবায়নের পালা। মাঝখানে সমস্যা আসতে পারে। জনগণকে সাথে নিয়ে সকল বাঁধা বিপত্তিকে অতিক্রম করে মঞ্জিলে মকসুদের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।